প্রথম শ্রেণিতে পড়ার সময়ই কেন্দ্রীয় খেলাঘর আয়োজিত হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিভাগে প্রথম হয় সাদেকীন। সেই থেকে আত্মবিশ্বাস আর মায়ের অনুপ্রেরণায় পথচলা। বিভিন্ন সময়ে অভিনয়, আবৃত্তি, গল্প বলা, উপস্থিত বক্তৃতা আর কুইজে সর্বমোট সাতবার জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে সে। পেয়েছে মৌসুমী শিশু পুরস্কার। বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার অংশ নিয়েছে উপস্থাপক ও আবৃত্তিকার হিসেবে। স্কুলের সাংস্কৃতিক সংঘ ‘সংশপ্তক’-এর সভাপতি সে। যুক্ত আছে চন্দ্রবিন্দু নামের একটি শিশু পত্রিকার সঙ্গেও।
মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাদেকীন। তার তৈরি ‘রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং’ নামক একটি বিজ্ঞান প্রকল্প বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলায় এ পর্যন্ত নয়টি পুরস্কার জিতেছে। বিবর্তন নামক দেয়ালপত্রিকা জিতেছে পাঁচটি পুরস্কার। জীববিদ্যা, গণিত আর পরিবেশ অলিম্পিয়াডেও আছে তার একাধিক অর্জন। যুক্তিতর্কের দিক থেকেও এগিয়ে সে। এরই মধ্যে ১২টি চ্যাম্পিয়নশিপ আর সাতটি রানারআপ ট্রফি অর্জন করেছে তার দল।
খেলাধুলাতেও পিছিয়ে নেই সে। স্কুলের হাইজাম্প, লংজাম্প বা গোলক নিক্ষেপে পুরস্কার তো বাঁধাই থাকে তার জন্য। বন্ধুদের সঙ্গে সাইকেলে চড়ে বেড়াতে ভালো লাগে তার। প্রচুর বই পড়ে ছেলেটা। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে পেয়েছে একাধিকবার পুরস্কার।
অবসরে রান্না করতে ভালোবাসে সাদেকীন। আরও ভালোবাসে নিজের তৈরি বাগান অরণ্যকুঞ্জে গাছের পরিচর্যা করতে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া সাদেকীন এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে।
সাদেকীনের সাক্ষাৎকার
প্রশ্ন :
আরেকবার জন্ম নিলে কী হতে চাইবে?
আরেকবার জন্ম নিলে আমি আমিই হতাম!
প্রশ্ন :
অনুপ্রেরণা পাই...
গান শুনে, বন্ধু এবং শিক্ষকদের কাছ থেকে।
প্রশ্ন :
যার লেখা ভালো লাগে...
হুমায়ূন আহমেদ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রশ্ন :
যে স্বপ্ন ঘুমোতে দেয় না...
স্কুলের কালচারাল ক্লাব সংশপ্তককে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া!
প্রশ্ন :
এমন যদি হতো...
হ্যারি পটারের মতো জাদুশক্তি দিয়ে পুরো দুনিয়াটাকে বদলে ফেলা যেত!
প্রশ্ন :
স্কুলের প্রিয় ও অপ্রিয় যা...
সাংস্কৃতিক আয়োজনগুলো বড় আকারের হয়, এটা প্রিয়। আর অপ্রিয় বিষয়টি হচ্ছে ক্লাবগুলোর কাজে শিক্ষার্থীদের তেমন একটা পাওয়া যায় না।
প্রশ্ন :
বড় হয়ে কী হতে চাও?
চলচ্চিত্র পরিচালক।