কেন ডাকতে পারে না বাসেনজিস জাতের কুকুর

কুকুর অনেকের প্রিয় প্রাণী। দেখলে হাত বাড়িয়ে আমরা আদর করতে চাই। ঘেউ ঘেউ করলে অবশ্য অনেকে কুকুর এড়িয়েও চলে। কুকুরের স্এবাভাবিক বৈশিষ্ট্য হল উচ্চশব্দে ঘেউ ঘেউ করা। তবে এক প্রজাতির কুকুরের আছে, যারা সাধারণত ঘেউ ঘেউ করতে পারে না।

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, বাসেনজিস নামের কুকুরের জাতটি অন্য প্রজাতির কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করতে পারে না। বাসেনজিস কুকুরের সঙ্গে মিল আছে বিড়ালের। এই কুকুরের প্রজাতি অন্য জাতের কুকুর থেকে আলাদা। এদের গলা বা স্বরযন্ত্র এমনভাবে বদলে গিয়েছে, ডাকাডাকি খুব কঠিন করে তুলেছে।

প্রাণী শব্দ তৈরি করে স্বরযন্ত্র ব্যবহার করে। মানুষের স্বরযন্ত্র সুগঠিত বলে মানুষ কথা বলতে পারে। প্রাণীদের প্রজাতি অনুযায়ী স্বরযন্ত্র বিভিন্নরকম। প্রাণিরা অনেকরকম শব্দ বা ডাক দিতে পারে। বাসেনজিস কুকুরের স্বরযন্ত্রে একটি হাড়ের বাড়তি অংশ আছে। সাধারণ কুকুরের তুলনায় হাড়টি কিছুটা বড়। এই হাড়েই যত গণ্ডগোল। এর কারণে বাসেনজিস শব্দ উৎপাদন করতে পারে না। বাসেনজিসকে ভুল বুঝো না। বাসেনজিস কোনো বোবা কুকুর না। এরা অন্য উপায়ে যোগাযোগ করতে পারে। এরা গর্জন করে, হুংকার দেয়, কাঁদতেও পারে। ঠিক অন্য জাতের কুকুরের মতোই। এমনকি অন্য কুকুর প্রজাতির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারে।

ডাকাডাকি না করার আরেকটি কারণ, এরা শিকারী জাতের কুকুর। শিকারের সময় শব্দ করলে শিকার পালিয়ে যেতে পারে। তাই বাসেনজিসদের স্বরযন্ত্র এমনভাবে তৈরি হয়েছে, যাতে শব্দ কম করে।

বাসেনজিস জাতের কুকুর স্বভাবে শিকারী
ছবি: ডেইলি প-স

ডাকাডাকি না করার কারণে মানুষের এদের পছন্দ করে। শান্ত ও ঝামেলাহীন কুকুর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাটে বাস করার জন্য এই কুকুরের তুলনা নেই। খুব বুদ্ধিমান আর অনুগত হওয়ায়, মানুষ এদের খুব ভালোবাসে। বিপরীতে এই কুকুরেরা পেয়েছে মানুষের অশেষ মমতা।

অন্যন্য কুকুরের মতো এরাও খেলাধুলা করতে খুব পছন্দ করে। চিৎকার চেচামেচি না করায় সঙ্গী হিসেবে এই কুকুর অসাধারণ।

লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বাদশ শ্রেনী, ঢাকা কলেজ