ঘটনাটি ২০১৬ সালের। আমার ক্লাসের এক বান্ধবী নওশিন তাবাসুম। কোচিংয়েও একসঙ্গে পড়তাম আমরা। একদিন নওশিন ক্লাসে ঢুকে চিৎকার করতে করতে বলল, ‘ইয়েস, ইয়েস পৃথিবী ধ্বংস হবে, পৃথিবী ধ্বংস হবে।’ আমরা সবাই বললাম, ‘মাথা খারাপ নাকি তোর? কে বলেছে তোকে?’ ও হাতের একটি পত্রিকা দেখিয়ে বলল, ‘এই দেখ, পত্রিকায় কী লেখা আছে?’
আমরা দেখলাম সত্যি তাই। পত্রিকায় লেখা আছে গ্রহ-নক্ষত্রের সংঘর্ষে পৃথিবী ধ্বংস হবে। আমরা সবাই খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লাম। আসলে নওশিন ওর পড়াশোনার চাপ নিয়ে খুবই বিরক্ত ছিল। তাই পৃথিবী ধ্বংস হবে দেখে ও খুশিতে আটখানা। কোচিংয়ের অন্য একটি মেয়ে রিয়া বসাক। ও নওশিনের কথায় সায় দিয়ে বলল, ‘বাহ্ কী মজা হবে, আমরা পৃথিবীর ধ্বংস হয়ে যাওয়া একদম কাছ থেকে দেখতে পারব।’ কিছুক্ষণ পর ক্লাসে এলেন আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষক সুব্রত স্যার। পত্রিকাটা তাঁকে দেখালাম আমরা। কিছুক্ষণ খুব মনোযোগ দিয়ে পত্রিকাটা দেখলেন স্যার। তারপর খুব হাসতে লাগলেন। আমরা ভাবলাম, স্যারও কি পৃথিবী ধ্বংস হওয়াতে খুশি হচ্ছেন? আর আমাদের পড়াতে হবে না, হোমওয়ার্ক দিতে হবে না...হঠাৎ স্যার বললেন, ‘ওরে, এটা তো ২০১২ সালের পত্রিকা!’