লরাল নাকি ইয়ানি

একসময় টক অব দ্য টাউন বলে একটা কথা ছিল। এখন তা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল। কথা নেই বার্তা নেই, ইন্টারনেটে কোনো একটা কিছু সবাইকে মাতিয়ে দেয়। আগের টক অব দ্য টাউনের অধিকাংশই হতো গুজব, এখনো গুজব তৈরি হয়, তবে বেশি হয় বিতর্ক। এই যেমন ১৬ মে একটা ছোট্ট অডিও ক্লিপ সবাইকে মাতিয়ে দিল। একই অডিও ক্লিপ কেউ শুনছে লরাল (Laurel), কেউ শুনছে ইয়ানি (Yanny)। লরাল আর ইয়ানি, শব্দ দুটোর তফাত আকাশ-পাতাল। চিন্তা করে দেখো তো, এ রকম দুই প্রান্তের দুটি শব্দ কেউ একসঙ্গে গুলিয়ে ফেলতে পারে? কিন্তু তাই হয়েছে।

ঘটনার শুরু আসলে ১১ তারিখ। হাইস্কুলপড়ুয়া কয়েক বন্ধু তাদের একটা অডিও ক্লিপে এই বিভ্রান্তিটা আবিষ্কার করে। এই অডিওটা রেকর্ড করেছিল ভোকাবুলারি ডট কম (vocabulary.com) সাইট থেকে। এই সাইটটা এমনিতে চমৎকার, তুমি যে কোনো ইংরেজি শব্দের অর্থ, ব্যবহার, উচ্চারণ ইত্যাদি পাবে। ইংরেজি শব্দভান্ডার বাড়াতে সাইটটা খুবই কাজে দেয়। তো এই সাইটের Laurel শব্দের উচ্চারণ ওই শিক্ষার্থীরা স্পিকারে বাজিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করল। সেখান থেকেই শুরু এই বিভ্রান্তি। সেই রেকর্ড প্লে করলে কেউ শুনছে লরাল, কেউ শুনছে ইয়ানি।

সাধারণভাবে শব্দটা লরালই শোনার কথা। কিন্তু কেউ কেউ ইয়ানি শুনছে কেন? এমন অদ্ভুতুড়ে ঘটনার ব্যাখ্যা তাদের কাছে ছিল না। ওই শিক্ষার্থীদের একজন, রোলান্ড জাবো (Roland Szabo), অডিও ক্লিপটা পোস্ট করে দেয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে। সেখানে মোটামুটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা। কিন্তু ইউটিউবার ক্লো ফেল্ডম্যান এই ক্লিপটা টুইটারে দিয়ে একটা পোল খোলার পর ব্যাপকভাবে ছড়ায় সেটা। হাজার হাজার মানুষ এসে ভোট দিতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে তা হয়ে যায় লাখ লাখ। এরপর শুরু হয় হাইপ। বড় বড় পত্রিকা বা টিভি চ্যানেল, ওয়েবসাইট এই হাইপে যুক্ত হয়। আলোচনার ঝড় ওঠে পুরো ইন্টারনেট দুনিয়ায়। বাংলাদেশে অবশ্য এই আলোচনাটা কমই চোখে পড়েছে। অল্প কিছু মানুষ এই ইন্টারনেট সেনসেশনে যুক্ত হয়েছিল।

যথারীতি এই অডিও ক্লিপ ইন্টারনেটের দুনিয়াকে দুই ভাগ করে দেয়। টুইটার পোলে ৪৭ শতাংশ জানায়, তারা শুনতে পাচ্ছে ইয়ানি, বাকি ৫৩ শতাংশ জানায়, শুনতে পাচ্ছে লরাল। কোন দিকটা ভারী তা বলা মুশকিল। মজার ব্যাপার হলো, এই অডিও ক্লিপে কী শুনছে তার ওপর ভিত্তি করে মানুষকে অনেকে আলাদা করছে লরাল পিপল আর ইয়ানি পিপল বলে। তুমি কোন দলের? তুমি কি লরাল নাকি ইয়ানি পিপল? এখনো যদি এই অডিও ক্লিপ না শুনে থাকো তবে এই লিংকে (goo.gl/MnQini) গিয়ে শুনে দেখতে পারো।

