প্রথম ভিটামিনের গল্প

১৪৯২ সালে কলম্বাস পালতোলা জাহাজে আমেরিকায় পাড়ি দেওয়ার পর ইউরোপের বিভিন্ন জাতি মহাসাগরে দীর্ঘ অভিযান শুরু করে। জাহাজ একটানা অনেক দিন স্থল থেকে দূরে থাকত। তখন রেফ্রিজারেটর ছিল না। তাই সাধারণ উষ্ণতায় যে খাবার নষ্ট হয় না, শুধু সেগুলোই জাহাজে তোলা হতো। শুকনো রুটি আর নোনা মাংস খেতেন নাবিকেরা। এসব খেতে বিস্বাদ হলেও জাহাজে খাবারের অভাব ছিল না। তবে খাবারের অভাব না থাকলেও দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রায় নাবিকেরা প্রায়ই অসুস্থ হতেন। তাঁরা দুর্বল হয়ে পড়তেন, দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত পড়ত, ব্যথাও হতো পেশিতে। কিছুদিন পর দুর্বলতার কারণে তাঁরা কাজও করতে পারতেন না। শেষমেশ অনেকে মারাও যেতেন। জাহাজের এ রোগকে বলা হতো স্কার্ভি।

অস্ট্রিয়ার সেনাবাহিনীতে ১৭৩৪ সালে স্কার্ভির মড়ক লাগল। অস্ট্রিয়ান চিকিৎসক ক্রেমার দেখলেন, রোগটি শুধু সাধারণ সেনাদের হচ্ছে, অফিসারদের হচ্ছে না। সাধারণ সেনারা খেতেন রুটি-শিম। কিন্তু অফিসাররা ফল ও শাকসবজিও খেতেন। ক্রেমার প্রতিবেদনে লিখলেন, ফল ও শাকসবজি সম্ভবত স্কার্ভি প্রতিরোধ করতে পারে। কিন্তু এ কথায় কেউ কান দিল না।

ব্রিটিশরা ১৭০০ সালের দিকে বিশ্বজুড়ে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে। সমুদ্রপথে বাণিজ্যে তাদের প্রচুর জাহাজের প্রয়োজন হতো। আবার বাণিজ্য ও উপনিবেশ সুরক্ষায় প্রয়োজন যুদ্ধজাহাজ। কিন্তু সব জাহাজের নাবিকদের বারবার স্কার্ভি হচ্ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলেন স্কটিশ চিকিৎক জেমস লিন্ড। ক্রেমারের প্রতিবেদন তিনি পড়েছিলেন। স্কার্ভি নিয়ে আরও তথ্য জোগাড় করতে তিনি বইপত্রও ঘাঁটলেন। দেখা গেল, ১৫৩৭ সালে ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাকুস কার্টিয়ার স্কার্ভি আক্রান্ত মরো মরো একদল নাবিক নিয়ে কানাডায় নেমেছিলেন। সেখানে ইন্ডিয়ান আদিবাসীরা সরু, লম্বা সবুজ পাতা মেশানো পানীয় খেতে দিয়েছিল তাঁদের। তা খেয়ে সবাই সেবার সুস্থ হয়ে ওঠেন। লিন্ড বুঝলেন, সঠিক খাবার খেলে স্কার্ভি প্রতিরোধ সম্ভব। ১৭৪৭ সালে লিন্ড স্কার্ভি আক্রান্ত নাবিকদের ওপর পরীক্ষা চালালেন। কয়েকজনকে তিনি প্রতিদিন সিডার খেতে দিলেন, অন্যদের ভিনেগার, কয়েকজনকে ফলের রস। দেখা গেল, কমলা ও লেবুর রস খেয়ে নাবিকেরা দ্রুত সুস্থ হন। এরপর এসব ফলের রস খেতে বললেন ব্রিটিশ নৌবাহিনীকে। কিন্তু পরামর্শটি আজগুবি ভেবে রাজি হলো না ব্রিটিশরা। তবে লিন্ডের কথায় মুগ্ধ হয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিযাত্রী জেমস কুক। জাহাজের খাবারের সঙ্গে লেবু মজুত করেছিলেন কুক। অসুস্থ নাবিকদের লেবু খাওয়ানো হতো। ১৭৭০ সালে তিনি প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিলেন। সেই অভিযানে মাত্র একজন স্কার্ভিতে মারা গিয়েছিলেন। সব জেনেও মত পাল্টায়নি ব্রিটিশরা। লিন্ডের মৃত্যুর পর সুমতি হয় ব্রিটিশদের। সেবার ফরাসিদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ব্রিটেন। স্কার্ভিতে সেনাদের দুর্বলতার আশঙ্কায় যুদ্ধজাহাজে লেবু রাখা হয়েছিল। হাতে হাতে ফল পেয়েছিলেন তাঁরা। ১৭৯৫ সালে ব্র্রিটিশ বাহিনীতে স্কার্ভি দূর হয়। এরপর যুদ্ধজাহাজে লেবু রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়। সে জন্য ব্রিটিশ সেনাদের বলা হতো লাইমি। লন্ডন বন্দরে লেবু মজুত রাখার স্থানটির নাম হয়ে যায় লাইম হাউস বা লেবুঘর।

