তারুণ্যের বারতা

গানের মতো গভীর কিছু কি আছে? হাজার কথায় যা বোঝানো না যায়, গান তাকেই সুরের সুতায় বেঁধে আমাদের অন্তরে দেয় স্থায়ী আসন। করোনায় আমার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর ছিল মনোবল ঠিক রাখা। যখন অনাগত ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তায় মুষড়ে পড়ছিলাম, তখনো পাশে দাঁড়াল চিরকালের সঙ্গী গান। আমার প্রিয় শিল্পী জোয়ান বায়েজ। তাঁর প্রতিটা গানের পরতে পরতে মিশে থাকা মায়া, না শুনলে বোঝা যাবে না। বিশেষ করে বলতে চাই তাঁর গাওয়া ‘Forever Young’ গানটির কথা। কথার জাদুকর বব ডিলানের এই গানটি জোয়ান বায়েজ কভার করেন। গানটি লেখা হয়েছে আমাদের মতো কিশোর-তরুণদের জন্য। নিরবধি ধারায় বয়ে চলা জীবনের প্রতিটি বাঁকে তারুণ্যের চিরসবুজ বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার বারতা পৌঁছে দেয় গানটি। তরুণ মনের ইচ্ছাগুলো যেন আকাশ ছুঁতে চায়। আর সেই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার পথে আমাদের মনোবল দৃঢ় থাকতে হবে। সুখে-দুঃখে সবার পাশে থাকতে হবে, অপরের জন্য কাজ করতে হবে। ভালোবাসা দিলে অবশ্যই পাওয়া যাবে তার প্রতিদানও। গানটির একপর্যায়ে জীবনে নৈতিকতার গুরুত্বকে তুলে ধরা হয়েছে। মনে রাখা দরকার, শুধু নিজে নৈতিক হলেই চলবে না বরং সত্য বলার সাহস নিয়ে যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। কেননা জীবনে তো ভালো আর মন্দ দুটোই থাকবে। আমরা যদি আমাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে জীবনের আলোকিত সুন্দর দিককে আলিঙ্গন করি, তবে ক্ষতি কী?

কথা তো অনেক হলো। এবার ছোট্ট-সহজ-সুন্দর এই গানটি শুনে ফেলা যাক। কথা দিচ্ছি গানটি আমাদের জীবনে আলোর দিশারি হয়ে থাকবে। তারুণ্য চলে যায় কিন্তু আমরা আমাদের মনের তারুণ্যকে হারাতে দেব না কখনো।

লেখক: শিক্ষার্থী, মিরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা