ট্যাপ কীভাবে কাজ করে

প্রাচীনকালের মানবসভ্যতাগুলো গড়ে উঠেছিল সুপেয় পানির উৎস, বিশেষ করে নদীর কাছে। পানি সংগ্রহ করা হতো নদী, ঝরনা, হ্রদ, কুয়া, পুকুর বা জলাশয় থেকে। কিন্তু দিন দিন যতই লোকসংখ্যা বাড়তে লাগল, ততই পানিদূষণ বাড়তে লাগল। তখন বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহের জন্য শহর এলাকায় বাসাবাড়িতে নলের মাধ্যমে পানি সরবরাহ শুরু হয়। কাজটি আরও সহজ করতে উদ্ভাবন হলো ট্যাপের। এখন তো বাজারে খুঁজলে শত রকমের ট্যাপ দেখতে পাবে। কিন্তু কথা হচ্ছে, এই ট্যাপ কাজ করে কীভাবে?

কখনো যদি একটি ট্যাপ খুলে ভেতরটা দেখার সুযোগ পাও, তাহলে সেখানে একটি স্পিন্ডল বা লম্বা দণ্ড আর রাবারের তৈরি ওয়াশার দেখতে পাবে। আর বাইরে চাকার মতো একটি হুইল ও বাঁকানো নল তো ট্যাপ না খুলেও দেখা যায়। এগুলোই হচ্ছে একটি সাধারণ ট্যাপের কলকবজা। ওয়াশারটি ট্যাপের ভেতর মাঝামাঝি জায়গায় বসানো থাকে। পানি সব সময়ই ওয়াশারটিকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটি নলের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পানিকে বাইরে আসতে বাধা দেয়।

তুমি হাত ধোয়ার জন্য ট্যাপের বাইরের হাতল বা চাকাটি ঘোরালে চাকার সঙ্গে সংযুক্ত স্পিন্ডলটিও ঘুরতে থাকে। একসময় স্পিন্ডলটি তার সঙ্গে যুক্ত রাবার ওয়াশারকে টেনে ওপরে তুলে আনে। ফলে, নলের ভেতরে পানির পথে আর কোনো বাধা থাকে না। তাই পানি সজোরে নল দিয়ে ট্যাপের বাইরে আসে। হাত ধোয়া শেষে তুমি যখন ট্যাপটির হাতল উল্টো দিকে ঘোরাও, তখন স্পিন্ডলটি ঘুরে ঘুরে নিচে নেমে এসে ওয়াশাটিকে ঠেলে নিচে নামিয়ে দেয়। এতে নলের ভেতর পানির পথ আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তাই পানিও বাইরে বেরোতে পারে না। বোঝা গেল! ইটস সিম্পল!