ভাইকিংদের সম্পর্কে এই ১০ তথ্য কি তুমি জানতে

‘হাউ টু ট্রেইন ইয়োর ড্রাগন’ সিরিজের সিনেমাগুলো তোমরা অনেকেই হয়তো দেখেছ। ড্রাগন ও দুর্ধর্ষ এক যোদ্ধা জাতিকে নিয়ে এগুলোর গল্প, যেখানে এ যোদ্ধা জাতি খালি হাতে ড্রাগনের সঙ্গে লড়াই করে। ড্রাগনকে পোষ মানিয়ে একের পর এক অভিযানে বেরোয়। সাহসী সেই জাতির নাম ভাইকিং। বাস্তব আর মুভির গল্প এক নয়। তবে ড্রাগনের অস্তিত্ব ইতিহাসে না থাকলেও একসময় ভাইকিং জাতি সত্যিই ছিল পৃথিবীতে। দাপিয়ে বেড়িয়েছে ইউরোপ ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় নানা অঞ্চল। দুর্ধর্ষ এ জাতি সম্পর্কে একনজরে ১০টি তথ্য জানাচ্ছেন আব্দুল্লাহ আল মাকসুদ।

১ / ১০
দূরপাল্লার সমুদ্র অভিযানের জন্য বিখ্যাত ছিল ভাইকিংরা। ৮০০ থেকে ১০৬৬ খ্রিষ্টাব্দ—এ সময়ের মধ্যে তারা স্ক্যান্ডিনেভিয়া থেকে সমুদ্রপথে বিশাল দূরত্ব পাড়ি দিত। যাত্রাকালে প্রায়ই অন্যদের ধনসম্পদ লুটে নেওয়ার অভিযোগ আছে ভাইকিংদের বিরুদ্ধে। তবে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে এদের ব্যবসায়িক সম্পর্কও ছিল।
ছবি: ব্রিটানিকা
২ / ১০
প্রাচীন নর্স ভাষায় ভাইকিং শব্দের অর্থ ‘জলদস্যুর হামলা’।
ছবি: টুইটার
৩ / ১০
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের অনেক আগেই আমেরিকা মহাদেশে গিয়েছিল ভাইকিংরা। আনুমানিক ১০০০ খ্রিষ্টাব্দে ভাইকিং অভিযাত্রীরা বর্তমান কানাডা উপকূলে পা রাখে।
ছবি: ব্রিটানিকা
৪ / ১০
নর্স পুরাণের অনেক দেব–দেবীর পাশাপাশি বজ্রদেবতা থর ও ছলনাকারী দেবতা লোকির উপাসনা করত ভাইকিংরা। ঠিক ধরেছ, মার্ভেল সিনেমাটিক ইউভার্সের থর ও লোকি চরিত্রগুলো এসেছে নর্স রূপকথা থেকে।
ছবি: ইন্সটাগ্রাম
৫ / ১০
নৌযান তৈরি ও চালনায় দক্ষ ছিল ভাইকিংরা। কাঠ দিয়ে তারা তৈরি করত কিলস নামের বিশেষ ধরনের নৌযান। কিলসের নিচের দিকে লম্বালম্বিভাবে থাকত কাঠের পুরু অংশ। ১৬ থেকে ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের এসব নৌযান সহজেই পানিতে ভেসে থাকতে কিংবা সৈকতে উঠতে পারত।
ছবি: গেটি ইমেজ
৬ / ১০
‘হ্যারি পটার’ সিরিজের মায়ানেকড়ে চরিত্র ফেনরি গ্রেব্যাকের নাম নেওয়া হয়েছিল, ভাইকিংদের পৌরাণিক কাহিনির এক হিংস্র দৈত্যাকার নেকড়ের নাম থেকে।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স
৭ / ১০
সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভাইকিং মারা গেলে তার সব কাপড়, অলংকার এবং তার অধীন থাকা সব প্রাণীসহ সমাধি জাহাজে রাখা হতো। এরপর এই জাহাজ হয় মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলা হতো, নয়তো আগুন লাগিয়ে ভাসিয়ে দেওয়া হতো সমুদ্রে।
ছবি: টুইটার
৮ / ১০
স্ক্যান্ডিনেভিয়া শীতপ্রধান অঞ্চল। তীব্র শীতে সেখানকার জলাধার বেশির ভাগ সময় বরফে ঢাকা থাকত। তবে এতে মাছ খাওয়া বন্ধ হতো না ভাইকিংদের। গ্রীষ্মকালে প্রচুর মাছ ধরে শুকিয়ে রাখত। এরপর সারা বছর খেত শুঁটকি মাছ।
ছবি: নিউ সাইন্টিস্ট
৯ / ১০
চাইলে ভাইকিংদের পরিবেশসচেতনও বলতে পারো। কাঠ, ঘাস ও কাদামাটির আস্তরণ দিয়ে দীর্ঘ ঘর বানিয়ে থাকত পরিবার নিয়ে। গঠন উপাদানের কারণে ঘরের ভেতরটা থাকত উষ্ণ।
ছবি: দ্য কালেকটর
১০ / ১০
মুভিতে শিংওয়ালা একধরনের হেলমেট পরতে দেখা যায় ভাইকিংদের। বাস্তবে মোটেই এমন ছিল না। মাটি খুঁড়ে ইতিহাসবিদেরা ভাইকিংদের যেসব নমুনা পেয়েছেন, সেগুলোয় ভাইকিংদের হেলমেটে কোনো শিং ছিল না।
ছবি: উইকিমিডিয়া কমন্স