এ বাগস লাইফ

ধরন | অ্যানিমেশন/অ্যাডভেঞ্চার/কমেডি
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান |
পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিও
প্রথম প্রকাশ |
১৯৯৮ সাল, যুক্তরাষ্ট্র
রানিং টাইম | ৮৭ মিনিট
ভাষা |
ইংরেজি

কাহিনি সংক্ষেপ: প্রাণিজগতে পরিশ্রমী হিসেবে পিঁপড়েদের বেশ সুনাম আছে। পুরো গ্রীষ্মকালে এরা কঠোর পরিশ্রম করে খাদ্য জমায়। শীত আর বর্ষার প্রতিকূল পরিবেশে সেগুলো খেয়েই বেঁচে থাকে। এরা দলবদ্ধভাবে ছোট ছোট কলোনিতে বসবাস করে। ছোট এক খালের পাড়ে এ রকমই এক কলোনিতে বসবাস করত একদল পিঁপড়ে। রানিমার নেতৃত্বে তারা বেশ সুখেই ছিল। তবে তাদের এ সুখে প্রতিবছর একটি নির্দিষ্ট সময় জোর করে ভাগ বসাতে আসত একদল সন্ত্রাসী ঘাসফড়িং। গায়ের জোরে তারা সহজ-সরল পিঁপড়েদের ওপর চাপিয়ে দিত অন্যায় ইচ্ছে।

ঘাসফড়িংদের কথা হলো, তারা শক্তিশালী, পিঁপড়েরা দুর্বল। তাই পিঁপড়েরা তাদের সেবা করবে, খাবার জোগাড় করবে। আর অলস ঘাসফড়িংরা বসে বসে তা-ই সাবাড় করবে। নিতান্ত বাধ্য হয়ে পিঁপড়েরা মেনেই নিয়েছিল সবকিছু। তারা ঘাসফড়িংদের জন্য সময়মতো খাবার জোগাড় করেও রেখেছিল। কিন্তু ফ্লিক নামের এক বিজ্ঞানমনস্ক পিঁপড়ের কারণে সব খাবার খালের পানিতে পড়ে যায়। সময়মতো খাবার না পেয়ে ঘাসফড়িংরা রীতিমতো চটে যায়। প্রতিশোধ নিতে পিঁপড়েদের কলোনিতে আক্রমণ করে তারা। সবশেষে জুড়ে দেয় কঠিন এক শর্ত। পিঁপড়েদের তা মেনে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না।

তবে এমন অন্যায় আবদার কলোনির সবাই মেনে নিলেও ফ্লিক মেনে নিতে পারে না। ফ্লিক কলোনির আর দশটা পিঁপড়ের মতো সাধারণ নয়। সে একে তো বৈজ্ঞানিক, তাও আবার ভীষণ সাহসী। কিন্তু শক্তিশালী ঘাসফড়িংদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে কলোনির কেউ রাজি নয়। তাই সে একাই বেরিয়ে পড়ে সাহসী যোদ্ধার খোঁজে। শহরে এসে এক সার্কাস দলের একদল পোকামাকড়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের সার্কাস ব্যবসায় তখন মন্দা চলছে। ফ্লিক তাদের কাছে সাহায্য চাইতেই সাতপাঁচ না ভেবে তারা রাজি হয়ে যায়। তাদের সঙ্গে নিয়ে ফ্লিক রুখে দাঁড়ায় অত্যাচারী ঘাসফড়িংদের বিরুদ্ধে। এতে কলোনির পিঁপড়েরা আশ্বস্ত হলেও একসময় জানা যায়, এরা মোটেই যোদ্ধা নয়, বরং ভীষণ ভীরু।

সবাই ফ্লিককে গালমন্দ করলেও সে নতুন আইডিয়া বের করে। এবার সবাই মিলে সন্ত্রাসী ঘাসফড়িংদের মোকাবিলা করার পরিকল্পনা আঁটে। ঘাসফড়িংরা পাখিকে খুব ভয় পায়। তাই তারা শুকনো ঝরাপাতা দিয়ে বানায় বিশাল এক পাখি। এদিকে ঘাসফড়িংরা পাওনা বুঝে নিতে কলোনিতে আসে। তবে বিশাল পাখি দেখে তারা বাবাগো-মাগো বলে পালাতে থাকে। তবে দুর্ভাগ্য বলতেই হবে, দুর্ঘটনায় পাখিটার গায়ে আগুন ধরে যায়। তাতেই ফাঁস হয়ে যায় পিঁপড়েদের সব জারিজুরি। ঘাসফড়িংরা যায় রেগে। এ জন্য ফ্লিক এবং তার পুরো পিঁপড়ে কলোনিকে ভুগতে হয়। কিন্তু তার পরও উপায় একটা ঠিকই বের হয়। সেটা কী? তা জানতে চাইলে মুভিটি দেখে নাও। একটু পুরোনো হলেও এই মুভিটি তোমাদের দুর্দান্ত লাগবে।