অ্যানিমের রাজ্যে স্বাগত

তোমাদের অনেকেই অ্যানিমে দেখতে চাও। কিন্তু কীভাবে কী শুরু করবে, তা ঠিক বুঝতে পারছ না। তোমাদের জন্যই আজকের এই লেখা। এই লেখা শুধু তাদেরই জন্য, যারা অ্যানিমের দুনিয়ার সঙ্গে সেভাবে এখনো পরিচিত নয়। যারা ইতিমধ্যেই অ্যানিমেভক্ত বা ওতাকু, তাদের কাছে লেখাটা একটু বাচ্চা-বাচ্চাই লাগবে হয়তো। চিন্তার কোনো কারণই নেই, তোমাদের জন্য সামনে আসছে আরও অনেক কিছু।

প্রথমেই মাথায় আসবে অ্যানিমে দেখব কোথায়? বাসায় যদি নেটফ্লিক্স থাকে, তবে তো কথাই নেই। নেটফ্লিক্সের অ্যানিমে সংগ্রহ বেশ ভালো। অন্তত নতুন যারা দেখতে শুরু করবে, তাদের জন্য নেটফ্লিক্সে মোটামুটি সব ধরনের অ্যানিমেই রয়েছে। এ ছাড়া আমাদের দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আইফ্লিক্সেও পাবে অনেকগুলো অ্যানিমে। প্রচুর ওয়েবসাইটও রয়েছে, যেখানে তুমি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে অ্যানিমে দেখতে পারবে। একটু গুগলে খোঁজাখুঁজি করলেই পেয়ে যাবে সেসব ওয়েবসাইটের খোঁজ। তা ছাড়া ফেসবুকে বাংলাদেশি অনেক অনেক অ্যানিমে ফ্যান গ্রুপ রয়েছে। সেসব গ্রুপে একটু ঢুঁ মারলেই অ্যানিমে কীভাবে দেখব, কোনটা দেখব এবং কেন দেখব টাইপ সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে মুহূর্তেই।

শুরুতে অ্যানিমে দেখতে গেলে কিছু কথার মুখোমুখি তোমাকে হতে হবে, যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, ‘কী সব বাচ্চাদের জিনিস দেখো’, ‘এত বড় হয়ে কেউ এসব কার্টুন দেখে’, ‘এসব তো বাচ্চারা দেখে, তুমি কি বাচ্চা’ ইত্যাদি। সত্যি কথা বলতে, কার্টুন আর অ্যানিমের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্যটা হচ্ছে কার্টুনের চেয়ে অ্যানিমের দর্শকদের পরিধি অনেক বড়। অ্যানিমে বানানো হয় নানা বয়সের নানান মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে। একদম বাচ্চাদের জন্য যেমন অ্যানিমে আছে, আবার আছে তোমার আমার চেয়েও বয়সে বড় মানুষদের জন্যও। তাই অ্যানিমে মানেই বাচ্চাদের জিনিস, কথাটা মোটেও সত্য নয়।

শুরুর দিকে অ্যানিমে দেখতে গেলে একটু অন্য রকম লাগতে পারে। জাপানি ভাষাটা যেহেতু অপরিচিত, চাইলে তুমি ইংরেজিতে ডাবিং করা অ্যানিমে দেখতে পারো। আর সাবটাইটেল তো আছেই, আস্তে আস্তে ঠিকই মানিয়ে নিতে পারবে। এতে একদিকে যেমন ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়বে, তেমনি আস্তে আস্তে তুমি জাপানি ভাষাটাও রপ্ত করে ফেলবে। শুধু কি ভাষা? জাপানিদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন, রীতিনীতি, আচার-আচরণ সম্পর্কেও আস্তে আস্তে অনেকটাই জানতে পারবে।

বৈচিত্র্যময় ঘরানার নানা ধরনের অ্যানিমে মিলে গড়ে উঠেছে এক বিশাল জগৎ। তা সেটা টিভি সিরিজই হোক কিংবা ফিল্ম, তোমার যে ধরনের বিষয় ভালো লাগে, সেটা হোক না ফ্যান্টাসি, কমেডি, অ্যাডভেঞ্চার, সাই-ফাই, হরর, স্পোর্টস, অ্যাকশন—বলা যায় এমন কোনো কিছু নেই, যেটার ওপর কোনো অ্যানিমে নির্মিত হয়নি। এখন অ্যানিমে দেখা শুরুর আগে ঠিক করে নাও তুমি কোন ধরনের অ্যানিমে দেখতে চাও। যেই অ্যানিমেটা তুমি দেখতে চাইছ, তা তোমার বয়স উপযোগী কি না, সেটাও একটু খেয়াল রাখতে হবে। যেমন ধরো, ডেথনোট অসম্ভব সুন্দর একটা অ্যানিমে, কিন্তু বলা হয় যাতে ১২ বছরের কম বয়সী কেউ এটা না দেখে। কারণ, তাদের কাছে গল্পটা অনেকটা গোলমেলে আর অদ্ভুত লাগবে।

