দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ

পরিচালক | ন্যান্সি মেয়ার
কাহিনি | এরিখ কাস্টনার
ধরন | অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি, ড্রামা
প্রথম প্রকাশ | ১৯৮৮
ব্যাপ্তি | ১২৭ মিনিট

যুক্তরাষ্ট্রের মেইন অঙ্গরাজ্যে শুরু হয়েছে সামার ক্যাম্প। সেখানে সারা দিন হইহই রইরই করে কয়েকটা দিন কাটাতে ক্যালিফোর্নিয়ার নাপা ভ্যালি থেকে এসেছে কিশোরী হ্যালি আর যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে উড়ে এসেছে অ্যানি। কেউ কাউকে চেনে না। সেটাই তো স্বাভাবিক, নাকি! কিন্তু ক্যাম্পে বন্ধুদের সঙ্গে একদিন খেলতে গিয়ে দেখা হলো দুই কিশোরীর। তাতে দুজনেরই চোখ এক্কেবারে ছানাবড়া (নাকি দইবড়া)। অবাক কাণ্ড! দুজনের চেহারা যে একেবারে এক রকম! শুধু তা-ই নয়, খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তাদের জন্মতারিখও হুবহু এক। আলাপ করতে করতেই একে একে বেরিয়ে এল আরও রোমাঞ্চকর তথ্য। তারা বুঝতে পারল, তারা আসলে যমজ বোন। তার প্রমাণও মিলল হাতেনাতে। কিন্তু তাহলে কেউ কাউকে চেনে না কেন? এত দিনই-বা পরস্পরের খোঁজ জানে না কেন? রহস্যটা কোথায়?

...যারা জানতে চাও, তারা এক্ষুনি দেখে ফেলতে পারো মজার মুভি দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ

যুক্তরাষ্ট্রের হলিউডে নির্মিত এ মুভির নাম দ্য প্যারেন্ট ট্র্যাপ হলেও এর মূল কাহিনির জন্ম সুদূর ইউরোপের জার্মানিতে। এমিলের গোয়েন্দা দল-খ্যাত জার্মানির বিখ্যাত কবি ও শিশুসাহিত্যিক এরিখ কাস্টনার ১৯৪৯ সালে লিখেছিলেন Das doppelte Lottchen (ইংরেজি অর্থ, দ্য ডাবল লোটি) নামের এক কিশোর উপন্যাস। জার্মান ভাষায় লেখা জনপ্রিয় এ বই অনুবাদ হয়ে ইংরেজিতে লোটি অ্যান্ড লিসা শিরোনামে প্রকাশিত হয়; বাংলায় লোটি ও লিসা নামে যা অনেক আগেই অনূদিত হয়েছে সেবা প্রকাশনী থেকে। যা-ই হোক, এ বইয়ের কাহিনি অবলম্বনে ১৯৫০ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ১৭ বার ছবি বানানো হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর বিভিন্ন ভাষায়। এর মধ্যে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতেই বানানো হয়েছে পাঁচবার (তিনবার হিন্দি আর দুবার তামিল ও তেলেগু ভাষায়)। আর হলিউডে একই

শিরোনামে বানানো হয়েছে দুবার (১৯৬১ আর ১৯৮৮ সালে)। এ ছাড়া জার্মানি (দুবার), ব্রিটেন, কোরিয়া, জাপান (দুবার), ইরান, সুইডেন ও লিথুনিয়াতে উপন্যাসটির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে মুভি। প্রতিবারই ছবিটির ভাগ্যে জুটেছে দর্শকপ্রিয়তার তকমা। তাই মুভিটি কেমন লাগবে, সেটি তোমাদের জন্যই তোলা রইল।