আমার প্লে লিস্ট

মিনার রহমান
মিনার রহমান

এই মুহূর্তে আমার প্লে লিস্টে যে গানটি সবচেয়ে বেশি বাজছে, সেটার নাম ‘স্ট্রং’। যদিও ‘লন্ডন গ্রামার’-এর এই গানটি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছিল পাঁচ বছর আগে। তাঁদের ‘হেই নাও’, ‘নাইটকল’, ‘মেটাল অ্যান্ড ডাস্ট’ গানগুলোও আমার খুবই প্রিয়। বেশ নতুনত্ব খুঁজে পাই লন্ডন গ্রামারের গানে। ইন্ডি পপ, ইলেকট্রনিক ঘরানার ব্যান্ডটি আসলেই ব্যতিক্রম। মাঝে কিছুদিন হঠাৎ করেই ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ শোনা শুরু করেছিলাম আবার। আমার মনে আছে, মহীনের ঘোড়াগুলির গান প্রথম শুনেছিলাম বেশ ছোটবেলায়। ক্লাস ফোর কিংবা ফাইভে পড়ি হয়তো। একদিন বিকেলে মেজ আপু মহীনের ঘোড়াগুলির ‘মায়া’ ও ‘ঝরা সময়ের গান’ নিয়ে ঘরে ফিরলেন। সেই থেকে কলকাতার এই ব্যান্ডের সঙ্গে আমার পরিচয়। কয়েক দিন আগে তাদের ‘সেই ফুলের দল’ গানটি আবারও শুনছিলাম অনেক বছর পর। ‘তোমায় দিলাম’, ‘মানুষ চেনা দায়’, ‘ভিক্ষেতে যাব’, ‘দক্ষিণ খোলা জানলা’—তাঁদের এই গানগুলো ছোটবেলা থেকেই আমাকে অদ্ভুত এক ভালো লাগায় ঘিরে রেখেছে সব সময়।

এই তো কিছুদিন আগে মুক্তি পাওয়া লানা ডেল রে’র ‘মেরিনার্স অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স’ শুনছিলাম। সুর আর কথায় নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরেছেন লানা ডেল রে। তাঁর ব্র্যান্ডিং কৌশলটাও বেশ আলাদা মনে হয় আমার কাছে। বিশেষ করে তাঁর ‘বর্ণ টু ডাই’, ‘রাইড’, ‘ব্লু জিনস’, ‘লাভ’, ‘সামারটাইম স্যাডনেস’সহ আরও অনেক গান খুবই প্রিয় আমার।

মাঝেমধ্যেই ফিরে যাই ‘দ্য বিটলস’–এর কাছে। অবাক হয়ে শুনতে থাকি, আর ভাবি, কীভাবে ওই সময় এই ধরনের মিউজিক করেছিলেন বিশ্বসংগীতের এই চার জাদুকর। বিটলসের গান আর মিউজিক বিশাল অনুপ্রেরণা আমার জন্য। একবার একটি কনসার্টে দ্য বিটলসের তিনটি গান কভার করেছিলাম আমি। কালজয়ী এই ব্রিটিশ ব্যান্ডটির ‘হোয়াইল মাই গিটার জেন্টলি উইপস’ গানটি আমার সবচেয়ে প্রিয়।

কোল্ড প্লে
কোল্ড প্লে

ইদানীং ‘দ্য চেইন স্মোকারস’–এর মিউজিক ভালো লাগছে। ‘কোল্ড প্লে’র সঙ্গে তাদের ‘সামথিং জাস্ট লাইক দিস’ ভালো লেগেছে খুব। ‘কোল্ড প্লে’র কথা বলার কিছু নেই। এ জীবনে ‘কোল্ড প্লে’র অসংখ্য গান শুনেছি দিনের পর দিন। এখনো প্লে লিস্টে কোল্ড প্লে থাকবেই। তাদের ‘আপ অ্যান্ড আপ’–এর মিউজিক ভিডিওটি আমার খুব প্রিয়।

প্রায়ই শোনা হয় ‘পিংক ফ্লয়েড’। কেন যেন মনে হয় পিংক ফ্লয়েড কখনো পুরোনো হবে না। যতবার শুনি নতুন লাগে। পিংক ফ্লয়েডের লাইভগুলোই শুনি বেশি। মাঝেমধ্যে আবার অঞ্জন দত্তের গান শুনি। শুনি এলআরবি, নগর বাউল, অর্থহীনের গান। মাঝেমধ্যে আবার হারিয়ে যাই বব ডিলানে। ‘মিস্টার ট্যাম্বউরিন ম্যান’ শুনে মনে হয় এই মানুষটার গান, জীবনদর্শন কী সাধারণ! কিন্তু একই সঙ্গে কী অদ্ভুত অসাধারণ! আরও অনেক শিল্পী, ব্যান্ডের অনেক গান প্রায়ই বেজে ওঠে আমার প্লে লিস্টে। যেমন, ‘এয়ার’–এর ‘চেরি ব্লসম গার্ল’, ‘কিন’–এর ‘সামহোয়্যার অনলি উই নো, ট্রাই অ্যাগেইন, হ্যামবারগ সং’, হান্স জিমারের ‘টাইম’, এ আর রাহমানের ‘ইয়ে জো দেস হে তেরা’, মেটালিকার ‘নাথিং এলস ম্যাটারস, আনফরগিভেন’, পরকুপাইন ট্রির ‘লাজারাস’, ইউটুর ‘ব্যাড, আই স্টিল হ্যাভন্ট ফাউন্ড হোয়াট আই’ম লুকিং ফর’, অল বিকজ অব ইউ, অল আই ওয়ান্ট ইজ ইউ’, কুইনের ‘বোহেমিয়ান র‌্যাপশডি’, ‘অ্যাডেল’–এর ‘সামওয়ান লাইক ইউ’...বলে শেষ করা যাবে না। প্রচুর রবীন্দ্রসংগীতও শোনা হয় আমার। এভাবেই নতুন আর পুরোনো মিলিয়ে আমার গান শোনার জগৎ। নতুন এবং পুরোনো গানের সমন্বয়ে এভাবেই মেতে ওঠে আমার প্লে লিস্ট।