বানান নিয়ে একটুখানি

কিশোর আলোর নভেম্বর সংখ্যার প্রচ্ছদ
অলংকরণ: সাদাত

তোমরা কি লক্ষ করেছ, ফেসবুকে অনেকে ‘যায়’ আর ‘যাই’ কিংবা ‘খায়’ আর ‘খাই’ আলাদা করতে পারে না। লিখে ফেলে, ‘আমি খায়।’ ‘বাদল খাই।’ এগুলো যে ভুল, তা তোমরা জানো। আমি খাই, আমি যাই, আমরা খাই, আমরা যাই। সে খায়, তারা যায়, তাঁরা যান। এই ভুলটা হয়তো শুরু হয়েছিল কি–বোর্ডে ফোনেটিক কায়দায় বাংলা লিখতে গিয়ে। কিন্তু আজকাল এই ভুলটা অনেকেই ভুল বলে আর গ্রাহ্যই করে না। আমরা আশা করব, তোমরা এ ধরনের ভুল করবে না।

আবার ধরো, ‘মুখস্থ’ শুদ্ধ, ‘মুখস্ত’ ভুল। যা মুখে থাকে, তা হলো ‘মুখস্থ’। যেমন কণ্ঠস্থ। আবার ‘গ্রস্ত’ কথাটা এসেছে গ্রাস থেকে, কাজেই এটা গ্রস্ত। পুরস্কার, তিরস্কার ও নমস্কার দন্ত্য-স দিয়ে, ‌‘বহিষ্কার’, ‘আবিষ্কার’ আবার ‘ষ’ দিয়ে। বিদেশি শব্দে কখনো ‘ষ’ বা মূর্ধণ্য ‘ণ’ হবে না। যেমন স্টেডিয়াম। বিদেশি শব্দে আমরা দীর্ঘ ঊ-কার বা ঈ-কারও দেব না। শুধু তৎসম শব্দে ষ, ণ, দীর্ঘ-ঈ-কার বা দীর্ঘ ঊ-কার ব্যবহার করব।

কাপড় পরা, বই পড়া। প্রথমটা পরিধান করা, দ্বিতীয়টা পাঠ করা।

বানান নিয়ে একটা বড় বক্তৃতা দেওয়ার জায়গা এটা নয়। শুধু বলতে চাই, আমাদের চেষ্টা করা উচিত শুদ্ধ বানান শেখার এবং লেখার। ভুল হতেই পারে। কিন্তু অন্তত চেষ্টাটা থাকা উচিত। তোমরা কী বলো?