অ্যানিমেগুলো ভূতের

ছোটবেলায় শাকচুন্নি, ডাইনি আর ভূতের গল্প আমরা কে না শুনেছি! যদিও এসব ভূতের অস্তিত্ব আসলেই আছে কিনা তা নিয়ে রহস্যের শেষ নেই। ভূতের রহস্যের শেষ না থাকলেও ভূতের গল্প, সিনেমা কিংবা অ্যানিমের প্রতি কৌতুহল কিন্তু অনেকেরই আছে। তাই তোমারও যদি ভূত নিয়ে সীমাহীন আগ্রহ থাকে, নিঃসন্দেহে দেখে ফেলতে পারো এই অ্যানিমেগুলো।

হেলগার্ল

হরর অ্যানিমের কথা বলতে গেলে প্রথমেই আসবে ‘হেলগার্ল’-এর কথা। ২০০৫ সালে প্রথম প্রচারিত হওয়ার পর ভক্তদের কাছে বিপুল সাড়া পায় এর চারটি সিজনই। ‘হেলগার্ল’-এর প্রতিটি পর্বেই দেখা হবে এক ভুতুড়ে ‘হেলগার্ল’ (এনমা আই)-এর সঙ্গে। ইন্টারনেটে একটা অদ্ভুত ওয়েবসাইট আছে, যেখানে কেবল রাত ১২টার পরই লগইন করা যায়। তুমি যদি সেখানে তোমার সবচেয়ে অপছন্দের মানুষটির নাম লিখে আসো, যাকে তুমি নরকে পাঠাতে চাও, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে একটি পুতুল হাতে হাজির হবে এনমা। সে জানাবে এই কাজের জন্য তোমাকেও একটা মূল্য পরিশোধ করতে হবে। তা হলো স্বাভাবিক মৃত্যুর পর তোমাকেও যেতে হবে নরকেই। একজনকে ঠিক কতটুকু ঘৃণা করলে নিজের ক্ষতি জেনেও তাকে নরকে পাঠাতে চাইবে তুমি? এমনই একটা মনস্তাত্বিক কিন্তু ভৌতিক কাহিনি নিয়ে এগোতে থাকে অ্যানিমেটি, যার প্রতিটি পর্বেই রয়েছে নতুন নতুন কাহিনি আর বৈচিত্র্য।

আনাদার

১২ পর্বের এই অ্যানিমেটি শুরুতে কিছুটা একঘেয়ে লাগতে পারে তোমার কাছে। কিন্তু ধীরে ধীরে কাহিনির যতটা গভীরে ঢুকবে তুমি, শিউরে উঠবে ততটাই। ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী, খেলাধুলায় পারদর্শী ও জনপ্রিয় ছাত্রী মিসাকি। তার হঠাৎ মৃত্যুতে শোক নেমে আসে ইয়োমিয়ামা নর্থ মিডেল স্কুলে। মিসাকি মৃত জেনেও সে ওদের সঙ্গেই আছে ভেবে প্রতিদিন ক্লাস করে তারা। কিন্তু একটা অদৃশ্য অভিশাপও রয়ে যায় তাদের মাঝে। বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্লাসের কেউ অথবা কারও আপনজন মারা যায় প্রতিবছর। ২৬ বছর পর স্কুলে বদলি ছাত্র কৌচি সাকাকিবারার ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলেছিল সেই ভৌতিক ‘অভিশাপ’ এবং  এতগুলো রহস্যময় মৃত্যুর কারণটাই বা কী, তা জানতে দেখে ফেলো অ্যানিমেটি। এ রকম থ্রিলার, হরর ও রহস্যের মিশেল নিশ্চয়ই ভালো লাগবে তোমাদের।

গোস্ট হান্ট

‘গোস্ট হান্ট’-এর প্রতিটি পর্ব শুরু হয় তারিখ আর বার দিয়ে। ‘প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেশন’ কিংবা রহস্য সমাধানে আগ্রহ থাকলে এই অ্যানিমেটি ভালো লাগবে তোমার। বন্ধুদের মধ্যে এমন একজন থাকেই, যার ভূত-প্রেত নিয়ে বেশি আগ্রহ। ভূতের গল্প বলতে যে সবচেয়ে পারদর্শী। এ রকমই একটি চরিত্র মাই তানিয়ামা। ‘এসপিআর’ বা ‘শিবুয়া সাইকিক রিসার্চ’-এর প্রধান শিবুয়া কাজুয়ার তত্ত্বাবধানে অশরীরী ও মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করে তাদের একটি দল। পরিত্যক্ত ও পুরোনো একটি ভুতুড়ে স্কুল ভবনকে ঘিরে কাহিনি শুরু হলেও গল্প গড়ায় আলাদা আরও সাতটি কেস বা ফাইল নিয়ে। এর মধ্যে কয়েকটি কেস এতটাই ভৌতিক ও রোমাঞ্চকর যে রাতের বেলা একা একা দেখার মতো দুঃসাহস না থাকলে কয়েকজন মিলে দেখাই ভালো।

কাকুরেনবো

মাত্র ২৫ মিনিটের একটি অ্যানিমে মুভি কাকুরেনবো। গল্পটি মূলত বাচ্চাদের একটি লুকোচুরি খেলা নিয়ে, যার নাম এখানে ‘ওতোকয়ো’। ওতোকয়ো সাধারণ কোনো লুকোচুরি খেলা নয়। এখানে যে-ই ধরা পড়বে তাকেই ধরে নিয়ে যাবে কিছু রক্তপিপাসু দানব! তাই শহরের ধ্বংসাবশেষে লুকোচুরি খেলতে গেলেই হারিয়ে যায় বাচ্চা ছেলেমেয়েরা। এমন অবস্থায় হারিয়ে যাওয়া বোনকে খুঁজতে আসে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিকোরা। তার পিছনে ধেয়ে আসে মুখোশধারী রক্তলোলুপ দানবের দল। খেলার শুরু হয় এখান থেকেই। শেষমেশ কী হয় তা জানতে দেখে ফেলো অ্যানিমেটি। বেশ পুরোনো হওয়ায় এর গ্রাফিকস খুব একটা উন্নত নয়, কিন্তু গল্পের গাঁথুনি অসাধারণ। দেখতে খারাপ লাগবে না একটুও।