কফির গন্ধে ধরা পড়ল পালানো বানর

পালানো বানরছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনার ছোট্ট শহর ইউটাভিলের এক মজার ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে।

শহরের উৎসব ইউটাভিল ক্র্যাপি ক্ল্যাসিক অ্যান্ড ফল ফেস্টে সবাই যখন আনন্দে ব্যস্ত, তখন হঠাৎ খবর ছড়িয়ে পড়ে—একটা বানর নাকি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
টাউন ক্লার্ক কেইসি হিল প্রথমে ভাবলেন, এটা হয়তো কারও মজার গল্প।

পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে প্রত্যক্ষদর্শীদের তোলা ছবি। ছবিতে দেখা যায়, একটি স্পাইডার বানর রাস্তায় দৌড়াচ্ছে।

তখন ব্যাপারটা সত্যি বলেই মনে হলো।

কিছুক্ষণ খোঁজার পর তাঁরা দেখেন, বানরটি বসে আছে এক নরসুন্দরের দোকানের গাড়ির পেছনে।

কেইসি হিল তখন শহরের মেয়র ব্র্যান্ডন ও তাঁর স্ত্রী লরাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন বানর উদ্ধার অভিযানে।

কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তাঁরা দেখলেন, বানরটি বসে আছে এক নরসুন্দরের দোকানের গাড়ির পেছনে। কিন্তু তাঁরা এগোতেই বানরটি চমকে উঠে ছুটল সাউথ ক্যারোলাইনার ফার্স্ট ন্যাশনাল ব্যাংকের দিকে।

বানরটি আতঙ্কে চেঁচামেচি করছিল। তখন কেইসির মাথায় এল এক দারুণ কৌশল। তিনি নিজের গরম কফির কাপটা মাটিতে রেখে ঢাকনাটা খুলে দিলেন। তারপর একটু পিছিয়ে গেলেন।

কফির গন্ধে বানরটি এগিয়ে এল। কৌতূহলভরে কাপের ভেতর তাকাতেই কেইসি পা দিয়ে আলতো করে তার শরীরের সঙ্গে বাঁধা রশি চেপে ধরলেন। এভাবে বানর ধরা পড়ল।

অল্পক্ষণের মধ্যেই একজন নারী এসে জানালেন, বানরটি তাঁর পোষা। নাম এভা।

জানো কি, স্পাইডার বানর মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার অরণ্যের প্রাণী। সাউথ ক্যারোলাইনায় এখনো বানর পোষার জন্য কোনো পারমিট লাগে না। তবে অঙ্গরাজ্যের আইনসভায় একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে, ভবিষ্যতে সব পোষা প্রাইমেটকে নিবন্ধন করতে হবে।

এভা নিজের মালিকের কোলে ফিরে গিয়ে নিশ্চয়ই ভাবছে, মানুষও যে কফিতে এমন ফাঁদ পাতে, তা কে জানত!

জানো কি

স্পাইডার বানরের হাত-পা এত লম্বা যে তারা গাছের ডাল থেকে ডালে দোল খেতে খেতে ঘণ্টায় প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।

তাদের লেজ খুব শক্তিশালী। পুরো শরীরের ওজন নিতে পারে লেজ।

তাদের প্রিয় খাবার ফল ও ফুল। মাঝেমধ্যে তারা পাতা আর ছোট পোকামাকড় খায়।বিজ্ঞানীরা বলেন, স্পাইডার বানরের স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। তারা কোন গাছে কখন ফল পাকবে, সেটা মনে রাখতে পারে।