প্রায় ১০০ বছর পর, একই সমস্যায় পড়ে জাপানি নৌবাহিনীও। জাপানের নাবিকেরা প্রায়ই বেরিবেরি রোগে ভুগতেন। শব্দটি শ্রীলঙ্কার, অর্থ ‘ভীষণ দুর্বল’। কারণ বেরিবেরি আক্রান্তরা খুব দুর্বল হতো, হাত-পা পক্ষাঘাত হয়ে মারা যেত। বেরিবেরি আর স্কার্ভির মধ্যে মিল থাকলেও রোগ দুটি আলাদা। শাকসবজি ও ফলের রস খেলেও বেরিবেরি হতো। এ রোগে ১৮৭৮ সালে যুদ্ধজাহাজে এক-তৃতীয়াংশ সেনা অকেজো হয়ে পড়ায় যুদ্ধে জিততে পারছিল না জাপান। জাপানি নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল তাকাকি জানতে পারেন, ব্রিটিশরা খাবার পরিবর্তন করে স্কার্ভি দূর করেছিল। তাই ব্রিটিশ আর জাপানি নাবিকদের খাবার তুলনা করে দেখলেন তাকাকি। জাপানিরা শাকসবজি, মাছ-ভাত খান। ব্রিটিশ নাবিকেরা ভাতের বদলে খান বার্লি। জাপানিদের ভাতের সঙ্গে বার্লি খাওয়ালেন তাকাকি। বেরিবেরি নিশ্চিহ্ন হলো জাপানি নৌবাহিনী থেকে।

কিন্তু লিন্ড, তাকাকি বা কেউ জানতেন না, খাবার পরিবর্তনে কেন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। ১৮০০ সালের দিকে পরীক্ষা করে খাবারে প্রধান পাঁচটি উপাদান পেলেন: শর্করা, চর্বি, আমিষ, খনিজ ও পানি। এ খাদ্য উপাদানের প্রতিটি দেহের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করতেন রসায়নবিদেরা। কিন্তু ধরা যাক, কিছু শর্করা, চর্বি, আমিষ আর কিছু খনিজ পদার্থ পানির সঙ্গে সুষম অনুপাতে মেশানো হলো। তাহলে কৃত্রিম খাবার তৈরি হবে। কিন্তু এই কৃত্রিম খাবার কি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে?

উত্তর জানা গেল ১৮৭০ সালে। সে বছর প্যারিস শহর অবরোধ করেছিল জার্মানরা। তাতে খেতে না পেয়ে মৃত্যুর মুখে পড়েছিল প্যারিসবাসী। তখন প্যারিসেই ছিলেন ফরাসি রসায়নবিদ জুন দ্যুমা। কৃত্রিম খাবার তৈরি করলেন তিনি। তাঁর আশা, যে বাচ্চারা প্রয়োজনীয় দুধ পাচ্ছে না, কৃত্রিম খাবার তাদের কাজে দেবে। কিন্তু তার প্রচেষ্টা কাজ করেনি। এ সম্পর্কে দ্যুমা জানান, শর্করা, চর্বি, আমিষ, খনিজ ও পানি ছাড়াও খাবারে সম্ভবত আরও কিছু আছে, যা বেঁচে থাকার জন্য জরুরি। দ্যুমা জানালেন, সম্ভবত এ পদার্থ খাবারে অল্প থাকে, নইলে রসায়নবিদেরা আগেই খুঁজে পেতেন। ১০ বছর পর জার্মান রসায়নবিদ এন লুনিনও কৃত্রিম খাবার বানিয়েছিলেন। তিনি কৃত্রিম দুধ বানিয়ে ইঁদুরকে খাইয়েছিলেন। কিন্তু ইঁদুরটি বাঁচেনি। তবে গরুর দুধ খেয়ে ইঁদুরেরা বেঁচে থাকল। দ্যুমার কথার প্রতিধ্বনি করলেন লুনিনও।

বিজ্ঞানীরা দ্যুমা আর লুনিনের কথা শুনলে হয়তো অনেক আগেই স্কার্ভি ও বেরিবেরির ব্যাখ্যা পেতেন। হয়তো লেবুতে সামান্য পরিমাণে এমন উপাদান আছে, যা দেহের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। এ উপাদানের অভাবেই স্কার্ভি হয়। বার্লিতেও হয়তো খুব সামান্য প্রয়োজনীয় কোনো উপাদান আছে, যার অভাবে বেরিবেরি হয়। তবে একটি কারণে চিকিৎসকেরা দ্যুমাস ও লুনিনের কথায় কান দেননি। সেটি হচ্ছে, ১৮৮০ সালের দিকে দেখা গেল, জীবাণুর কারণে অনেক রোগ হয়। তাতে সবার বদ্ধমূল ধারণা হলো সব রোগের পেছনে জীবাণুই দায়ী। স্কার্ভি আর বেরিবেরি জীবাণুর কারণে হয় বলে ভেবেছিলেন তাঁরা। তাই চিকি্কেতসরা তন্নতন্ন করে স্কার্ভি আর বেরিবেরির জীবাণু খুঁজতে লাগলেন। এ জীবাণুর খোঁজে ১৮৯০ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিশাল দ্বীপপুঞ্জ ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছালেন ডাচ চিকিৎসক ক্রিশ্চিয়ান আইকম্যান। এসব দ্বীপের মানুষ ঘন ঘন বেরিবেরিতে আক্রান্ত হতো। কিন্তু বেরিবেরিতে আক্রান্ত কারও মধ্যে জীবাণুর খোঁজ পেলেন না তিনি।

