কে-পপ দিয়ে কানাডায়

বেশকিছুদিন আগের ঘটনা। ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে একটা খবরে চোখ আটকে যায় সন্ধির। খবরটা হলো ‘প্রোজেক্ট কে’ কে-পপ অডিশনের। আয়োজন করেছে একেপি এন্টারটেইনমেন্ট নামক একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি কোরিয়ান পপ বা কে-পপের বিভিন্ন ধারাকে ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিকের মাধ্যমে উপস্থাপন করে আসছে। কে-পপ প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার খবর দেখার পর সন্ধি কী করল, সেটাই তোমাদের বলি এখন।

সন্ধি
সন্ধি

কিশোর আলোর স্বেচ্ছাসেবক কাজী ফারহিন সন্ধি। কিশোর আলো পড়ে আর স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করে সে বেশ ভালোভাবেই নিজেকে চিনেছে। নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগার জায়গাটি সম্পর্কেও জেনেছে। আর যেহেতু সে কে-পপের ভক্ত, তাই এমন সুযোগ তো আর ফেলে দেয়া যায় না! ১৫ সেপ্টেম্বর কানাডার মন্ট্রিলে ছিল এই প্রতিযোগিতার অডিশন। বাংলাদেশে বসেই অডিশনে অংশ নিয়ে নিল সন্ধি। মূলত এই অডিশনে দুইভাবে অংশ নেওয়া যায়—স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অথবা ভিডিও পাঠিয়ে। ভোকাল, ড্যান্স ও র‍্যাপ—এই তিন বিভাগে অংশ নেবার সুযোগ ছিল অডিশনে। সন্ধি ড্যান্স বিভাগে আবেদন করে। প্রথম ভিডিওটি সে পাঠিয়ে দেয় অনলাইনের মাধ্যমে। এরপর সারা পৃথিবী থেকে প্রথমে ৫০ জনকে বাছাই করা হয়। তাদের মধ্য থেকে আরেক অডিশনের মাধ্যমে বেছে নেওয়া হয় ৩ জনকে। প্রথম হয় তিউনিসিয়ার হাদিল রেইস, তৃতীয় হয় নিউজিল্যান্ডের ম্যাক্সি ওইয়াং। দ্বিতীয় অবস্থানটি অর্জন করে নেয় বাংলাদেশের সন্ধি। অবশ্য সন্ধি বাদে বাকি দুজনই ছিল ভোকাল বিভাগের। সে হিসেবে ড্যান্স বিভাগে তাকে সেরা বলাই যায়।

ওয়েবসাইটে সন্ধির বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা
ওয়েবসাইটে সন্ধির বিজয়ী হওয়ার ঘোষণা

ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী সন্ধি। ২০১৫ সাল থেকে সে কে-পপের ভক্ত। কে-পপের সংগীত আয়োজন, ভিডিও প্লট, কোরিওগ্রাফি সবকিছুই দারুণ লাগে সন্ধির কাছে। সবচেয়ে ভালো লাগে শিল্পীদের গান ও নাচ দুটোই করতে পারার ক্ষমতা দেখে। পছন্দের ব্যান্ড বিটিএস। এছাড়া বিগব্যাং, ফোর মিনিট, এসএনএসডি, টিভিএক্সকিউ, স্ট্রে কিডসসহ অন্যান্য ব্যান্ডগুলোও ভালো লাগে তার।

অপেক্ষা এখন মূল পর্বের। আসছে ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় সরাসরি অডিশনে অংশ নিবে সন্ধি। তার আসা-যাওয়াসহ সব খরচ বহন করবে আয়োজক সংস্থা। কে-পপ আইডল বা 'সিঙ্গার' হতে পারলে সন্ধি সুযোগ পাবে ৪ বা ৫ বছর মেয়াদী প্রশিক্ষণের। শেষ পর্যন্ত কে-পপ আইডল হতে পারুক আর না-ই বা পারুক, বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাটাকেই সবচেয়ে বড় ব্যাপার মনে করে সন্ধি। পছন্দের কাজটির পেছনে সময় ও শ্রম দিলে তা যে বৃথা হয় না, তার উদাহরণ হিসেবে এখন সন্ধির নাম বলাই যায়।