তখন প্লেতে পড়ি। বয়স তিন বছরের মতো। সেন্ট লরেটো টিউটরিয়ালের গেটে প্রথম পা দিয়েছি। মাকে ছাড়ার ইচ্ছা নেই। ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে কাঁদছি, পাশে আরেকটি মেয়ে কাঁদছে। আমরা আমাদের মায়ের কাছে গিয়ে কাঁদছিলাম, তখন তার সঙ্গে পরিচয় হয়। সে ছিল আমার প্রথম বান্ধবী পারিসা। তারপর নার্সারিতে আরও বন্ধু হয়। তারা হলো ইফরা, হৃদি, ঈশিকা, জেবা, প্রিয়ন্তী, মাসফি ও আরিবা। তাদের সঙ্গে দুই বছর ও পারিসার সঙ্গে তিন বছর কেটে যায়। এরপর ক্লাস ওয়ানে ভর্তি। আমরা সবাই বিচ্ছেদ হয়ে যাই। জেবা ও আরিবা যায় হলিক্রসে, ইফরা যায় ভিকারুননিসায় ও বাকিরা যায় বটমলী হোম বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। শুধু প্রিয়ন্তী কোন স্কুলে পড়ে, আমার মনে নেই। থ্রিতে ঈশিকা তেজগাঁও সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে চলে যায়। পারিসা ও আমি একসঙ্গেই থাকি। বটমলীর আরও বান্ধবী জয়। ক্লাস ফাইভে প্রথম বোর্ড পরীক্ষা, কেটে গেছে শিক্ষাজীবনের আট বছর। টানা আট বছর প্রিয় বান্ধবী হয়ে থাকে পারিসা। আমরা আমাদের স্কুলে ক্লাসেই বোর্ড পরীক্ষা দিই। কিন্তু পরে আমি চলে এলাম তেজগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। এখানে অনেক ভালো বান্ধবী হয়, কিন্তু পারিসাকে অনেক মনে পড়ে। আমরা সবকিছু একসঙ্গে করতাম। বিজ্ঞান মেলা ও নারী দিবসের পোস্টার একসঙ্গেই করেছি। বিজ্ঞান মেলার প্রজেক্টে আরও বান্ধবী ছিল। আমাদের আট বছরের প্রিয় বন্ধুত্বের নয় বছরে পূর্ণ হলো না। তার সঙ্গে কম কথা হয়। অন্যদের সঙ্গেও খুবই কম কথা হয়। তাদের অনেক মিস করি। আমাদের মজার ঘটনা এখনো চোখে ভাসে।