আমি নীল গলা বসন্তবাউরি

ছবি: আসকার ইবনে ফিরোজ
শুনলাম পত্রিকায় আমার ছবি ছাপা হচ্ছে (অবশ্য আমি যা বিখ্যাত, নিউজ না হয়ে উপায় কী?)। তার আগে লেখাটা ভালোমতো দেখে নিচ্ছি। বলা তো যায় না, যদি ভুলটুল হয়!

আমি বসন্তবাউরি। গলায় নীল রং তো, তাই সবাই আমাকে নীল গলা বসন্তবাউরি নামেই চেনে। তোমাদের অনেকের সঙ্গেই আমার দেখা হয় না, কারণ, আমি থাকি বনজঙ্গলে। শহরের দমবন্ধ করা অট্টালিকা, ধুলাবালু, গাড়ির হর্ন, কলকারখানার আওয়াজ—এসব আমার একদম ভালো লাগে না। তাই প্রচুর গাছপালা আছে, এমন জায়গায় থাকতেই ভালোবাসি। আমরা বাসাও বানাই গাছে। এই তো, একটু আগেও বাসায় ঘুমাচ্ছিলাম। লেখাটা দেখার জন্য ঘুম থেকে উঠতে হলো। এরা দেখি অনেক কথাই লেখেনি। কী আশ্চর্য! আরে আমরা যে ফল খাই, এটাই তো লেখেনি। এ জন্যই আমাদের এত লম্বা ঠোঁট। তা ছাড়া তিন-চারটা ডিম পাড়ি আমরা। সেটা বলতে হবে না? আমরাসহ মোট পাঁচ প্রজাতির বসন্তবাউরি বাংলাদেশে ওড়াউড়ি করে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই আমাদের স্বজাতি বন্ধুবান্ধব আছে। ইংরেজিতে আমাদের বলা হয় ব্লু–থ্রোটেড বারবেট। নামটার ভাবই আলাদা, কী বলো? তো যা–ই হোক, তোমাদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে ভালো লাগল। গ্রামের দিকে এলে আমার সঙ্গে দেখা কোরো। গান শোনাব তোমাদের। যদি সময় পাই আরকি, জানোই তো আমি অনেক ব্যস্ত। আমার গলা খুব মিষ্টি, ফলে সারা দিন গান নিয়েই ব্যস্ত থাকি। আর জুন–জুলাইয়ের দিকে তো দম ফেলারও সময় নেই। সে সময় গাছের খোঁড়লে নতুন বাসা বানাই। তবে তোমরা যদি আসো, ঠিকই একটা সেলফি তোলার সময় বের করতে পারব। ভালো থেকো।