দ্য মিস্টিরিয়াস অ্যাফেয়ার অ্যাট স্টাইলস—আগাথা ক্রিস্টির প্রথম বই। লিখেছিলেন বোনের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করে।
প্রথম বইয়ের পাণ্ডুলিপি নিয়ে ফিরে এসেছিলেন ছয় প্রকাশকের দ্বার থেকে। অবশেষে পাঁচ বছর পর আলোর মুখ দেখেছিল সেটি।
তিনিই একমাত্র অপরাধ কল্পকাহিনির লেখক, যিনি একই সঙ্গে তুমুল জনপ্রিয় দুই গোয়েন্দা চরিত্র সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন—এরকুল পোয়ারো ও মিস মার্পল।
১৯২২ সালে গোটা দুনিয়া ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন এই লেখক।
কৈশোরের শেষ দিকে শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নিয়েছিলেন ক্রিস্টি। তবে শ্রোতার সামনে গান গাওয়ার ব্যাপারে ভীষণ জড়তা ছিল তাঁর। তাই শেষমেশ সংগীতশিল্পী আর হতে পারেননি তিনি।
গোয়েন্দা কাহিনি ছাড়াও ছয়টি রোমান্টিক ধাঁচের বই লিখেছিলেন মেরি ওয়েস্টম্যাকোট ছদ্মনামে।
নিজের লেখা দ্য মিস্ট্রি অব দ্য ব্লু ট্রেন বইটি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমার লেখা সবচেয়ে বাজে বই।’
‘একজন নারীর কাছে প্রত্নতত্ত্ববিদ স্বামী সেরা স্বামী। কারণ, যতই বুড়ো হবেন, স্বামীর কাছে আপনি ততটাই আকর্ষণীয় হয়ে উঠবেন।’ অনেকে জানেন কথাটি আগাথা ক্রিস্টির। আসলে তা তিনি কোনো দিনও বলেননি! তবে প্রত্নতত্ত্ববিদ ম্যাক্স ম্যালোয়ান ছিলেন ক্রিস্টির দ্বিতীয় স্বামী।
এক প্রজাতির গোলাপ ফুল আছে তাঁর নামে।
অপরাধ কল্পকাহিনির লেখক ও নাট্যকার—এ দুই পরিচয়েই তিনি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত, যা বিরল।
ক্রিস্টির মিস মার্পল চরিত্রটির মধ্যে তাঁর নানির চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের ছায়া ছিল।
লেবুর আচার ও তেলাপোকা—এ দুইয়ে ভীষণ অ্যালার্জি ছিল ক্রিস্টির।
এলিজাবেথ বোয়েন ও গ্রাহান গ্রিন ছিলেন তাঁর প্রিয় দুই লেখক।
লিলি ও ভ্যালি—তাঁর দুটি প্রিয় ফুল।
ক্রিস্টি তাঁর আত্মজীবনী লিখতে সময় নিয়েছিলেন ১৫ বছর!
থ্রি অ্যাক্ট ট্র্যাজেডি বেরিয়েছিল ১৯৩৫ সালে, ক্রিস্টির এ বইটিই প্রথমবারের মতো এক বছরে বিক্রি হয়েছিল ১০ হাজার কপি।
জীবনে শেষবারের মতো ক্রিস্টি প্রকাশ্যে এসেছিলেন ১৯৭৪ সালে, মার্ডার অন দ্য ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস সিনেমার প্রিমিয়ার শোতে।