সিনেমায় নয়, বাস্তবেই হওয়া যাবে হগওয়ার্টস এক্সপ্রেসের চালক

বিখ্যাত ‘গ্লেনফিনান ভায়াডাকট’ ব্রিজ

মনে আছে হগওয়ার্টস এক্সপ্রেসের কথা? যে ট্রেনে চড়ে হগওয়ার্টসে যেত হ্যারি পটার, রন, হারমায়োনিরা। কখনো ইচ্ছা হয়েছে ওই ট্রেনের চালক হওয়ার? এবার সেই ইচ্ছা সত্যি করার সুযোগ করে দিচ্ছে স্কটল্যান্ডের রেল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি হাইজবস নামের এক ওয়েবসাইটে দেখা গেছে এই বিজ্ঞপ্তি। যেখানে এটাকে ‘স্বপ্নের চাকরি’ বলা হয়েছে। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই রেলপথে শিক্ষানবিশ ট্রেনচালক নিয়োগ দিতে চায় স্কটিশ রেলওয়ে। স্কট রেল বলছে, নতুন এই শিক্ষানবিশদের চাকরির জায়গা হবে ফোর্ট উইলিয়ামে। যেখান থেকে তাঁরা নিয়মিত সুযোগ পাবেন ওয়েস্ট হাইল্যান্ড ভ্রমণের।

এই পথ গ্লাসগো শহরের সঙ্গে ওবান, ফোর্ট উইলিয়াম ও মালাইগকে যুক্ত করেছে। এই যাত্রাপথে পাড়ি দিতে হয় হ্যারি পটারের সেই বিখ্যাত ‘গ্লেনফিনান ভায়াডাকট’ ব্রিজ। ব্রিজের ওপর দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে হগওয়ার্টস এক্সপ্রেসের ছুটে চলার দৃশ্য যেকোনো পটারহেডের অন্যতম পছন্দ। হ্যারি পটার সিরিজের ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য চেম্বার্স অব সিক্রেটস’ এবং ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য প্রিজনার অব আজকাবান’-এর দৃশ্যগুলো মূলত ধারণ করা হয়েছিল গ্লেনফিনান ভায়াডাক্টে। যেখানে ব্যবহৃত হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস ছিল জ্যাকোবাইটের বাষ্পচালিত ট্রেন।

হগওয়ার্টস এক্সপ্রেস

২০০৯ সালে ওয়ান্ডারলাস্টের ভ্রমণ সাময়িকী ইনডিপেনডেন্ট ট্রাভেল ম্যাগাজিনের পাঠকদের ভোটে ‘সেরা রেলভ্রমণ’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিল এই ট্রেনযাত্রা। যাত্রাপথে রয়েছে ‘করর’ রেলস্টেশন, যেটা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ ৪০৮ মিটার বা ১৩৩৯ ফুট ওপরে। একই সঙ্গে এটা যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দূরবর্তী স্টেশনগুলোর মধ্যেও একটি। ১৯৯৬ সালের ট্রেনস্পটিং চলচ্চিত্রেও দেখা গিয়েছিল এই স্টেশন।

এই রেলপথে ট্রেন চালানোর জন্য শুরুতে বেতন পেতে পারো বছরে ৩২ হাজার ৯৬৮ ইউরো, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকা। তবে অভিজ্ঞতা বাড়লে সেটা পৌঁছাতে পারে ৫৮ হাজার ২৮ ইউরো বা ৬৯ লাখ বাংলাদেশি টাকা পর্যন্ত। আপাতত শিক্ষানবিশ হিসেবে যোগ দিতে কোনো পূর্ব–অভিজ্ঞতার প্রয়োজন নেই। তবে প্রার্থীর বয়স হতে হবে ২০ বছর এবং সেই সঙ্গে উত্তীর্ণ হতে হবে কিছু মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষায়ও।

বাংলাদেশি হিসেবে স্কটল্যান্ডের রেলে কাজ করাটা কঠিনই বটে, তবে অসম্ভব নয়। ঠিকঠাক সুযোগ এলে হ্যারি পটারের এই ট্রেন চালানোর স্বপ্ন তোমার জন্যও সত্যি হতেই পারে।

সূত্র: বিবিসি ডটকম