যাহোক, লরাল ইয়ানির কথা জেনে আমিও পরীক্ষা দিলাম। ফলাফল আমি লরাল পিপল। খুশি হওয়া বা হতাশ হওয়ার কিছু ছিল না। কয়েকবার শুনলাম, প্রতিবারই লরালই শুনছিলাম। কোনো অস্পষ্টতা নেই। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এটা লরাল। এতই স্পষ্ট যে আমার মনে হলো যারা ইয়ানি শুনছে তারা হয়তো মজা করছে। ঘণ্টাখানেক পর বাসায় গিয়ে আমার বড় ভাইকে শোনালাম, সে বলল ইয়ানি শুনছে। কিন্তু তখন আমার জন্য বড় ধরনের ধাক্কা অপেক্ষা করছিল, আমি নিজেও তখন ইয়ানিই শুনলাম। হ্যাঁ, ইয়ানিই। লরাল না। অথচ ঘণ্টাখানেক আগে আমি স্পষ্ট শুনেছি লরাল। বেশ কয়েকবার বাজালাম, প্রতিবারই ইয়ানি শুনছি। তখনকার মতো অফ রেখে পরে আবার শুনলাম। এবার তো হতভম্ব হওয়ার পালা, আমি আবারও লরাল শুনছি। তখন আবার আমার ভাইকে শোনালাম, ইয়ানিই শুনছে সে তখনো। ব্যাপারটা কী হলো?

পরদিন সকালে উঠে আবার শুনলাম, আমি দেখি লরালই শুনছি এবার। কিছুক্ষণ পর আবারও ইয়ানিতে ফিরলাম। একবার ইয়ানি, একবার লরাল। আমাকে নিয়ে আমি পুরোই বিভ্রান্ত। আমি কি লরাল পিপল নাকি ইয়ানি পিপল?

এর একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিশ্চয় আছে। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা খোঁজার আগে আমি নিজেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কখন কী শুনছি ডেটা রাখতে শুরু করলাম। হয়তো ব্যাখ্যা করা যাবে, আমি কেন কখনো লরাল আবার কখনো ইয়ানি পিপল।

যাহোক, আমার এই বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হওয়ার আগে দেখা যাক বিজ্ঞানীরা কী বলছেন। কেন কিছু মানুষ লরাল শোনে আর কিছু মানুষ ইয়ানি। আমরা যে শব্দ শুনি তার নানা ধরনের ব্যাপার আছে। তোমরা অনেকেই হয়তো পড়েছ, কম্পাঙ্ক নামের একটা ব্যাপার আছে শব্দতরঙ্গের সঙ্গে জড়িত। বেশি কম্পাঙ্ক হলে শব্দ শোনায় তীক্ষ, কম কম্পাঙ্কের শব্দে তীক্ষতা কম। মেয়েদের কথায় সাধারণত কম্পাঙ্ক বেশি হয়। তাই তাদের গলার স্বর ‘চিকন’ শোনায়।

লরাল, ইয়ানি এবং বিতর্কিত অডিও ক্লিপের স্পেক্ট্রোগ্রাম (কম্পাঙ্ক কিলোহার্জে)

কম্পাঙ্ক প্রকাশ করা হয় হার্জ দিয়ে। মানুষ সাধারণত ২০ হার্জ থেকে ২০ হাজার হার্জের শব্দ শুনতে পায়। ২০ এর কম বা ২০ হাজারের বেশি হার্জের কম্পাঙ্কের শব্দ মানুষ শোনে না। কুকুর, বাদুড় এমন কিছু প্রাণী আছে যারা ২০ হাজারের বেশি হার্জের শব্দও শুনতে পায়। তবে মানুষের শোনার এই রেঞ্জ অনেকের ক্ষেত্রে কিছুটা ভিন্ন হয়। যেমন একদম বাচ্চাকালে মানুষের শোনার ক্ষমতা বেশি থাকে। তখন এমনকি ২০ হার্জের কিছু কম বা ২০ হাজারের একটু বেশি হার্জের শব্দও অনেকে শুনতে পায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রেঞ্জ কমতে থাকে। তীব্র শব্দের মধ্যে থাকলে, প্রচণ্ড শব্দদূষণের প্রভাবে অনেকের শোনার ঊর্ধ্বসীমা কয়েক হাজার হার্জ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। এমনকি কানে হেডফোন দিয়ে উচ্চ আওয়াজে গান শুনলেও কানের বারোটা বাজতে পারে।

