হারিয়ে যাওয়া তিমির খোঁজ মিলল ১০০ বছর পর

এক শতাব্দীর বেশি সময় পর আবার নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরে এসেছে নীলচে ধূসর প্রজাতির ‘সিই হোয়েল’। বিশাল আকৃতির এই তিমি উনিশ শতকের শুরুতে আর্জেন্টিনা ও এর আশপাশের উপকূলে নিয়মিত দেখা যেত। কিন্তু বাষ্পচালিত জাহাজ ও তিমিশিকারিদের অতর্কিত আক্রমণের জন্য ধীরে ধীরে এদের সংখ্যা কমতে থাকে। একসময় বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে পরিচিতি পায় এরা।

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার প্যাটাগোনিয়ান উপকূলে আবার ‘সিই’ তিমির দেখা মিলেছে। গত এপ্রিল মাসে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির ‘প্রিস্টাইন সি’ প্রজেক্টের অর্থায়নে গবেষক মারিয়ানো কসকারেলার দল তিমিদের গতিবিধির ওপর নজর রাখার জন্য কিছু স্যাটেলাইট ট্র্যাকার স্থাপন করে। ট্র্যাকারের মাধ্যমে পানির নিচ থেকে বিভিন্ন ফুটেজ সংগ্রহ করে তিমির প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে গবেষক দল শতভাগ নিশ্চিত হয়। বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব বেড়ে যাওয়ার মধ্যে ১০০ বছর পর নিজের আবাসস্থলে তিমির এই প্রত্যাবর্তন নিঃসন্দেহে খুশির সংবাদ।

কিন্তু বিলুপ্ত প্রজাতির তিমি আবার ফিরে এল কীভাবে? বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদের গবেষক কসকারেলা। তাঁর মতে, ‘সিই’ প্রজাতির তিমি আসলে কখনো বিলুপ্ত হয়নি। শিকারিদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এরা শুধু মানুষের দৃষ্টিসীমানার বাইরে চলে গিয়েছিল। তারা যে বিলুপ্ত নয়, এটা বুঝতে ৮০ বছরের বেশি সময় লেগে গেল।

বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে তিমি শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্যই মূলত হারিয়ে যাওয়া তিমিদের ফিরে আসার পথ প্রসারিত হয়েছে। নিষেধাজ্ঞাগুলো যদি সব সময় কঠোরভাবে মেনে চলা না হয়, তাহলে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ আবার হুমকির মুখে পড়বে।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

আরও পড়ুন