যেভাবে এল ‘বিশ্ব মা দিবস’

মে মাসের দ্বিতীয় রোববার অর্থাৎ আজ ১৪ মে বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে মা দিবস। মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশের জন্য বিশ্বের নানা দেশে বর্তমানে ঘটা করে পালন করা হয়ে থাকে দিনটি। মা দিবসের শুরুটা ছিল প্রায় এক শতাব্দীর আগে। আনা জার্ভিস ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোর ও ওহাইওর মাঝামাঝি ওয়েবস্টার জংশন এলাকার বাসিন্দা। তাঁর মা অ্যান মেরি রিভস জার্ভিস সারা জীবন অনাথদের সেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। আমেরিকান গৃহযুদ্ধের আহত সৈন্যদের যত্নও নিয়েছিলেন তিনি। ১৯০৫ সালে মারা যান মেরি। অনাথদের জন্য মেরি জার্ভিসের এই নিঃস্বার্থ জীবন উৎসর্গের কথা লোকচক্ষুর অগোচরেই থেকে যায়।

নিঃস্বার্থভাবে জীবন উৎসর্গ করা মায়ের প্রতি সম্মান জানাতে ১৯০৮ সালে মায়ের স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন অ্যানা জার্ভিস। অনুষ্ঠানটি পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফটন শহরের সেন্ট এন্ড্রুস মথডিস্ট চার্চে অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই মেরি জার্ভিসের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি ও প্রাপ্য সম্মান অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন মেয়ে আনা জার্ভিস। তাঁর সাত বছরের প্রচেষ্টার পর যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। ১৯১১ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি রাজ্যে মা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৯১৪ সালের ৮ মে, মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেস। সে সময়কার যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এই ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন। আর এভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের আনা মারিয়া রিভস জার্ভিস ও তাঁর মেয়ে আনা জার্ভিসের উদ্যোগে স্বীকৃতি পাওয়া ‘মা দিবস’ বাংলাদেশসহ বিশ্বের আরও বিভিন্ন দেশে গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে বছরের পর বছর।