এখন আসা যাক আমাদের লরাল-ইয়ানিতে। মনে হতে পারে শব্দ দুটি একদমই ভিন্ন। আমাদের কাছে শুনতেও ভিন্ন লাগে। কিন্তু ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে এই দুটি শব্দের প্যাটার্ন প্রায় একই। শব্দের নাড়ি-নক্ষত্র দেখার একটা উপায় তার স্পেক্টোগ্রাম দেখা। স্পেক্টোগ্রাম হলো চিত্রের মাধ্যমে কোনো শব্দ উচ্চারণের সময় কম্পাঙ্কের কীভাবে পরিবর্তন হয় তার প্রকাশ। এখানে আমি তিনটি স্পেক্টোগ্রাম দিলাম। প্রথমটা ভোকাবুলারি ডট কম থেকেই লরাল শব্দের স্পেক্টোগ্রাম। দ্বিতীয়টি বিতর্কিত লরাল-ইয়ানি অডিও ক্লিপের স্পেক্টোগ্রাম, আর তৃতীয়টি ইয়ানি শব্দের স্পেক্টোগ্রাম। খেয়াল করলে দেখবে প্রথম এবং তৃতীয় স্পেক্টোগ্রাম দুটির প্যাটার্ন প্রায় একই রকম। পার্থক্য হলো তাদের কম্পাঙ্কের ক্ষেত্রে। লরাল শব্দের মধ্যে উচ্চ কম্পাঙ্ক কম, ইয়ানি শব্দের মধ্যে নিম্ন কম্পাঙ্ক কম। আর মাঝেরটি মূলত এই দুই শব্দের খিচুড়ি। দুটির যোগফল।

এর মানে হলো বিতর্কিত অডিও ক্লিপটা দুটি শব্দ মার্জ করে বানালে যেমন হওয়ার কথা তেমন হয়েছে। বিকৃত এই ক্লিপে লরাল এবং ইয়ানি, দুুটি শব্দের উপাদানই আছে। সে হিসাবে তো হালকা করে আমাদের দুটি শব্দই শোনার কথা। কিন্তু আমরা শুনছি যেকোনো একটা। কারণ কী? বেশ কয়েকটা কারণে এমনটা হচ্ছে।

যাদের কানের অবস্থা বেশি ভালো, উচ্চ কম্পাঙ্ক শুনতে পায়, তারা ইয়ানি শুনতে পাচ্ছে। কারণ স্পেক্টোগ্রাম দেখলেই বোঝা যায়, ইয়ানির মধ্যে উচ্চ কম্পাঙ্কের অংশ বেশি। আবার যারা উচ্চ কম্পাঙ্ক বেশি শুনতে পায় না তারা বেশি শুনছে নিচের কম্পাঙ্কের অংশ। ফলাফলে তাদের মনে হচ্ছে শব্দটা লরাল।

অনেকের মনে এটা শুনেই আতঙ্ক জাগছে, তার মানে কি যারা লরাল শুনছে তাদের কানের অবস্থা খারাপ? চিকিৎসা দরকার? ব্যাপারটা সে রকম নয়। নানা কারণে একজনের উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শোনার ক্ষমতা কমতে পারে। বয়স হলে এমনিতেই কমবে এই ক্ষমতা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে উচ্চ শব্দে গান শোনা, তীব্র শব্দের মধ্যে দীর্ঘ সময় থাকার কারণে এই অবস্থার উৎপত্তি হতে পারে সে কথা তো আগেই বলেছি।

ইয়ানি যেহেতু উচ্চ কম্পাঙ্কে শোনা যায়, তাই যারা ইয়ানি শোনে তাদের মনে হয় ক্লিপটা মেয়ে কণ্ঠের। অপরদিকে লরাল যারা শোনে তাদের মনে হয় একজন পুরুষের গলা।

ওপরের যে ব্যাখ্যা দিলাম তা দিয়ে সহজেই বোঝা যায় কেন কেউ লরাল শুনছে, কেউ ইয়ানি শুনছে। কিন্তু আমার এবং আমার মতো আরও অনেকে যে একেক সময় একেকটা শুনছে এর কী অর্থ হতে পারে। হিসাবমতো হয় আমি উচ্চ কম্পাঙ্ক শুনব, না হয় নিম্ন কম্পাঙ্ক। অর্থাৎ ইয়ানি অথবা লরাল। যে অংশের কম্পাঙ্ক আমি ভালো শুনি সেটাই। সময়ে-সময়ে আমার কানের ক্ষমতা পরিবর্তন হচ্ছে কেন? আসলে আমার কানের ক্ষমতা পরিবর্তন হচ্ছে না, আমার কান লরাল বা ইয়ানি, দুই অংশের কম্পাঙ্কই ভালোভাবে শুনতে পারে। কিন্তু কখন কোনটা শুনবে তা নির্ভর করে আমার কানের আগের অবস্থার ওপর।

আমার মনে হলো, আমি যখন অনেকক্ষণ ধরে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের মধ্যে থাকছি তখন আমার মস্তিষ্ক উচ্চ কম্পাঙ্কের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। তখন যদি আমি ওই অডিও ক্লিপটা শুনি তাহলে উচ্চ কম্পাঙ্কের অংশ ভালো শুনছি। ফলাফল, আমি শুনতে পাচ্ছি ইয়ানি। আবার আমি যদি অনেকক্ষণ নিম্ন কম্পাঙ্কের শব্দের মধ্যে থাকি, তখন আমার কানে বাজে লরাল।

