মহাসাগর এবং সমুদ্র

বিস্ময়করভাবে পৃথিবীর সমস্ত পানির ৯৭ শতাংশ ধরে রেখেছে সমুদ্র ও মহাসাগর। পৃথিবীর প্রায় ৭১ শতাংশ জায়গা পানি দিয়ে পূর্ণ। প্রায় ৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে মহাসাগরেই জীবনের শুরু হয়েছিল বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা।
মহাসাগরের ১ শতাংশের কম জায়গাজুড়ে রয়েছে প্রবাল। তবু ২৫ শতাংশ সামুদ্রিক জীবকে বাঁচতে সাহায্য করে এটি।
মানুষের ছেড়ে দেওয়া প্রায় ৩০ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয় সমুদ্র।
সমুদ্রের পানির ওজনের প্রায় ৩.৫ শতাংশ হলো দ্রবীভূত লবণ।
বিশ্বের প্রায় ৩ মিলিয়ন ডুবে যাওয়া জাহাজ সমুদ্রের তলদেশে আছে।
৮০ শতাংশের বেশি সমুদ্রের অনুসন্ধান ও মানচিত্র তৈরি আজও সম্ভব হয়নি।
মহাসাগরগুলোর গড় গভীরতা আনুমানিক ৩,৬৮২ মিটার (১২ হাজার ৮০ ফুট)।
সারা বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করে মহাসাগর।
প্রথম প্রবাল প্রাচীর আবির্ভূত হয়েছিল প্রায় ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে।
সমুদ্রের তলদেশে সুনামির ঢেউ ঘণ্টায় ৫০০-১০০০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে।
সবচেয়ে বেশি সময় পানির নিচে থাকার রেকর্ড করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রুস সেন্ট্রেল ও জেসিকা ফেইন। তাঁরা টানা ৭৩ দিন, ২ ঘণ্টা, ৩৪ মিনিট পানির নিচে ছিলেন।
বৃহত্তম সামুদ্রিক শৈবাল জায়ান্ট কেল্প ৩০ মিটারের বেশি উচ্চতায় পৌছাতে পারে এবং প্রতিদিন ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
১৫২০ সালে অভিযাত্রী ফার্ডিন্যান্ড ম্যাগেলান একটি ইউরোপিয়ান জাহাজের নেতৃত্ব দেন। তিনিই সে সময় প্রথম প্যাসিফিক শব্দটি ব্যবহার করেন। এর অর্থ প্রশান্ত।
কানাডার বে অব ফান্ডিতে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ও নিচু জোয়ারের পার্থক্য বোঝা যায়। কিছু কিছু জায়গায় জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা বেড়ে দাঁড়ায় ২০ মিটার (৬৫ ফুট)।
১৯১২ সালে আরএমএস টাইটানিক জাহাজ বরফের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়। জাহাজের ধ্বংসাবশেষ এখন ৩,৮০০ মিটার গভীর সাগরের নিচে আছে।
সামুদ্রিক মাছ এবং মোলাস্ক প্রতিবছর ৩০-৪০ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য সরবরাহ করে।
গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ প্রায় ৩ হাজার প্রবাল প্রাচীর, ৬০০ প্রাজাতির প্রবাল এবং ৩ হাজার ধরনের মোলাস্ক রয়েছে।
মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরতম জায়গা চ্যালেঞ্জার ডিপ প্রশান্ত মহাসাগরের মারিয়ানা ট্রেঞ্চে অবস্থিত। এর গভীরতা ১০,৯৯৪ মিটার (৩৬ হাজার ৭০ ফুট)।

সূত্র: আস্ক আ সায়েন্টিস