ছাদের মাঝে একটা বাগান

স্কুল-কলেজ, রাস্তার জ্যাম, গাড়ির কান ঝালাপালা করা শব্দের ভিড়ে কখনো কি তুমি শুনতে পাও গাছের পাতায় বৃষ্টি পড়ার শব্দ? বেশি কষ্ট করতে হবে না তোমার এ জন্য। বাসার ছাদে বা বারান্দায় কয়েকটি গাছ লাগালেই তুমি শুনতে পাবে এই অন্য রকম ধ্বনি।

ছোটবেলা থেকেই আমি গাছ খুব ভালোবাসি। আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই আমি গাছের প্রতি এই ভালোবাসা পেয়েছি। আমার বাসার ছাদে আমরা সবাই মিলে প্রায় ২০০টি টবে গাছ লাগিয়েছি। আমার বাগানে গোলাপ, রঙ্গন, বাগানবিলাস, গ্ল্যাডিওলাস যেমন আছে, তেমনি আছে ঘৃতকুমারী, নিমের মতো ঔষধি গাছও। আবার ডালিম, আমড়া, পেঁপে থেকে শুরু করে ঢ্যাঁড়স, করলা গাছও আছে। এগুলো দেখভাল করতে একটু তো পরিশ্রম হয়ই। তবে সে পরিশ্রম বড়ই আনন্দের। চাইলে তুমিও করতে পারো এমন বাগান। তবে তোমার থাকতে হবে আত্মবিশ্বাস ও ধৈর্য। প্রথমে ছোট গাছ দিয়ে শুরু করো। পরে বড় টব বা বালতিতে বড় গাছ লাগাতে পারবে।

গাছে নিয়মিত পানি দিতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে পুষ্টির জন্য সার। চা বানানোর পর চা পাতা ফেলে না দিয়ে গাছের গোড়ায় দিলে তা গাছের পুষ্টির সমস্যা সমাধান করবে। আবার ডিম খেয়ে ওটার খোসা ফেলে দিয়ো না। ওটা ভেঙে গাছের গোড়ায় দিলে গাছ পুষ্টি পাবে। আর জৈব সার কীভাবে বানায় তা তোমরা নিশ্চয়ই জানো। ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও তোমার বাগানে যখন ফুল ফুটবে কিংবা তোমার বাগানে ফল ধরবে, তখন দেখবে এর আনন্দ পৃথিবীর যেকোনো আনন্দের চেয়ে কম নয়। তোমাদের জন্য আমার বাগানের কিছু ছবি পাঠিয়ে দিলাম। আশা করি, তোমাদের ভালো লাগবে এবং তোমরাও মানুষের প্রিয় বন্ধু গাছ লাগাতে উত্সাহী হবে।

(কিশোর আলোর আগস্ট ২০১৪ সংখ্যায় প্রকাশিত)