কিন্তু আমার এই ধারণা তো পরীক্ষা করে দেখা দরকার। আমি অডিও ক্লিপটা শুনে দেখলাম, আমি শুনতে পাচ্ছি লরাল। অর্থাৎ নিম্ন কম্পাঙ্ক ভালো শুনছি। আগেই বলেছি, মেয়েদের গলার স্বরের কম্পাঙ্ক তুলনামূলক বেশি। তাই আমি ইউটিউবে গিয়ে সংগীতশিল্পী সভ্যতার আধা ঘণ্টার একটা সাক্ষাৎকার শুনলাম। এবার আবার অডিও ক্লিপ চালালাম। দেখা গেল আমি ইয়ানি শুনতে পাচ্ছি। অর্থাৎ আমার কান অনেকক্ষণ ধরে উচ্চ কম্পাঙ্ক শোনায় ইয়ানি শোনার জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল। এবার উল্টোটা দেখার পালা। আবারও ইউটিউবে গেলাম। এবার শুনব পুরুষদের কথা। একটা টক শো দেখলাম, যেখানে শুধু পুরুষেরাই আছে। আধা ঘণ্টা শোনার পর অডিও ক্লিপটা ছেড়ে দেখি আমি শুনতে পাচ্ছি লরাল। তার মানে আমার ধারণা ঠিকই আছে। অনেকক্ষণ টক শোর নিম্ন কম্পাঙ্কের কথা শোনায় আমার কান অভ্যস্ত ছিল নিম্ন কম্পাঙ্কের জন্য, ফলাফল আমি লরাল শুনেছি।

তোমরাও আমার মতো পরীক্ষা করে দেখতে পারো যে অনেকক্ষণ উচ্চ কম্পাঙ্কে থেকে বা নিম্ন কম্পাঙ্কে থেকে লরাল ইয়ানি দুটোই শুনতে পাও কি না।

লরাল ইয়ানির ক্ষেত্রে আরেকটা ঘটনাও ঘটতে পারে। তুমি কোনটা শুনবে তা নির্ভর করে তোমার স্পিকারের ওপরও। কোনো কোনো স্পিকার আছে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ ভালো শোনায়, কোনোটায় নিম্ন কম্পাঙ্ক বেশি ভালো শোনায়। তাই তুমিই হয়তো একবার হেডফোনে শুনলে শুনবে ইয়ানি, আবার লাউড স্পিকারে বাজালে শুনবে লরাল। অনেকের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়েছে।

এ ব্যাপারটা ঘটে টেলিফোনেও। টেলিফোন সাধারণত ৬০০ থেকে ৩৬০০ হার্জের শব্দ রিসিভার দিয়ে গ্রহণ করে অন্য প্রান্তের গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়। তাই টেলিফোন দিয়ে কথা বলার সময় আমাদের মুখ দিয়ে বের হওয়া শব্দের কিছু অংশ কাটা পড়ে যায়। ৬০০-এর নিচে বা ৩৬০০-এর ওপরের শব্দ অপর প্রান্তে যায় না। তাই টেলিফোনে আমাদের গলার স্বর একটু ভিন্ন শোনায়। মোবাইলে কিন্তু এই অবস্থা হয় না। কারণ, মোবাইলে সব কম্পাঙ্কের শব্দই গ্রহণ করা হয়। তাই গলার স্বরও বিকৃত হয় না।

শেষ করা যাক আমাদের করা সার্ভের কথা বলে। এই লেখা লেখার সময় আমরা ফেসবুকে একটা সার্ভে করেছিলাম, কতজন লরাল শোনে, কতজন ইয়ানি শোনে। প্রায় সাড়ে চার শ জন অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ শুনতে পেয়েছে ইয়ানি। বাকি ৪৩ শতাংশ শুনতে পেয়েছে লরাল। অথচ টুইটারের শ্রোতাদের মধ্যে লরাল শুনেছে বেশি মানুষ, ৫৩ শতাংশ। এর কারণ হতে পারে দুটি, টুইটারে নানা বয়সী মানুষ অংশ নিয়েছিল। আমাদের এই সার্ভেতে অংশ নিয়েছে মূলত কম বয়সী মানুষেরা। যাদের অধিকাংশই কিশোর আলোর শিশু-কিশোর পাঠক। কম বয়সীদের বেশি কম্পাঙ্কের শোনার ক্ষমতাও তো বেশি। আরেকটা কারণ হতে পারে, আমাদের শিশু-কিশোরেরা অন্যদের মতো উচ্চ শব্দে গান শুনে নিজের কানের এখনো বারোটা বাজায়নি, তাই ইয়ানিই শুনছে বেশি।

(কিশোর আলোর জুন ২০১৮ সংখ্যায় প্রকাশিত)