আরও বেশি অক্সিজেন উৎপাদিত হচ্ছে মঙ্গলে

২০২১ সালে মঙ্গল গ্রহে প্রথম অক্সিজেন উৎপাদন করেছিল মক্সি (দ্য মার্স অক্সিজেন ইন-সিটু রিসোর্স ইউটিলাইজেশন এক্সপেরিমেন্ট) নামের একটি যন্ত্র। তখন ঘণ্টায় প্রায় পাঁচ গ্রাম অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারত যন্ত্রটি। কিন্তু এখন ঘণ্টায় ছয় গ্রাম অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে মক্সি। উৎপাদন হয়তো খুব বেশি বাড়েনি, কিন্তু মঙ্গলের বুকে এটাই কম কথা নয়। পৃথিবীর একটি গাছও ঘণ্টায় ছয় গ্রামের বেশি অক্সিজেন উৎপাদন করতে পারে না। সে হিসাবে বলা যায়, মঙ্গলে একটি গাছ লাগাতে পেরেছি আমরা। এই পরিমাণ অক্সিজেন দিয়ে একজন নভোচারী প্রায় ১২ মিনিট শ্বাস নিতে পারবেন। এ রকম আরও কয়েক শ যন্ত্র মঙ্গলে পাঠানো গেলে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তা ছাড়া ভবিষ্যতে জ্বালানি হিসেবেও এই অক্সিজেন ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু কীভাবে একটি যন্ত্র মঙ্গলে অক্সিজেন উৎপাদন করে? মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯৬ শতাংশজুড়ে আছে কার্বন ডাই-অক্সাইড। এই যৌগে থাকে একটি কার্বন ও দুটি অক্সিজেন পরমাণু। মক্সি সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড থেকে অক্সিজেন আলাদা করে বাকি কার্বন মনোক্সাইড (CO) মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলে ছেড়ে দেয়। এভাবেই বর্তমানে ঘণ্টায় ছয় গ্রাম অক্সিজেন উৎপাদন করে চলেছে রোভার মক্সি।