গুপ্তবিদ্যার পাঠশালা

রহস্যের মজাদার একটি শাখা, ‘ক্রিপ্টোগ্রাফি’ নামে পরিচিত। সভ্যতার উত্তরণের একটি বিশাল জায়গা জুড়ে এর স্থান আছে বলে ধারণা করা হয়। আধুনিক প্রত্নতত্ত্ববিদেরা কিছু চিরকুট এবং শিলালিপির ভগ্নাবশেষ থেকে প্রাচীন সভ্যতার রহস্য উদ্ঘাটনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ক্রিপ্টোগ্রাফির উদ্দেশ্যই হলো একটা নির্দিষ্ট দল পর্যন্ত বার্তা সীমাবদ্ধ রাখা। সে ক্ষেত্রে নিজস্ব কিছু কৌশল অবলম্বন করে বার্তার গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। যাতে প্রতিপক্ষ কোনোক্রমেই কিছু ধরতে না পারে। কিন্তু তোমাদের মধ্যে যারা শার্লকভক্ত, তারা হয়তো এসব বুঝতে পারবে। ক্রিপ্টোগ্রাফি আয়ত্তে আনা একেকটা ‘কোড’ জয় করার মতো। ‘ক্রিপ্টোগ্রাফি’ বা ‘ক্রিপ্টোলজি’ শব্দটা শুনে মনে হতে পারে, কোথায় না জানি বোমা ফুটল! কতই না কঠিন হবে হায়! মজার বিষয় হলো, এই কাজ এম্বিগ্রাম কিংবা অরিগ্যামির মতোই সোজা। তবে বন্ধুমহলে তকমা জুড়ে দিতে আমরা এর কৌশলগুলোকে একেকটি কোড বলি, নাকি? চাইলে এই গুপ্তসংকেত শিখে তুমিও মজা করতে পারো। চমকে দিতে পারো তোমার বন্ধুদের।

১.

ওপরের প্রথম কোডটি সবচেয়ে সহজ। এখানে ইংরেজি বর্ণমালার শেষ বর্ণটিকে ধরা যাক বর্ণমালার প্রথমটি হিসেবে। তাহলে ‘এ’ হয়ে যাবে ‘জেড’। পর্যায়ক্রমে পুরোটা বর্ণক্রম উল্টে ফেললে ১, ২, ৩ হয়ে যাবে ২৬, ২৫, ২৪। তাই এভাবে কোন কিছু লিখলে অনেকের জন্যই সেটি বোঝা কঠিন হয়ে যেতে পারে।

২.

কোড ১-এ যেমন পুরো বর্ণক্রম উল্টে গিয়েছে, কোড ২-এ তেমনিই বর্ণক্রম উল্টোবে, তবে অর্ধেকটা। ছাব্বিশকে ভাগ করলে হয় তেরো। প্রথমার্ধের বর্ণক্রমের তেরো নম্বর বর্ণটি হবে দ্বিতীয়ার্ধের ছাব্বিশ নম্বর বর্ণ। অর্থাৎ, ‘এম’ হয়ে যাবে ‘জেড’। বাকীগুলো নিজেই দেখো হিসেব করে।

আর নিচেরটি প্রতিটি অক্ষর লেখা হয়েছে টিক-ট্যাক-টো-এর মতো এক একটি ঘরে। একটু ভালোমতো খেয়াল করলেই আশাকরি বুঝতে পারবে বিষয়টি। বোঝার সুবিধার্থে উদাহরণও দেয়া আছে নিচে।

আরও যে কত আবোল-তাবোল কোড আছে, তা এই বিষয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলে পাওয়া যাবে। চাইলে নিজেরা নিজেদের মধ্যে এ রকম কোড লিখে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারো। এবার এ রকম কোনো সংকেত ব্যবহার করে নিজের নাম কিংবা তোমার প্রিয় পত্রিকা ‘কিশোর আলো’ লিখে ফেলো তো।