চকলেট ফ্যাক্টস

মিথ্যা কথা বলছি না। সত্যিই ছিল। ১৯৭১ সালের কথা সেটা। উইলি উয়োঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকলেট ফ্যাক্টরি চলচ্চিত্রের শুটিংয়ের জন্য ১৫ হাজার গ্যালন পানি আর চকলেট মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সত্যিকারের এক চকলেট নদী। নামেই নদী না। শুটিংয়ের সময় সে নদীতে অগাস্টাস গ্লুপ তো রীতিমতো ডুবেই যাচ্ছিল।

অবশ্য ক্রিমের পরিমাণ বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবে নদীটা খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। পরে জানা যায় সে নদী থেকে নাকি খুবই বিদঘুটে গন্ধ বের হতো।

ব্রিটিশ চকলেট কোম্পানি থর্ন্টন তাদের শততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এক বিশ্ব রেকর্ড করেছে। তাদের তৈরি করা প্রকাণ্ড সে চকলেট বারটির ওজন ৫ হাজার ৭৯২.৫ কেজি। তোমার জন্মদিন চিরস্মরণীয় করার জন্য তুমি কী করো?

চকলেটে বেশি পরিমাণে থিওব্রোমিন নামক উত্তেজক পদার্থ থাকে। শরীরে এই থিওব্রোমিন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে হার্ট বা কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই অল্প অল্প চকলেট খাও। বেশি দিন বাঁচো।

মায়ান সভ্যতার অন্যতম মুদ্রা ছিল কোকো বীজ। তখন এও মনে করা হতো, কোকো বীজের দাম স্বর্ণের গুঁড়ার চেয়েও বেশি। মুদ্রামান যেন কমে না যায়, তাই বেশি কোকো চাষেও ছিল নিষেধাজ্ঞা।

হ্যাঁ। তুমি ঠিকই পড়েছ। আমরা এত দিন মিথ্যা জেনে আসছিলাম। কোনো কিছুকে চকলেট তকমা পেতে হলে তাতে অবশ্যই আস্ত কোকো কিংবা কোকোর লিকার থাকতে হবে। কিন্তু এই হোয়াইট চকলেটে থাকে কেবল কোকো বাটার।

তোমরা যে চকলেট চিপ কুকি খাও, সেটা কিন্তু কোনো গবেষণার ফসল নয়। ১৯৩০ সালে রুথ ওয়েকফিল্ড খেয়াল করলেন তাঁর বাসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে চকলেট নেই। তিনি ভাবলেন, যতটুকু আছে, তা বিস্কুটের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে চকলেট বিস্কুট তৈরি করবেন। কিন্তু বিধি বাম! বেক করার পর দেখা গেল চকলেট আর বিস্কুট মোটেও মিশে যায়নি। বরং চকলেটের টুকরা বিস্কুটে আটকে আছে। কী আর করার! হতাশ হয়ে চেখে দেখতে গিয়ে খেয়াল করলেন এই বিস্কুট খেতে তাঁর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভালো লাগছে। পরে তিনি আজীবন চকলেট পাওয়ার বিনিময়ে এক বিখ্যাত কোম্পানির কাছে এই রেসিপিটি বিক্রি করে দেন।

সাধারণ একটি চকলেট বারে গড়পড়তা পোকার শরীরের আটটা অংশ থাকে। তবু এটা স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ নয়। এ তথ্য আমি নিজের পেট থেকে দিচ্ছি না। খোদ ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ কথা বলেছে। তারা এ-ও জানিয়েছে কোনো চকলেটে প্রতি ১০০ গ্রামে যদি ৬০টি বা তার বেশি পোকার দেহের অংশ পাওয়া যায়, তাহলে তা বাতিলের তালিকায় ফেলে দেওয়া হয়। এরপর চকলেট খাবে কি না, তোমার সিদ্ধান্ত। আমি বাপু কিছু জানি না।

প্রতিবছর অসংখ্য টবলেরন নামের সুইস চকলেট বিক্রি হয়। সেগুলোকে পাশাপাশি রাখলে মোট দৈর্ঘ্য হবে ৬২ হাজার কিলোমিটার। যা কিনা পৃথিবীর পরিধির চেয়েও বেশি। ভাবা যায়!

সূত্র: ফ্যাক্টমনস্টার ডটকম