আলভিন অ্যান্ড চিপমুঙ্কস

আলভিন, সাইমন ও থিওডর নামের তিন কাঠবিড়ালি এক বনে বাস করত। কাঠবিড়ালি হলে কী হবে, ওরা গান গাইতে পারত একেবারে জলজ্যান্ত মানুষের মতো। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বনের গাছ কাটতে শুরু করায় ভিটেমাটিছাড়া হয়ে পড়ে তারা। একদিন একটি কাটা গাছের সঙ্গে তারা অজান্তেই চলে যায় যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে। এখানেই তাদের সঙ্গে পরিচয় হয় ব্যর্থ গীতিকার ডেভিড সেভিলের। বলে রাখা ভালো, আলভিন, সাইমন ও থিওডর কাঠবিড়ালি হলেও ডেভিড কিন্তু মানুষ।

ডেভিড কথা বলা এই দুষ্টু কাঠবিড়ালিগুলোর সঙ্গে প্রথম পরিচয়ে একটু বিরক্ত হয়। কিন্তু ওদের কণ্ঠে নিজের লেখা গান শুনে মুগ্ধ হয়। একসময় ভালোবেসে ফেলে ওদের। সবাই মিলে একটি পরিবারের মতো হয়ে যায় ওরা। এভাবেই হাসি-আনন্দে ভালোই কাটছিল ওদের দিন।

গান গাওয়া কাঠবিড়ালিগুলোর কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়তে থাকে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে। একসময় সংগীত ব্যবসায়ী আয়ান হাকও জানতে পারে এই খবর। চকিতে তার মাথায় ব্যবসায়িক বুদ্ধি আসে। সে এই গায়ক কাঠবিড়ালিদের দিয়ে অনেক অর্থ আয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে। অবশ্য সেটা বাস্তব হতেও বেশিদিন লাগে না। কিন্তু ডেভিড এর বিরোধিতা করে।

একসময় আলভিন ও তার সঙ্গীরা খুব জনপ্রিয় হয়ে যায় পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। জুটতে থাকে তারকাখ্যাতি। প্রতিদিন বিভিন্ন শহরে তাদের গানের কনসার্ট থাকে। আর থাকে দর্শক-শ্রোতাদের উপচে পড়া ভিড়। এই অবস্থায় আলভিন ও তার সঙ্গীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয় ডেভিডের। ব্যবসায়ী আয়ান এটাকে আরও উসকে দেয় নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ডেভিডের ভালোবাসাই জয়ী হয়। কিন্তু সেটা কীভাবে? সে-ও এক মজার কাহিনি। পুরো ছবিই নানান মজার ঘটনা আর টানটান উত্তেজনায় ভরপুর। যারা এই মজার ছবি দেখোনি, তারা এখনই দেখে ফেলতে পারো।