গ্রামীণ ডানোন শক্তি+এর পুষ্টি আয়োজনে শিশু-কিশোরদের ভীড়

১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি শিশু একাডেমিতে আয়োজিত হয়েছে শিশুদের জন্য আনন্দ আয়োজন কিডস টাইম ফেয়ার। কিডস টাইম ফেয়ারে নিউট্রিশন পার্টনার গ্রামীণ ডানোন শক্তি+। গ্রামীণ ডানোনের পার্টনার হিসেবে আয়োজনে ছিল কিশোর আলো।

কিডস টাইম ফেয়ারে এবারের থিম নিউট্রিশন বা পুষ্টি। গ্রামীণ ডানোন শক্তি+ এই আয়োজনে শিশুদের জন্য পুষ্টি নিয়ে বিভিন্নরকম খেলাধুলার আয়োজন করে। শিশু একাডেমিতে প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাজারো শিশু এই আয়োজনে অংশ নিয়েছে। ৪ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য এই উৎসবে খেলাধুলা ও গেমসে অংশ নিয়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ দিয়েছে আয়োজকেরা।

গ্রামীণ ডানোন শক্তি+ শিশুদের পুষ্টিকর খাবার যোগান দিতে ছিল হেলদি কিচেন। যেখানে শিশুদের জন্য মজার আর পুষ্টিকর খাবার ছিল। শিশুদের জন্য ছিল জিনিয়াস বুথ। বয়সভিত্তিক গণিতের সমস্যা সমাধান ও ইংরেজি স্পেলিং বি খেলে শিশুরা পেয়েছে বিশেষ পুরস্কার। জিনিয়াস হিসেবে শিশুরা জিতেছে ক্রেস্ট, ফ্ল্যাশ কার্ড, পেন্সিল, শার্পনারসহ আরও অনেক কিছু। জিনিয়াস বুথ ছাড়াও ছিল মুক্তমঞ্চ। মুক্তমঞ্চে রোবট পিক্সির সঙ্গে শিশুরা দারুণ সময় কাটিয়েছে। 

২ / ৭
রোবটের পিক্সির সঙ্গে সময় কাটিয়েছে শিশুরাফাইল ছবি

শিশুরা কিডস টাইম ফেয়ারে শক্তি+ এর স্টলে খেলেছে বল টস, রিংটস, বেলুন থ্রোর মতো মজার সব খেলা। এসব খেলার মূল উদ্দেশ্য শিশুদের পুষ্টি বিষয়ে সচেতন করা। ভিটামিন এ, আয়রন, জিংক এসব লক্ষ্যে শিশুরা বেলুন ছুঁড়ে লাগাতে পারলেই জিতেছে পুরস্কার। উপহারের পাশাপাশি ২৫ শতাংশ ছাড়ে শক্তি+ এর পুষ্টি পণ্য কেনার সুযোগ দিয়েছে আয়োজকেরা। শক্তি ইয়োগার্ট, শক্তি ডিলাইট ও শক্তি কম্বো ক্রয় করলেই মিলেছে এই ছাড়। শক্তি+ এর ওয়েবসাইটে গেম খেলে শিশুরা পেয়েছে কিডস টাইম ফেয়ারে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ। 

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে পুষ্টি গেম খেলার সুযোগ দিয়েছে শক্তি+। ট্যাব ও বড় স্ক্রিনে পুষ্টি গেম খেলে জিতেছে পয়েন্ট। এই পয়েন্ট ব্যবহার করেও পুষ্টিকর খাবারে মিলেছে মূল্যছাড়। 

তিন দিনের এই উৎসবে শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি অভিভাবকদের জন্যও ছিল আয়োজন।শিশুরা যখন খেলাধুলা করেছে, তখন মা–বাবারা অংশ নিয়েছেন পুষ্টি ওয়ার্কশপ। কীভাবে শিশুর শরীর আরও পুষ্টি পাবে, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সে বিষয়ে কথা বলেছেন।

কিডস টাইম ফেয়ারে শক্তি+ এর ফুড জোনে খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্স, দই চিড়া, মুড়ি মাখা, চকো মিল্ক, ফ্রুট সালাদসহ মজার মজার খাবার ছিল। শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য ছিল রণপা এবং জগলার। পুরো তিনদিন শিশুদের মাতিয়ে রেখেছে তাঁরা।