অহংকার পতনের মূল

অলংকরণ: রাকিব রাজ্জাক

এটা ডিসেম্বর মাসের ঘটনা। আমার দাদির কুলখানির অনুষ্ঠানের জন্য পরিবারের সবাই গ্রামে বেড়াতে যাই। যাত্রার ধকল সামলাতে বিকেল হয়ে গেল। যেহেতু অনেক দিন পর গ্রামে আসা, তাই আম্মুও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নিতে লাগল। সন্ধ্যার পর আম্মু আমাকে আর আমার বোন সামিহাকে ডেকে বলল, ‘বাবুদের বাড়িতে যাবি?’ আমরা দুজন সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে আম্মুর পিছে পিছে হাঁটতে লাগলাম। যাওয়ার পথে পুকুরের পাশে ছোট কাঁচা রাস্তা। সবার সামনে আম্মু যাচ্ছে। পেছনে আমি আর সামিহা। অন্ধকারে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে বলে আম্মুকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আম্মু, পকেটের টর্চ জ্বালাব?’ আম্মু অনেকটা ভাব নিয়েই বলল, ‘আরে কিসের টর্চ! আমরা গ্রামের মানুষ; আমাদের টর্চ লাগে না। এসব রাস্তা আমাদের চেনা...’ কথাটি শেষ হওয়ার আগেই ধুপ করে শব্দ হলো। সামনে তাকিয়ে বুঝলাম আম্মু পা পিছলে কাদায় পড়ে গেছে। এরপর আমাদের কে পায়! আসলে আগের দিন ধান সেদ্ধ করে পানি ফেলা হয়েছিল; যেটা কাদা হয়ে গেছে। আর তাতেই আম্মু পড়ে যায়। আমার আর সামিহার হাসি থামাতে এক ঘণ্টা লেগেছিল। শত হলেও অহংকার পতনের মূল!

লেখক: একাদশ শ্রেণি, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা