আগেকার দিনে বিভিন্ন দেশের রাজকুমার ও রাজকুমারীদের স্বয়ংবর সভা বলে একটা সভার প্রচলন ছিল। এ সভায় দেশ–বিদেশ থেকে উপযুক্ত পাত্র–পাত্রীরা আসতেন এবং যাঁর বিয়ে হবে, তিনি পছন্দের কাউকে বেছে নিতেন। তো, নোয়াশালগড়ের রাজকুমারী চন্দ্রমল্লিকার বিয়ে হবে। অনেক পাত্র দেখেটেখে তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রাজসিংহপুরের প্রিন্স চান মিয়া, মেহেরগঞ্জের ধনী ব্যবসায়ী ধানকুমার এবং রাঙ্গা গ্রামের রাজা পান চরণ।
চান মিয়া ও ধানকুমারের মধ্যে ‘হয় দুজনের চোখই নীল অথবা কারও নয়’ এবং ‘একজনের চুল লাল, অন্যজনের নয়’।
চান মিয়া ও পান চরণের মধ্যে ‘হয় দুজনের চুলই লাল অথবা কারও নয়’ এবং ‘একজনের উচ্চতা ছয় ফুট এবং অন্যজনের নয়’।
ধানকুমার ও পান চরণের মধ্যে ‘একজনের চোখ নীল, অন্যজনের নয়’ এবং ‘একজনের উচ্চতা ৬ ফুট, অন্যজনের ৯’।
চন্দ্রমল্লিকা ঠিক করলেন নীল চোখ, লাল চুল আর ছয় ফুট—এই তিন বৈশিষ্ট্যের মধ্যে ‘যদি কোনো একজনের ঠিক দুটো বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে যাঁর সবচেয়ে কমসংখ্যক বৈশিষ্ট্য থাকবে, তাঁকে বিয়ে করবেন’ এবং ‘যদি এঁদের মধ্যে কোনো একজনের ঠিক একটা বৈশিষ্ট্য থাকে, তাহলে যাঁর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বৈশিষ্ট্য, তাঁকে বিয়ে করবেন।’
এবার ঠান্ডা মাথায় যুক্তিসহ বলো যে চন্দ্রমল্লিকার সৌভাগ্যবান স্বামী কে হতে যাচ্ছেন, চান, ধান না পান?
উত্তর
পানচরণ।
একটু চিন্তা করলে বুঝবে দুটি ঘটনার একটা ঘটে আছে এখানে। চান মিয়ার নীল চোখ, ছয় ফুটি; ধানকুমারের সবই আছে; পানচরণের কিছুই নেই। অথবা চান মিয়ার চুল লাল; ধানকুমারের কিছুই নেই; পানচরণের সব আছে। দুই ক্ষেত্রেই বিয়ে হবে পানচরণের সঙ্গে।