টারজান এবং স্বপ্নের অ্যাডভেঞ্চার

টারজানের নামটি কমবেশি সবারই জানা। কারণ অ্যাডভেঞ্চারের কথা এলেই মনে পড়ে যায় টারজানের নামটা। কিন্তু প্রায় ১০০ বছর আগে এডগার রাইস বারোজের মাথায় সহজে নামটি আসেনি। গল্পটি লেখার পর চরিত্রের নাম নিয়ে বিপাকে পড়ে যান লেখক। ভাবতে থাকেন দিন-রাত। ছেলের এই অবস্থা দেখে মা নাম দিলেন জানটার (সাদা ত্বক)। কিন্তু তা লেখকের পছন্দ হলো না। এরপর টুবনাট-জান। কিন্তু লেখক ভাবলেন, গল্পটি কাল্পনিক এবং ছোটদের বেশি আকর্ষণ করবে। তাই এমন দাঁতভাঙা নাম রাখলে চলবে না। তাই মায়ের দেওয়া নামটিই রাখলেন, কিন্তু একটু উল্টিয়ে। জানটার থেকে টারজান। নামটি লেখক ও তাঁর বন্ধুদের অনেক পছন্দ হলো। নিউইয়র্কের ইভনিং ওয়ার্ল্ডে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে লাগল টারজান। ১৯১২ সালের এপ্রিলে বের হয় টারজান সিরিজের প্রথম বই টারজান অব দ্য এপস। পাঠকেরা হুমড়ি খেয়ে কিনতে লাগল। তখন এর দাম ছিল ২ ডলার।

টারজান হলিউডের প্রথম সিনেমা, যা মুক্তির পর লাখ লাখ টাকা ব্যবসা করেন প্রযোজকেরা। সাদা-কালো চরিত্রটি রঙিন কমিক আকারে আসে ১৯৩১ সালে। ১৯৫০ সালে লেখক মারা যান। কিন্তু তাই বলে টারজান নিয়ে কাজ থেমে থাকেনি। এখনো তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন ছবি, অ্যানিমেশন, ভিডিও গেম। বারোজের এই অমর চরিত্রটি হয়তো আজও জঙ্গল জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।