‘আমার একটা টাইম মেশিন চাই’ — তাসনীম বিন আলম

মুহম্মদ জাফর ইকবালের দীপু নাম্বার টুর দীপুর কথা মনে পড়ে, বন্ধুরা? ওই যে প্রতিবছর স্কুল বদলাত যেই ছেলেটা? গল্পের দীপুর সঙ্গে কুমিল্লা জিলা স্কুলের নবম শ্রেণিপড়ুয়া তাসনীম বিন আলমের বেশ মিল পাওয়া যাবে। দীপুর মতো প্রতিবছর না হলেও বাবার বদলির সুবাদে এ পর্যন্ত সারা দেশের বিভিন্ন স্থানের মোট পাঁচটি স্কুলে পড়া হয়ে গেছে তার। নিজের অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে প্রতিবারই সে হয়ে উঠেছে সবার প্রিয় মুখ।

উপস্থিত বক্তৃতা, একক অভিনয়, থিয়েটার, কুইজ প্রভৃতি ক্ষেত্রে সফল হয়ে একের পর এক পুরস্কার বাগিয়ে নিয়েছে তাসনীম। আন্তস্কুল বিজ্ঞান উৎসবে পুরো ঢাকায় দ্বিতীয় এবং কুমিল্লা জেলায় তৃতীয় হয়েসে সে। একাধিকবার সেরা বক্তা হওয়ার গৌরব অর্জনসহ বিভিন্ন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অসংখ্যবার চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ পুরস্কার রয়েছে তার। লেখালেখি করতেও ভালোবাসে সে, নানা রকম রচনা প্রতিযোগিতায় পুরস্কারসহ শিশুসাহিত্যে জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কারও তার ঝুলিতে রয়েছে। গত বছর মার্কস অলরাউন্ডারে জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে তাসনীম। কিরআত, চিত্রাঙ্কন, এমনকি মৃিশল্পেও প্রতিভার পরিচয় দিয়েছে সে। মতিঝিল গভ. বয়েজ হাইস্কুলে পড়া অবস্থায় সেখানকার সাংস্কৃতিক সংঘ সংশপ্তক প্রতিষ্ঠায়ও বিশেষ অবদান রয়েছে তার।

বারবার স্কুল বদলানোর ফলে রোল নম্বরটা মাঝেমাঝে একদম শেষে চলে যায় ঠিকই, তবে আসলে কিন্তু ছাত্র হিসেবে তার স্থান ক্লাসের প্রথম সারিতেই। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়েছে সে, অষ্টম শ্রেণিতে জেএসসি পরীক্ষায় পেয়েছে গোল্ডেন এ প্লাস। অবসর সময় বই পড়ে কাটায় তাসনীম। বড় হয়ে সে প্রকৌশলী হতে চায়, সেই সঙ্গে হতে চায় একজন ভালো মানুষ।

তাসনীমের সাক্ষাৎকার

প্রশ্ন :

প্রিয় খেলোয়াড়

সাকিব আল হাসান

প্রশ্ন :

কী খেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করো?

গরম ভাত, সঙ্গে চিংড়ি ভর্তা

প্রশ্ন :

কার লেখা পড়তে ভালোবাসো?

মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রশ্ন :

অপছন্দের কাজ

হোমওয়ার্ক করা

প্রশ্ন :

বারবার স্কুল বদলাতে কেমন লাগে?

ভালো লাগে, আবার খারাপও লাগে। নতুন স্কুলে গেলে নতুন বন্ধু তৈরি হয়, কিন্তু পুরোনো বন্ধুদের ছেড়ে আসতে হয়!

প্রশ্ন :

আলাদিনের প্রদীপ পেলে কী কী চাও?

বাসাভর্তি বই, পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিল এবং আমার একটা টাইম মেশিন চাই!

প্রশ্ন :

কিশোর আলোর বন্ধুদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাও?

তোমরা সবাই এত্তগুলো ভালো থেকো!

(কিশোর আলোর নভেম্বর ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত)