মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের ‘টুনটুনি ও ছোটাচ্চু’ বইয়ে টুনির ছোটাচ্চুকে নিয়ে যেমন নানা কাহিনি ঘটত, আমার ছোটচাচ্চুও তেমনি কাহিনি করতে ওস্তাদ। টুনটুনি যেমন ছোটচাচ্চুকে ছোটাচ্চু বলে ডাকত, তেমনি হাসিব চাচ্চুকে ডাকতে ডাকতে হাসিচাচ্চুকে হয়ে গেছে। তিনি নামের মতোই হাসির মানুষ। তার দুটি কাহিনি...
কাহিনি ১
বাবা, হাসিচাচ্চু, মা ও আমি আড্ডা দিচ্ছিলাম। বাবা তখন বলল, ‘জানিস হাসিব, আমাদের বাসার টয়লেটের ভেতর একটা আচারের বয়াম পাওয়া গিয়েছে।’ হাসিচাচ্চু বলল, ‘ভাইয়া, বুঝলাম মানুষটার অনেক আচার খেতে ইচ্ছে করেছে। তাই বলে সে আস্ত বয়াম গিলবে? তা ছাড়া সে বয়ামটা হজমই বা করল কী করে?' আমরা তো কথা শুনে হেসেই খুন।
কাহিনি ২
হাসিচাচ্চু, আমি, আমার ছোট বোন আর বাবা বরিশাল শহরে হাঁটতে বেড়িয়েছি। হঠাৎ একটা মিষ্টির দোকানের সামনে এসে হাসিচাচ্চু দাঁড়িয়ে পড়ল। বলল, ‘দেখ, সাইনবোর্ডে লেখা “নিউ ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার”, আর তার নিচেই লেখা, “আমরাই সবচেয়ে পুরোনো ও বিশ্বস্ত”।’ বুঝলাম না, সবচেয়ে পুরোনোই যদি হবে, তবে নামের আগে ‘নিউ’ কেন? রাস্তায় দাঁড়িয়েই অট্টহাসির রোল পড়ে গেল।
হাসিচাচ্চুর কাহিনি চলতেই থাকবে। তবু পাতা ফুরাবে না। ‘হাসিচাচ্চু...তোমাকে সেলাম।’ তুমি এভাবেই আমাদের আনন্দ দিয়ে যাও।