মজার স্মৃতি

অলংকরণ: শিখা

গত বছরের কথা। ক্যাডেট কোচিংয়ে সাপ্তাহিক পরীক্ষার খাতা দিয়েছে। দেখা গেল সবার খাতাতেই নম্বরের গন্ডগোল হয়েছে। ক্লাস নিচ্ছিলেন তখন মোমিন স্যার। কিন্তু স্যারের পড়ানোয় মনোযোগ না দিয়ে আমরা সবাই এমনভাবে নম্বর বাড়ানোর জন্য চিল্লাচিল্লি করছিলাম যে স্যার রেগে আগুন হয়ে গেলেন! দিলেন সবাইকে বকা। এমনই বকা যে সেটা সহ্য করতে না পেরে আমরাও স্যারের ওপর রেগে গেলাম। বন্ধুরা সবাই মিলে বুদ্ধি করলাম ছুটির পরে স্যারের স্যান্ডেলটা সরাব। অফিস রুমে সব টিচার স্যান্ডেল খুলে ঢোকেন। কথামতো আমি, তুলনা আর হোমায়রা মিলে গিয়ে স্যারের স্যান্ডেলটায় একটা কিক দিলাম। সেটা সোজা গিয়ে পড়ল একটা ড্রেনের মধ্য। মনের জ্বালা মিটিয়ে আমরা সবাই খুশিমনে বাড়ি চলে এলাম।

কিছুক্ষণ পরেই আমরা আমাদের ভুল বুঝতে পেরে স্যারকে ফোন করে ক্ষমা চাইলাম। খুলে বললাম ওনাকে সব কথা। কিন্তু উনি বললেন, ‘তোমরা তো আমার স্যান্ডেলটা সরাওনি। দুর্ভাগ্যবশত তোমরা হয়তো অন্য কারও স্যান্ডেল সরিয়েছ। কিন্তু আমারটা না।’ তখন আর কী করব? খুব রাগ হলো আমাদের। মাঝখান থেকে শুধু শুধু নিজেদেরই অপমান! কিন্তু এখনো খুব খারাপ লাগে, আমাদের জন্য হয়তো কারও প্রিয় স্যান্ডেলটা হারিয়ে গেছে।