থাইল্যান্ডের নববর্ষ নিয়ে ১০টি অজানা তথ্য

১. সৌর ক্যালেন্ডার অনুযায়ী থাইল্যান্ডের একমাত্র ছুটি নববর্ষের দিন। একটি নির্দিষ্ট দিনে এ উৎসব উদ্‌যাপিত হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের প্রতিটি প্রদেশ এপ্রিলে নববর্ষ উদ্‌যাপনের জন্য নিজস্ব দিনে ছুটি ঘোষণা করে।
২. থাই নববর্ষের তারিখগুলো প্রাচীন জ্যোতির্বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পর্কিত। ভারত থেকে থাইল্যান্ডে এ ঐতিহ্য পৌঁছে গেছে।
৩. থাই নববর্ষের নাম সংক্রান। এটি এসেছে সংস্কৃতি সংক্রান্তি শব্দ থেকে। এর অর্থ নক্ষত্রমণ্ডলে সূর্যের প্রবেশ।
৪. প্রতিবছর ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল থাই জনগণ পানি ছিটিয়ে নববর্ষ উদযাপন করেন। শুধু যে এপ্রিলের গরমের কারণে তাঁরা পানি দিয়ে এভাবে উদ্‌যাপন করেন, ব্যাপারটা এমন নয়; থাই জনগণ বিশ্বাস করেন, এতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
৫. থাই পৌরাণিক কাহিনিতে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও নদীর দেবতা ইন্দ্র। তাঁর ইচ্ছাতেই এগুলো পরিচালিত হয়। থাইল্যান্ডের মানুষ মনে করেন, নববর্ষের সময় দেবতা ইন্দ্র পৃথিবী সফরে আসেন।
৬. ১৩ এপ্রিল, সংক্রানের প্রথম দিন, থাই রাজ্যে পরিবারের সদস্যরা পরিবারের বড়দের হাত ধুয়ে দেন। এভাবে তাঁরা পরিবারের বড়দের সম্মান প্রদর্শন করেন এবং তাঁদের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন। শতাব্দীপ্রাচীন এ প্রথাকে বলা হয়, রোম নাম দম হুয়া। এ ছাড়া কর্মক্ষেত্রে জুনিয়ররা তাঁদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাতে ও পায়ে একধরনের বিশেষ পানি ঢেলে দেন। গোলাপের পাপড়ি ও জুঁই তেলের সমন্বয়ে এ পানি তৈরি করা হয়।
৭. ১৪ এপ্রিল, সংক্রানের দ্বিতীয় দিন থাইল্যান্ডে জাতীয় পরিবার দিবস পালন করা হয়। এই দিনে তাঁরা সবাই একত্র হন বা সবাই মিলে সমুদ্রের পাড়ে উপভোগ করতে যান। এদিন পরিবারের ছোটরা পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য ফুলের মালা ও সুগন্ধযুক্ত পানীয় তৈরি করে।
৮. ১৫ এপ্রিল, সংক্রানের তৃতীয় দিন তাঁরা উদ্‌যাপন করতে রাস্তায় নামেন। এদিন তরুণেরা একে অপরের দিকে পানি ছিটিয়ে খেলা করে। এই দিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা ‘মিস সংক্রাণ’-এর রাজ্যাভিষেক করানো।
৯. নববর্ষের দিনগুলোতে থাই নারীরা ভাত রান্না করেন। সুগন্ধযুক্ত শক্ত চাল ও পানি দিয়ে এ ভাত রান্না করা হয়। ভাতের সঙ্গে মিষ্টি মাংস, বিভিন্ন ধরনের চিংড়ির পেস্ট, টক আম, মরিচ, পেঁয়াজ ও শসা থাকে। এ ছাড়া খাওয়ার শেষে থাকে মিষ্টির ব্যবস্থা।
১০. প্রাচীনকাল থেকে থাইল্যান্ডের লোকেরা বিভিন্ন ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে আসছেন। ৫৪৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে বুদ্ধ ক্যালেন্ডার চলে আসছে। ১৯৪০ সালে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয় এবং নতুন বছর শুরু হয় ১ জানুয়ারি থেকে। ২৫৬৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ১ জানুয়ারিকে নতুন বছরের শুরু হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু ১৩ থেকে ১৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডে নববর্ষ উদ্‌যাপন করা হয়।

সূত্র: আই লাভ ভিলা ডট কম