স্মরণ, আবদার আর পরামশে৴র আড্ডা
কিআ অনলাইন মিটিংয়ে কী কী প্রশ্ন করব, তা লিখে রেখেছি, যেন ভুলে না যাই। সকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি কখন বেলা ৩টা বাজবে। শুরু হবে অনলাইন কিআড্ডা। সভা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লিখে রাখা সব প্রশ্ন করে ফেলব।
অনেক অপেক্ষার পর বেলা ৩টায় কিআড্ডার গুগল মিটে ঢুকতে পারলাম। ঢুকেই দেখি চমক। সবাইকে স্বাগত জানাতে বসে আছেন আনিসুল হক। সবার আগে হাত তুললাম। ভাবছিলাম, প্রশ্নগুলো আমিই আগে করে ফেলি। কিন্তু আমার আগেই কিআ সম্পাদক কথা শুরু করলেন। যে যার বাসায় বসা, আমরা তখন চুপ। প্রশ্ন করার কথা ভুলেই গেছি। শুরুতেই মাইলস্টোন স্কুলের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত সবার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া চেয়ে প্রার্থনা করলেন আনিসুল হক।
আনিসুল হক আমাদের বোঝালেন, এত বড় আঘাতের পরও কীভাবে আমরা এই শোক থেকে বেরিয়ে আসতে পারি। এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত।
এই পর্ব শেষ করেই কিআ সম্পাদক কিআ কার্যালয়ের সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কিশোর আলোর সহযোগী সম্পাদক আদনান মুকিত, জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক আহমাদ মুদ্দাসসের, প্রদায়ক আব্দুল ইলা ও নওশিন শারমীন। তারপর শুরু হলো কিআর ভূত সংখ্যা নিয়ে আলোচনা।
ভূত সংখ্যা নিয়ে সবাই মতামত দিতে শুরু করল। একে একে সবার প্রশ্নের উত্তর দিলেন আদনান মুকিত ও আহমাদ মুদ্দাসসের। নতুন বেশ কিছু আইডিয়া দিল অংশগ্রহণকারীরা।
এর মধ্যেই কেউ কেউ জানতে চাইল কীভাবে লেখা পাঠাবে, কেউ পরের সংখ্যায় আরও ধাঁধা চাইল, আবার কেউ জানাল নতুন ধারাবাহিক চালুর অনুরোধ। কয়েকজন তো এটাও বলল, তারা কী কী বিষয়ে আগ্রহী ও কোন কোন বিষয়ে আরও লেখা চায়। দেখলাম, একজন আমাদের সব আবদার, প্রশ্ন আর পরামর্শগুলো লিখে নিচ্ছিল, যেটা দেখে বেশ ভালো লাগল।
জানিয়ে রাখি, প্রতি মাসেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোর আলোর অনলাইনে আড্ডার। দেশের যেকোনো প্রান্তের পাঠক খুব সহজে যুক্ত হতে পারবে কিশোর আলোর সঙ্গে। পাশাপাশি কিআ কার্যালয়ে অফলাইন আড্ডা তো থাকছেই।
অনলাইন কিআড্ডায় অংশ নিতে নিবন্ধন করো: www.kishoralo.com/4zrv2pfcmh