ডোরবেল কি একা একা বেজে উঠতে পারে
ভাবো তো, তুমি ঘরে একা। সন্ধ্যা নেমেছে। বাইরে ঝিঁঝি ডাকছে। হঠাৎ—টিং টং!
তুমি চমকে উঠলে। দরজা খুলে দেখলে কেউ নেই!
ভূত নাকি? নাকি ডোরবেলের দুষ্টুমি?
আসলে ডোরবেল একা একা বেজে উঠতে পারে। কিন্তু তার কারণ ভূত নয়, প্রযুক্তি।
ওয়্যারলেস ডোরবেলের দোষ হতে পারে
ব্যাটারি শেষের পথে: ব্যাটারি কমে গেলে অনেক সময় বাটন ভুল সংকেত পাঠায়। ফলে দরজায় কেউ না এলেও ‘টিং টং’ বাজে।
সিগন্যালের ঝামেলা: আশপাশের গ্যারেজ ডোর ওপেনার, বেবি মনিটর, কিংবা স্মার্ট ডিভাইসের সিগন্যাল যদি একই ফ্রিকোয়েন্সিতে চলে, তাহলে তোমার ডোরবেল হঠাৎ বেজে উঠতে পারে।
ডোরবেল আর রিসিভারের অসামঞ্জস্য: দুটি যন্ত্র ঠিকঠাক ‘সিঙ্ক’ না থাকলেও এমনটা হয়।
তারের ডোরবেল হলে কারণ অন্য রকম
বিদ্যুৎ ওঠানামা: অনেক সময় হালকা পাওয়ার সার্জ বা স্মার্ট ডোরবেলের নাইট মোড চালু হওয়ার সময় হঠাৎ চিম বাজে।
বাটনের সমস্যা: বাটন যদি আটকে যায় বা ভেতরের ধাতব অংশ বাঁকা হয়ে থাকে, তাহলে সেটি চেপে না ধরলেও বাজতে পারে।
ঢিলা তার: পুরোনো বা ক্ষতিগ্রস্ত তারও ভুল সংকেত পাঠিয়ে বাজিয়ে দেয় বেল।
সব ধরনের ডোরবেলের সাধারণ কারণ
পরিবেশের প্রভাব: ধুলা, আর্দ্রতা বা তাপমাত্রার তারতম্যে বেলের ভেতরের যন্ত্রাংশে গোলযোগ হতে পারে।
বাইরের সিগন্যাল: কখনো কখনো প্রতিবেশীর গাড়ির দরজা বা অন্য কোনো বেতার সিগন্যালও বেল বাজিয়ে দিতে পারে।
তাহলে কী করবে
পাওয়ার পরীক্ষা করো: ওয়্যারলেস হলে ব্যাটারি বদলে দেখো। আর ওয়্যার্ড হলে বিদ্যুৎ–সংযোগ ঠিক আছে কি না, দেখো।
বাটন পরিষ্কার করো: ধুলা বা আর্দ্রতা থাকলে পরিষ্কার করে শুকনা রাখো।
সিগন্যাল বদলাও: ওয়্যারলেস হলে ফ্রিকোয়েন্সি বা চ্যানেল পরিবর্তন করে দেখো।
তার পরীক্ষা করো: পুরোনো বা ঢিলা তার ঠিক করে নাও।
খেয়াল করো: বেল বাজলে আশপাশে কিছু ঘটছে কি না—যেমন কোনো গাড়ির দরজা খোলা বা অন্য যন্ত্র চালু হওয়া।
তাই, পরেরবার ‘টিং টং’ শুনে ভয় পেয়ো না। সম্ভবত ভূত নয়, তোমার ডোরবেলই একটু খামখেয়ালি হয়ে উঠেছে।