রোমান সাম্রাজ্যের অজানা ১০টি তথ্য, ১টি ফ্রি

'যুদ্ধের সময় রোমান সৈন্যরা শত্রুর দিকে প্রথমে বর্শা ছুড়ে মারতেন। এরপর লড়াই করতেন তরবারি দিয়ে। নিজেদের রক্ষার জন্য হাতে কাঠের ঢাল, মাথায় কাঠের হেলমেট এবং গায়ে বর্ম পরতেন তাঁরা।' রোমান সাম্রাজ্যের এমন বিচিত্র তথ্যে ছবির গল্প বলেছেন আব্দুল্লাহ আল মাকসুদ

১ / ১১
খ্রিষ্টপূর্ব ৭৫৩ সালে রোম প্রতিষ্ঠা করেন রাজা রোমুলাস। তিনি ছিলেন রোমের প্রথম রাজা। কয়েক শ বছরের মধ্যেই এটি একটি ধনী ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে বেড়ে ওঠে।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
২ / ১১
১১৭ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে রোমান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় সম্পূর্ণ ইতালি, ভূমধ্যসাগরের চারপাশের সব অঞ্চল এবং ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের কিছু অংশসহ ইউরোপের বেশির ভাগ এলাকা।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
৩ / ১১
রোমান কিংবদন্তিকে বলা হয়, রাজা রোমুলাসের এক যমজ ভাই ছিলেন। নাম রেমাস। ছোট দুই ভাইকেই এক জঙ্গলাকীর্ণ স্থানে ফেলে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই গড়ে ওঠে রোম। নেকড়ের কাছে বড় হন তাঁরা। বড় হওয়ার পর রোমুলাস তাঁর ভাই রেমাসকে হত্যা করে নিজেকে রোমের প্রথম সম্রাট হিসেবে ঘোষণা করেন।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
৪ / ১১
শক্তিশালী সেনাবহরের মাধ্যমে রোমানরা আরও ভূমি দখল করে বিশাল এক রাজ্য তৈরি করেছিল। বলা হয়ে থাকে, রোমান সেনারা প্রতিদিন প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারতেন।
ছবি: পিন্টারেস্ট
৫ / ১১
যুদ্ধের সময় রোমান সৈন্যরা শত্রুর দিকে প্রথমে বর্শা ছুড়ে মারতেন। এরপর লড়াই করতেন তরবারি দিয়ে। নিজেদের রক্ষার জন্য হাতে কাঠের ঢাল, মাথায় কাঠের হেলমেট এবং গায়ে বর্ম পরতেন তাঁরা।
ছবি: পিন্টারেস্ট
৬ / ১১
রোমানরা অবশ্য সব সময় শুধু যুদ্ধই করতেন না, স্থাপত্যকলা ও প্রকৌশলে তাঁদের ছিল বিশেষ দক্ষতা। রাজ্যজুড়ে প্রচুর কুয়া আর রাস্তা নির্মাণ করেছিলেন তাঁরা।
ছবি: টুইটার
৭ / ১১
খাবার গ্রহণপ্রক্রিয়ায় রোমানদের বিলাসিতা ছিল চোখে পড়ার মতো। শুয়ে শুয়ে হাত দিয়ে খাবার খেতেন তাঁরা। অনেক সময় চামচও ব্যবহার করতেন। কিন্তু পশ্চিমাদের মতো ছুরি, কাটাচামচ ব্যবহারের অভ্যাস তাঁদের ছিল না। ধনী রোমানদের পছন্দের খাবারের তালিকায় ছিল স্ট্রোক, টিয়া ও ফ্লেমিংগো পাখির রোস্ট।
ছবি: টুইটার
৮ / ১১
শহরে পানির ব্যবস্থা করতে রোমানরা অ্যাকুয়াডাক্ট নির্মাণ করেন। অ্যাকুয়াডাক্ট হলো ব্রিজ ও পানির চ্যানেলের নেটওয়ার্ক। এর মাধ্যমে শহরের বাসিন্দাদের জন্য গোসল ও পরিচ্ছন্নতার কাজে ব্যবহারোপযোগী পানি সরবরাহ করা হতো।
ছবি: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
৯ / ১১
রোমানরা দেব–দেবীতে বিশ্বাস করতেন। তাঁদের জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে বিভিন্ন দেবতার কর্তৃত্ব। যেমন নেপচুন ছিল সমুদ্রের দেবতা। সাগর থেকে যেন কোনো ক্ষতি না হয়, সে জন্য তাঁরা নেপচুনের কাছে প্রার্থনা করতেন। দেবতার সম্মানে নির্মাণ করতেন মন্দির। বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ নির্দিষ্ট দেবতার প্রতি ভক্তি–শ্রদ্ধা জানাতে আর প্রার্থনা করতে আসত।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
১০ / ১১
প্রাচীন যুগের অন্যতম বিখ্যাত স্থাপনা হলো কলোসিয়াম। রোমের ঠিক কেন্দ্রে নির্মিত হয় এ মুক্তমঞ্চ। বিভিন্ন খেলা, অনুষ্ঠান কিংবা গ্ল্যাডিয়েটরদের যুদ্ধ দেখতে কলোসিয়ামে ভিড় জমাতেন রোমান নাগরিকরা।
ছবি: ইউএসএ টুডে
১১ / ১১
টিউনিক নামের একধরনের পোশাক জনপ্রিয় ছিল রোমানদের মধ্যে। কাঁধ ও পাশে সেলাই করা দুই টুকরা কাপড় পড়ত সাধারণ মানুষ। এতে হাত ও মাথা উন্মুক্ত থাকত। অন্যদিকে ধনী রোমানরা তাঁদের সম্পদের জৌলুশ বোঝানোর জন্য উলের চাদর গায়ে জড়াতেন। একে বলা হতো টোগাস।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স