তারপরও অ্যানিমে দেখার ব্যাপারে তুমি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারো। তাই তোমার জন্যই জানিয়ে দিলাম চমৎকার কিছু অ্যানিমের সন্ধান।

মাই হিরো একাডেমিয়া

সুপারহিরো শুনলেই কেমন রোমাঞ্চকর একটা অনুভূতি হয় না? সুপারহিরো মানেই সবার চেয়ে আলাদা কিছু। যার থাকে অদ্ভুত সব সুপারপাওয়ার, যা অন্যদের থাকে না। সেই পাওয়ার দিয়ে কত শত ভিলেনের সঙ্গেই না লড়াই করে তারা। বাঁচায় হাজার হাজার মানুষের জীবন। কিন্তু এমন যদি হয়, এই পৃথিবীর সবাই প্রায় সুপারহিরো, তখন ব্যাপারটা কেমন হবে?

মাই হিরো একাডেমিয়ার গল্পটা গড়ে উঠেছে টোকিও শহরকে ঘিরে। যেখানে দুই ধরনের মানুষের বসবাস। একদল জন্মগতভাবেই বিভিন্ন সুপারপাওয়ার নিয়ে বেড়ে ওঠে। অন্য দল বেড়ে ওঠে কোনো সুপারপাওয়ার ছাড়াই। এই সুপারপাওয়ারবিহীন মানুষগুলোর সংখ্যা আবার বেশ নগণ্য। অ্যানিমের প্রধান চরিত্র ইজুকু তেমনই একজন মানুষ, যার নেই কোনো সুপারপাওয়ার। কিন্তু ইজুকু সব সময়ই চায় একজন সুপারহিরো হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে। একটা সময় ইজুকুর কাছে সুযোগ আসে সুপারহিরোদের সবচেয়ে বিখ্যাত স্কুলে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু সেখানে ভর্তি হওয়া কি এতই সোজা? তার ওপর তো ইজুকুর নেই কোনো সুপারপাওয়ার। ইজুকুর সুপারহিরো হওয়ার ইচ্ছা কি তবে আর পূরণ হবে না? বাকিটুকু জানতেই দেখতে পারো মাই হিরো একাডেমিয়া

কেনজি নাগাসাকির পরিচালনায় এখন পর্যন্ত এই অ্যানিমের পাঁচটি সিজন মুক্তি পেয়েছে। পাঁচটি সিজনে মোট ১১৩টি পর্ব রয়েছে। তা ছাড়া এ বছরই পরবর্তী সিজন মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অ্যানিমে সিরিজ ছাড়াও মাই হিরো একাডেমিয়ার তিনটি অ্যানিমে ফিল্মও রয়েছে।

ডেথনোট

ধরো, তোমাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে সমাজ থেকে সব ধরনের অপরাধীকে ইচ্ছেমতো শাস্তি দেওয়ার। তুমি কী করবে? যা-ই করো না কেন, এমন সুযোগ যে কতটা ঝামেলায় ফেলে দেয়, সব মিলিয়ে তারই এক উদাহরণ ডেথনোট। আগের দুটো অ্যানিমের চেয়ে এই অ্যানিমেটি বেশ ভিন্নধর্মী। এই অ্যানিমের শুরুতে গল্পের প্রধান চরিত্র লাইট ইয়াগামি অদ্ভুত এক নোটবুক খুঁজে পায়। যে নোটবুকে কারও নাম লেখার ৪০ সেকেন্ডের ভেতর সেই ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই মৃত্যুর পেছনে কার হাত, তা–ও কেউ জানতে পারে না। লাইট তখন সিদ্ধান্ত নেয় এভাবেই সে নীরবে সমাজ থেকে সব অপরাধীকে দূর করবে। এভাবেই সে একের পর এক অপরাধীকে সরিয়ে দিতে থাকে। লাইট ‘কিরা’ ছদ্মনামে। পরিচয় দেয়। কয়েক দিন পর দেখা যায় ওই শহরেই আরও একজন কিরার আবির্ভাব ঘটেছে। লাইটের মতোই আরেক ডেথনোটের মালিক সে। এখন কী হবে? দুই কিরা কি একে অন্যের পেছনে ছুটবে নাকি একসঙ্গে মিলে শেষ করবে সব অপরাধীকে?

