পাখির বাসায় বসবাস

পাখির বাসায় এবার হানা দিয়েছে মানুষ

বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা শুনেছ, শুনেছ কোকিলের বাসায় কাকের আনাগোনার কথা। কিন্তু পাখির বাসায় মানুষ থাকার ঘটনা কি চোখে পড়েছে কারও? পড়ার কথা নয়। পাখিদের অত্তটুকুন বাসায় মানুষের পাঁচটা আঙুল সেঁধে যাওয়াই তো দুঃসাধ্য ব্যাপার! কিন্তু একবার ভেবে দেখো তো, একটা টুনটুনির বাসায় তুমি বসে আছ! কেমন হবে তাহলে? টুনটুনির ঘরে বসে আছ আর ভেতরে জোনাকি পোকা দিচ্ছে আলো। সেই আলোর নিচে বসে বসে পড়ছ মজার একটা বই। আহ্, জিবে জল আনা স্বপ্ন না, বলো?

মই বেয়ে উঠতে হবে বাসায়

স্বপ্নটা পূরণ করার উপায় বের করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পী জেসন ফ্যান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পরকি হেফার। এই দুই পাগলাটে শিল্পী তৈরি করেছেন মানুষের বসবাসের উপযোগী পাখির বাসা। বাঁশ, বেত, উইলো কাঠ, চামড়া আর প্লাস্টিকের শক্ত ফিতা দিয়ে তারা তৈরি করেছেন এই বাসাগুলো। একেকটা বাসা আবার দেখতে একেক রকম। সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও দুবাইয়ে এ বছর বসেছিল ডিজাইন উত্সব। সেসব উৎসবে এই দুই শিল্পী প্রদর্শন করেছেন চমকে দেওয়ার মতো তাঁদের এই আইডিয়া।

দেখতে কিন্তু চমত্কার বাসাগুলো

এরই মধ্যে বিক্রিও শুরু হয়েছে বাসা। কোনো কোনো বাসায় বসতে পারবে ২০ জনের মতো মানুষ। সেটার খরচা পড়বে ২০ হাজার ডলার প্রায়। আর না কিনে কমপক্ষে দুই রাত ঘুমাতে চাইলে গুনে গুনে দিতে হবে প্রতি রাতে ১১০ ডলার। তবে ঘুমানোর জন্য বালিশ-তোশক-কাঁথা—সব তোমাকেই নিয়ে যেতে হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিগ সুর নামের রিসোর্টে এরই মাঝে তুমুল ভিড় করছে লোকজন। তবে একটা সতর্কতা, যারা স্লিপওয়াক বা ঘুম-হণ্টন করো, তারা ঘুমানোর আগে বেড-বেল্ট বেঁধে নিতে ভুলবে না একদম!

তথ্যসূত্র: আরডিএশিয়া

(কিশোর আলোর ডিসেম্বর ২০১৩ সংখ্যায় প্রকাশিত)