বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আম আঁটির ভেঁপু পড়েছ কি? পড়ে থাকলে তো খুবই ভালো, না পড়লেও সমস্যা নেই। পড়ে নিয়ো কোনো একসময়। আপাতত চলো আম আঁটির ভেঁপু বানিয়ে প্যাপু প্যাপু বাঁশি বাজিয়ে পাড়া মাথায় তুলি!
উপকরণ
সদ্য গজিয়ে ওঠা লাল-খয়েরি রঙের পাতাওয়ালা আমের চারা।
যেভাবে বানাবে
বাড়ির আশপাশে সদ্য গজিয়ে ওঠা কোনো আমের চারা খুঁজে নাও। শহরে যারা আছ, তোমরা আম খেয়ে আমের আঁটি ময়লার ঝুড়িতে না ফেলে ফুলের টবে ফেলতে পারো। কদিন পর তা থেকেই গজিয়ে উঠবে নতুন আমের চারা।
আলতোভাবে চারাটি তুলে নাও অথবা গাছটাকে মাটিতে রেখে শুধু আমের আঁটিটা তুলে নাও।
চারার শিকড়টা ভেঙে ফেলো।
এবার চারাটা আঁটি থেকে ছাড়িয়ে নাও। হাতে থাকবে শুধু আমের আঁটি।
দুহাতে চেপে ধরে আঁটির বাইরের শক্ত আবরণটা ছাড়িয়ে নাও।
এবার ছবির মতো বাঁকানো দুটি বীজপত্রের সংযুক্ত কাঠামো পাবে।
বীজপত্রের সবুজ অংশটি কেটে ফেলে দাও।
এবার গোড়ার বিপরীত অংশটি, কোনো পাকা মেঝে, বারান্দায় বা পাকা পুকুর ঘাটে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ঘষতে থাকো।
ঘর্ষণের ফলে একপর্যায়ে এসে দুটি বীজপত্রের মাঝে একটি সরু ছিদ্রের উপস্থিতি খেয়াল করবে। ব্যস, তৈরি হয়ে গেল ভেঁপু!
ভেঁপুটি পানিতে সতর্কভাবে ধুয়ে নাও, যাতে বীজপত্র দুটি আলাদা না হয়। এবার সদ্য ছিদ্রযুক্ত অংশটি মুখে পুরে বাঁশি বাজানোর মতো বাতাস ছেড়ে সুর তুলতে পারো আম আঁটির ভেঁপুতে!
সতর্কতা
আমের আঁটিটি বড় হলে ভালো হয়। আর হ্যাঁ, খুব বেশি চারা নষ্ট করে আবার ‘বৃক্ষ নিধন’ করতে যেয়ো না যেন!