শুরুর দিকে অ্যানিমে দেখতে গেলে একটু অন্য রকম লাগতে পারে। জাপানি ভাষাটা যেহেতু অপরিচিত, চাইলে তুমি ইংরেজিতে ডাবিং করা অ্যানিমে দেখতে পারো। আর সাবটাইটেল তো আছেই, আস্তে আস্তে ঠিকই মানিয়ে নিতে পারবে। এতে একদিকে যেমন ইংরেজিতে দক্ষতা বাড়বে, তেমনি আস্তে আস্তে তুমি জাপানি ভাষাটাও রপ্ত করে ফেলবে। শুধু কি ভাষা? জাপানিদের সংস্কৃতি, জীবনযাপন, রীতিনীতি, আচার-আচরণ সম্পর্কেও আস্তে আস্তে অনেকটাই জানতে পারবে।

নারুতো

অনেক কিছুই জন্মগতভাবে পাওয়ার সৌভাগ্য হয় না আমাদের। তখন সেই না–পাওয়ার বিষয়গুলোই একসময় পরিণত হয় লক্ষ্যে। লক্ষ্য ছোঁয়ার জন্য শত আঘাত সহ্য করেই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে স্বপ্ন পূরণ—এক লাইনে এটাই নারুতোর গল্প। জন্ম থেকে কখনো ভালোবাসা না পাওয়ার পরও একজন মানুষের মনে কীভাবে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা কাজ করে, সেটাই আমাদের শেখায় নারুতো।

আসলে এককথায় এভাবে অ্যাডভেঞ্চার-ফ্যান্টাসি-কমেডি ঘরানার নারুতোর গল্পটা কখনোই বোঝানো যাবে না। তা ছাড়া এর পর্বসংখ্যাও একটু বেশি দেখে অনেকেই শুরুতে ভাবতে পারো এত বড় অ্যানিমে! নারুতোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটা নারুতো আর পরেরটা নারুতো: শিপ্পোডেন। এই দুই ভাগে প্রায় ৭০০ পর্ব রয়েছে। যে কারণে অনেকেই ভাবতে পারো, এত লম্বা সময় ধরে এটা দেখার কী আছে? আসলে নারুতো এমন যে না দেখলে কেউই এর বিশেষত্বটা ধরতে পারবে না। প্রায় এক লাখ ভোটের পরেও মুভিবিষয়ক ওয়েবসাইট আইএমডিবিতে নারুতোর রেটিং প্রায় ৮.৫ ছুঁই ছুঁই। এ থেকে একটু ধারণা পাওয়া যায় কেন আমাদের নারুতো দেখা উচিত। অনেকেই এই সিরিজটা দেখে অ্যানিমেভক্ত বা ওতাকু হয়েছে, অন্যদিকে অনেকেই আবার ‘এত বড় অ্যানিমে কেন দেখব’ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই হয়েছে নারুতোভক্ত। সুন্দর গল্প, চমৎকার অ্যানিমেশন আর মনোমুগ্ধকর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মুহূর্তেই দর্শকদের মন জয় করে নিতে বাধ্য। নারুতো সারা বিশ্বে এতটাই জনপ্রিয় যে ৭০০ পর্ব ছাড়াও ১১টি অ্যানিমে ফিল্ম নির্মিত হয়েছে এর কাহিনিকে কেন্দ্র করে। এখন পর্যন্ত ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করেছে নারুতো ফ্র্যাঞ্চাইজি।

রুরোউনি কেনশিন

নামটি দেখে অনেকে অ্যানিমেভক্ত হয়তো অবাক হবে। এত কিছু থাকতে রুরোউনি কেনশিন! কিন্তু নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশিদের জন্য এক আবেগের নাম এই ক্ল্যাসিক্যাল অ্যানিমে। তখন এই অ্যানিমে দেখানো হয়েছিল সামুরাই এক্স নামে। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকে বেশির ভাগ বাংলাদেশির অ্যানিমে দেখার হাতেখড়ি হয় বিটিভিতে প্রচারিত রুরোউনি কেনশিনের ইংরেজিতে ডাব করা সামুরাই এক্সের মাধ্যমে।

