বিশাল তিমি

পানিতে বসবাসকারী স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে তিমিই বিশ্বের বৃহত্তম। উষ্ণ থেকে শুরু করে মেরু অঞ্চলের বরফপানি, অর্থাৎ বিশ্বের প্রায় সব মহাসাগরে পাওয়া যায় তিমি।

যেকোনো প্রাণীর মধ্যে বোহেড তিমির মুখ সবচেয়ে বড়, প্রায় ২.৪ মিটার চওড়া (৮ ফুট) এবং ৪.৯ মিটার লম্বা (১৬ ফুট)। এই তিমির মুখ তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সমান।
নীল তিমির লেজ (পুচ্ছ পাখনা) গড়ে ৭ মিটার (২৩ ফুট) চওড়া।
হ্যাম্পব্যাক তিমির বাচ্চা প্রতিদিন ৬০০ লিটার (১৬০ গ্যালন) দুধ পান করতে পারে।
তিমি দুই প্রকার হতে পারে — দাঁতযুক্ত এবং দাঁতহীন (বেলিন)
একটি হ্যাম্পব্যাক তিমির ওজন ৩৬ টন পর্যন্ত হতে পারে।
স্পার্ম হোয়েল শিকারের জন্য ডুব দিয়ে ৩ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীরে যেতে পারে।
নীল তিমি ৩০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।
নীল তিমির হৃৎপিণ্ড ২০০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে, যা প্রাণিজগতের মধ্যে সবচেয়ে বড়।
নীল তিমি দাঁতহীন মুখ দিয়ে প্রতিদিন ৩ হাজার ৬৩০ কেজি তেল ফিল্টার করতে পারে।
তিমি, ডলফিন ও শুশুক শ্রেণির প্রায় ৯০টি পরিচিত প্রজাতি রয়েছে।
কুভিয়ার বেকড তিমি একবার ডুব দিয়ে ৩ ঘণ্টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত পানির নিচে ডুবে থাকতে পারে।
নীল তিমির বাচ্চার ওজন ২ হাজার ৭০০ কেজি এবং ৮ মিটার লম্বা (২৬ ফুট)।
স্পার্ম তিমি পানির ১০ মিটার গভীরেও সোজা হয়ে ঘুমাতে পারে।
হ্যাম্পব্যাক তিমি ঘণ্টায় ২৮ কিলোমিটার গতিতে পানির ওপরে লাফিয়ে উঠতে পারে।
হ্যাম্পব্যাক তিমির গান তৈরি হয় বিভিন্ন শব্দের সমন্বয়ে এবং এই গান প্রায় ৩৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
হ্যাম্পব্যাক তিমি উষ্ণ পানিতে প্রজনন করে, এ জন্য প্রতিবার প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
নীল তিমির ওজন ১৫০ টনের বেশি। প্রায় ৩২টি এশিয়ান হাতির ওজনের সমান।
যেকোনো প্রাণীর মধ্যে স্পার্ম তিমির মস্তিষ্ক সবচেয়ে বড়। মস্তিষ্কের ওজন প্রায় ৭.৮ কেজি।
বোহেড তিমি প্রায় ২০০ বছর বেঁচে থাকতে পারে।