মেয়েটার নাম শাহরিন জান্নাত। ডাকনাম ছোঁয়া। ছোঁয়ার সঙ্গে কাটানো সেই দিনগুলোর কথা আমার আজও মনে পড়ে। ছোট থেকে একসঙ্গে খেলতাম, গল্প করতাম। মনে আছে তোর, আমি যে তোর সঙ্গে খেলতে খেলতে রাত করে বাড়ি ফিরতাম! বাসায় অনেক বকত, কেন আবার রাত করে ফিরেছি। স্কুল শেষে ঝালমুড়ি খেতে খেতে বাড়ি আসতাম একসঙ্গে। অর্ধেক রাস্তায় এসে কে আগে বাসায় পৌঁছায় তার প্রতিযোগিতা। তুই নাচ শিখতি আর আমি তোর শেখা নাচ নকল করতাম। তোর মায়ের বানানো সেই নুডলস আজও আমার প্রিয়। আমাদের যে দ্বিতীয় শ্রেণির কোচিংয়ে পাশাপাশি বসতে দিত না, সেই দুঃখটাও এখনো আছে। সেই যে তুই তিন বছর আট মাস আগে [যেহেতু আজ ১২ সেপ্টেম্বর] দিনাজপুর ছেড়ে গেলি আর একবারও কি এই বান্ধবীর কথা মনে পড়ল না? আমার জন্মদিনটা মাটি করে দিলি তো! তোর ফোন নম্বরও নেই যে ফোন দেব। এমন একটা রাতও কাটেনি যে তোর কথা মনে পড়েনি। আমার মনের কথা কাউকে বলতে পারি না, তোর সঙ্গেই তো সব শেয়ার করতাম। এই কথাগুলো আমি কিশোর আলোতে লিখেছি এই আশায় যে একদিন তুই এইটা পড়বি। আর হয়তো আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবি। আমি আজও তোর অপেক্ষায় আছি।