কেনশিন হিমুরা নামের মেইজি যুগের এক সামুরাইয়ের জীবন নিয়েই সামুরাই এক্সের কাহিনি। কেনশিন মূলত তার ভয়ংকর অতীতকে পেছনে ফেলে একদম সহজ-সরল জীবনযাপনের জন্য কিয়োটো শহরে উপস্থিত হয়। সেখানে তার পরিচয় হয় কাউরো কামিয়ার সঙ্গে। দুজন মিলে সেখানে গড়ে তোলে ছোট্ট সংসার। সে সংসারে পরবর্তীকালে যুক্ত হয় কিশোর ইয়াহিকো এবং ভয়ংকর যোদ্ধা সানোসুকি, যার কাছে রয়েছে জানবাতো নামের বিশাল এক অস্ত্র। এই চারজনকে নিয়েই এগিয়েছে অ্যানিমেটির কাহিনি। যারা চায় তাদের অন্ধকার অতীতকে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে, তারা চাইলেই কি তাদের ভয়ংকর অতীত থেকে দূরে সরে আসতে পারে? শত্রুরাও যে পিছু নিয়েছে শুরু থেকেই।

এই অ্যানিমেতে কেনশিন হিমুরার কোমরে বাঁধা বিখ্যাত তলোয়ার, পনিটেইল করে বাঁধা লাল চুল, বাঁ গালে ক্রস চিহ্ন—এ সবই তুমুল জনপ্রিয়। বৈচিত্র্যময় অস্ত্রবিদ্যা, দ্রুতগতি আর দৃঢ়তার জন্য কেনশিন হিমুরা দ্রুতই দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে। ৯৫ পর্বের এই অ্যানিমে সিরিজের বাইরে তিনটি আলাদা মুভিও আছে।

এ ছাড়া দেখতে পারো ডেমন স্লেয়ার, অ্যাটাক অন টাইটান, ড্রাগন বল জি, কাউবয় বেডপ, মুশি-শি, ডিটেকটিভ কোনান, পোকেমন প্রভৃতি। তাহলে চলে এসো।

ফুলমেটাল আলকেমিস্ট: ব্রাদারহুড

অনেক দর্শক বলে, ফুলমেটাল আলকেমিস্ট দেখার কী দরকার? এর চেয়ে ফুলমেটাল আলকেমিস্ট: ব্রাদারহুড দেখলেই তো হয়। এটা সত্য যে ফুলমেটাল আলকেমিস্ট আর ফুলমেটাল আলকেমিস্ট: ব্রাদারহুড–এর মধ্যে এমন কোনো কিছু নেই যে একটা না দেখলে আরেকটা বুঝতেই পারবে না। কিন্তু পরিপূর্ণভাবে অ্যানিমেটাকে বুঝতে হলে দুটো অ্যানিমেই দেখা ভালো। কারণ, ফুলমেটাল আলকেমিস্ট যখন অ্যানিমে সিরিজ হিসেবে মুক্তি পায়, তখনো এর জাপানিজ মাঙ্গা বা কমিকসের কোনো সম্পূর্ণ কাহিনি ছিল না। কিন্তু ফুলমেটাল আলকেমিস্ট: ব্রাদারহুড-এ মাঙ্গার সম্পূর্ণ কাহিনি অনুসরণ করা হয়েছে। অ্যানিমে দুটোর আইএমডিবি রেটিং যথাক্রমে ৮.৫ ও ৯.১।

গল্পটা এডওয়ার্ড ও আলফানসো নামের দুই ভাইয়ের, যাদের বাবা ছিলেন এক বিখ্যাত আলকেমিস্ট। কিন্তু তিনি অল্প বয়সেই তাঁর পরিবারকে ছেড়ে চলে যান। মায়ের কাছে বড় হতে থাকা দুই ভাইও একসময় আলকেমি নিয়ে আগ্রহী হতে শুরু করে। এমন সময়ই মারা যায় তাদের মা। পরবর্তী দুই ভাই-ই পুরো বিশ্ব ঘুরে আলকেমির নানা জ্ঞান অর্জন করে সিদ্ধান্ত নেয় তাদের মায়ের জীবন আবার ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু তারপর? আলকেমিতে তো মানুষের প্রাণ ফিরিয়ে আনা মহা অন্যায়। এডওয়ার্ড আর আলফানসো কি মায়ের জীবন ফিরিয়ে আনতে পারে নাকি তাদের দিতে হবে আত্মত্যাগ? যাহোক, একটা দেখবে নাকি দুটোই দেখবে, এটা সম্পূর্ণ তোমার ব্যাপার। যদি ফুলমেটাল আলকেমিস্ট: ব্রাদারহুড দেখেই বুঝতে পারো বেশ ভালো, তবে প্রথমটা দেখে পরেরটা দেখলে বেশি ভালো লাগে আরকি।