দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টিনটিন: দ্য সিক্রেট অব দ্যা ইউনিকর্ন

পরিচালক: স্টিভেন স্পিলবার্গ
মূল গল্প: হার্জে
মুক্তি: ২০১১
ভাষা: ইংরেজি
দৈর্ঘ্য: ১০৭ মিনিট
কণ্ঠ: জেমি বেল, ড্যানিয়েল ক্রেগ

কিশোর ছেলেটা ভীষণ চটপটে। রহস্যের কিনারা করতে সে পটু। অ্যাডভেঞ্চার ছাড়া সে থাকতেই পারে না। আর তার এসব অ্যাডভেঞ্চারের সঙ্গী বলতে আছে ‘স্নোয়ি’ নামের একটি কুকুর। নানা রহস্যের কিনারা করতে সে কমিকের পাতায় দৌড়েছে পাক্কা ৮৫টি বছর। আর তার এ যাত্রা শুরু হয় ১৯২৯ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে। ছেলেটার নাম টিনটিন। সবচেয়ে বড় খবর হলো এই টিনটিনকে নিয়ে স্টিভেন স্পিলবার্গ তৈরি করেছেন একটি থ্রিডি অ্যানিমেশন মুভি দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টিনটিন: দ্য সিক্রেট অব দ্যা ইউনিকর্ন

দারুণ এই ছবিটার কাহিনি বলার আগে বলছি এটি বানানোর পেছনকার কথা। ১৯৮৩ সালে স্পিলবার্গ তখন লন্ডনে ইন্ডিয়ানা জোনস ছবিটার শুটিং করছিলেন। স্পিলবার্গ তখনো টিনটিনকে চিনতেন না। হঠাৎ করেই সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে যায় হার্জের (যে কিনা টিনটিনের স্রষ্টা)। হার্জে চেয়েছিলেন তাঁর কমিকের নায়ক টিনটিনকে নিয়ে স্পিলবার্গ একটি মুভি বানাক। হার্জের ইচ্ছানুযায়ী স্পিলবার্গ কথা দিলেন। শেষমেশ অপেক্ষা করতে করতে ২০১৩ সালে টিনটিন মুক্তি পেল।

ছবির গল্পটা শুরু হয় একটি জাহাজকে নিয়ে। টিনটিন একটি জাহাজের মডেল কেনে, যেটা ইউনিকর্ন নামে পরিচিত। দুষ্ট শাখরাইনও ওই মডেল জাহাজটাকে কিনতে চায়, পেতে চায় যেকোনো মূল্যে। এ জন্য টিনটিনও তার বন্ধু ক্যাপ্টেন হ্যাডাককে বন্দী করে। সেখান থেকে নানা ঘটনা ঘটিয়ে মুক্ত হয় তারা। রহস্যের কিনারা করতে টিনটিন ও তার বন্ধু চলে যায় মরক্কোর এক শেখের দরবারে। জানতে পারে, ওখানে নাকি রয়েছে জাহাজটির আরেকটি মডেল!

এই দাঁড়াও। দাঁড়াও! সব বলে দিলে তো ছবির মজাটাই শেষ হয়ে যাবে। ইউনিকর্ন কেন এত গুরুত্ব পেল? প্রশ্নটার উত্তর তোমরা ছবিতেই খুঁজে পাবে। তাই আর দেরি না করে দেখে নাও চমৎকার এই অ্যানিমেশন মুভিটি।

(কিশোর আলোর মার্চ ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত)