এককথায় পৃথিবীর দাম ৩ থেকে ৪.৪ কোয়াড্রিলিয়ন পাউন্ড।
বিস্তারিত বলতে গেলে...
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানী গ্রেগ লাফম্যান এ প্রশ্নের উত্তর বের করার জন্য সমীকরণ তৈরি করেছেন। এই সমীকরণ ব্যবহার করে গ্রহের আকার, বয়স, তাপমাত্রা, ভর, বাসযোগ্যতা খুব সহজে মূল্যায়ন করা যায়। এমন আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বের করা যায় সমীকরণটি ব্যবহার করে। পৃথিবীর পাশাপাশি অন্য যেকোনো গ্রহের অর্থনৈতিক মূল্যও এর মাধ্যমে বের করা সম্ভব। এ সমীকরণের হিসাবে পৃথিবীর মূল্য দাঁড়ায় প্রায় তিন কোয়াড্রিলিয়ন পাউন্ড। এক পাউন্ডের দাম বাংলাদেশি টাকায় ১৩৪ টাকা করে হিসাব করলে হয় প্রায় ৪,১৯২,৫৭,৪৬,৩০৯,৯৯,৯৯,৯৪০ টাকা। (৪২ এর পর ১৬টি শূণ্য বসালে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায়)। সমীকরণ অনুযায়ী মহাবিশ্বের অন্য সব গ্রহের তুলনায় পৃথিবীর আর্থিক মূল্য বেশি।
একই সমীকরণে মঙ্গল গ্রহের মূল্য হয় মাত্র ১০ হাজার পাউন্ড বা ১৪ লাখ টাকা। বেশ হাস্যকর হলেও শুক্র গ্রহের দাম দাঁড়ায় ১০০ টাকারও কম।
আমেরিকান টিভি নেটওয়ার্ক হিস্ট্রি চ্যানেলের তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীর দাম আরও বেশি আসে। সমীকরণটি পৃথিবী, পানি, খনিজ পদার্থ বা কাঠ এসবের বর্তমান বাজারমূল্য হিসাব করে। এভাবে পৃথিবীর দাম গিয়ে ঠেকে ৪ দশমিক ৪ কোয়াড্রিলিয়ন পাউন্ডে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সংখ্যাটা হয় পৌনে ৬ হাজার কোটি কোটি (৫,৮৭৪,০৯,০৭,৩২৪,০০,০০,০০০) টাকার বেশি।
তবে যত সমীকরণ বা হিসাব করা হোক না কেন, আমাদের কাছে পৃথিবীর মূল্য অসীম। মানুষের জন্ম, বেড়ে ওঠা, হাসি-আনন্দ বা দুঃখের স্মৃতি এই পৃথিবীতেই। প্রিয়জনের ভালোবাসা, আদর, মমতা পৃথিবীর মানুষের গল্প। মহাবিশ্বের সমস্ত সম্পদের সঙ্গে এই গল্পের বিনিময় মূল্য হয় না। অমূল্য এই পৃথিবীকে তাই আমরা ভালোবাসি। একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই এর মূল্যায়ন করা যেতে পারে।