বড় ভাইয়ের অর্জন অনেক। তার মাঝে ছোট্ট রাহিয়ানকে প্রায় আড়ালেই পড়ে থাকতে হতো। মা-বাবার উৎসাহেই একসময় কিছু একটা করার তাগিদ অনুভব করে সে। সেই মনের জোরেই পঞ্চম শ্রেণিতে প্রথমবারের মতো গণিত অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় রাহিয়ান। সে বছরেই দ্য স্কলার্স ফোরামসহ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠন থেকে মেধাবৃত্তি পায় গভ. ল্যাবরেটরি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির এই শিক্ষার্থী। আবৃত্তি, অভিনয়, উপস্থিত বক্তৃতার পাশাপাশি রাহিয়ান একজন দক্ষ বিতার্কিক। প্রথম আলো আয়োজিত স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন এই বিতার্কিকের ঝুলিতে রয়েছে আরও অনেক বিতর্ক প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ পুরস্কার। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ আয়োজিত জীববিজ্ঞান অলিম্পিয়াডে রানারআপ হওয়া রাহিয়ান অবসরে ভালোবাসে গান শুনতে। আর বন্ধুদের আড্ডায় গিটারে টুংটাং সুর তোলা, এই তো। তবে গান আর গিটারের রসায়ণেই সে জিতে নিয়েছে আন্তস্কুল সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় সঙ্গীত এবং বাদ্যযন্ত্র বিভাগের পুরস্কার। এখানেই শেষ নয়। আবৃত্তি, উপস্থাপনা ও অভিনয়েও একই রকম পারদর্শীতা আছে তার। উপস্থিত বক্তৃতায় একাধিকবার সেরা বক্তা হওয়া রাহিয়ান স্কুলের সাংস্কৃতিক ক্লাবের সহসভাপতি। সবকিছুতেই সেরা হওয়া রাহিয়ান চায় না সমাজে থাকুক কোনো ভেদাভেদ বা বৈষম্য।
রাহিয়ানের সাক্ষাৎকার
প্রশ্ন :
আরেকবার জন্মালে যা হতে চাইতাম—
প্রতিবারই আমি রাহিয়ান হতে চাইব।
প্রশ্ন :
এমন যদি হতো—
ইচ্ছে হলে ফিরে পেতাম, পুরোনো স্মৃতিগুলো।
প্রশ্ন :
ইচ্ছে করে—
পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় যেতে আর সব রহস্য সম্পর্কে জানতে।
প্রশ্ন :
আলাদিনের চেরাগ পেলে—
পৃথিবী থেকে পরীক্ষা নামক জিনিসটা উঠিয়ে দিতাম।
প্রশ্ন :
জীবনের আদর্শ—
আমি নিজেই আমার আদর্শ! কারণ, আমি মনে করি, জীবনে অন্যকে অনুকরণ করার চেয়ে এক ঘণ্টা আগে আমি যেই রাহিয়ান ছিলাম, তার চেয়ে এক ঘণ্টা পরের রাহিয়ানের এগিয়ে যাওয়াই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন :
অনুপ্রেরণা পাই—
মা, বাবা এবং বড় ভাইয়াই আমার অনুপ্রেরণা।