এরপর ১৮৯৬ সালে জাভায় এক হাসপাতালে পালিত কিছু মুরগি পলিনিউরিটিস নামে স্নায়ুরোগে অসুস্থ হলো। এতে মুরগিও বেরিবেরির মতো দুর্বল হয়। আইকম্যান বুঝলেন, পলিনিউরিটিসের জীবাণুর সন্ধান পেলে বেরিবেরির জীবাণুরও পাওয়া যাবে। কারণ তাঁর ধারণা, এ দুটি একই জীবাণু। তিনি অসুস্থ মুরগিতে জীবাণু খুঁজলেন। অসুস্থ মুরগির জীবাণু সুস্থ মুরগির দেহে ইনজেকশন দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেন। তিনি দেখতে চাইছিলেন, এভাবে সুস্থ মুরগি পলিনিউরিটিসে আক্রান্ত হয় কি না। তাঁর চেষ্টা বিফলে গেল। তবে হাল ছাড়লেন না আইকম্যান। এর মধ্যেই হাসপাতালের সব মুরগি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে গেল। পরীক্ষার মতো আর সুস্থ মুরগি রইল না। কিন্তু হঠাৎ এমন হওয়ার কারণ কী? তদন্ত শুরু করলেন আইকম্যান।

মুরগি অসুস্থ হওয়ার কদিন আগের ঘটনা। মুরগির দেখভালের দায়িত্বরত লোকটি হাসপাতালের রোগীদের বেঁচে যাওয়া খাবার মুরগিগুলোকে খেতে দিতেন। এসবের মধ্যে সাদা ভাতও ছিল। এরপর মুরগিকে খাবার দেওয়ার দায়িত্বে থাকা সেই লোককে বদলি করা হলো। নতুন লোক দায়িত্ব নিয়ে ভাবলেন, মানুষের ভালো খাবার মুরগিকে খাইয়ে অযথা নষ্ট করা ঠিক হচ্ছে না। তাই তিনি মুরগিকে সস্তা বাদামি ভাত (যেগুলো রোগীদের অপছন্দ) খাওয়াতে লাগলেন। অবাক কাণ্ড, মুরগিগুলো সুস্থ হয়ে গেল। বিষয়টি পরীক্ষা করলেন আইকম্যান। তিনি সুস্থ মুরগিকে সাদা ভাত খাওয়ালেন। কদিন পর মুরগিগুলোর পলিনিউরিটিস হলো। বাদামি ভাত (ঢেঁকিছাঁটা চাল) খাওয়ালে তারা সুস্থ হয়। একই পরীক্ষা বারবার চালালেন আইকম্যান। তিনি যখন খুশি মুরগিগুলোকে অসুস্থ বানাতে পারতেন, আবার চাইলেই সুস্থ করে তুলতে পারতেন।

কিন্তু এর মানে কী? আগেই বলেছি, সে সময় জীবাণু বা বিষাক্ত পদার্থ রোগের কারণ বলে ভাবা হতো। কিন্তু বেরিবেরির জীবাণু না পেয়ে আইকম্যান ভাবলেন, নিশ্চয়ই বিষাক্ত পদার্থের জন্য এ রোগ হচ্ছে। সাদা চালে কোনো বিষাক্ত পদার্থ আছে, যা মানুষ বা মুরগিকে অসুস্থ করছে। আর চালের বাদামি আবরণে এমন কিছু আছে, যা বিষাক্ত পদার্থ নষ্ট করে দিচ্ছে। তাই বাদামি চাল খেয়ে মানুষ বা মুরগি সুস্থ হয়। তবে আইকম্যানের সঙ্গে একমত হতে পারলেন না তাঁর সহযোগী ডাচ্ চিকিত্সক গেররিট গ্রিঞ্জ। গ্রিঞ্জের মনে হলো, এর পেছনে অন্য কিছু আছে। ১৯০১ সালে তিনি বললেন, আসল সমস্যা, দেহের দরকারি কিছু একটা সাদা চালে নেই। কিন্তু সেই পদার্থ চালের বাদামি আবরণে আছে। কেউ বাদামি চাল না খেয়ে শুধু সাদা চাল খেলে সে অসুস্থ হয়। কারণ সাদা চালে ওই পদার্থের অভাব আছে। এতে প্রথমবার মনে হলো, কোনো কিছুর অভাবেও প্রাণী অসুস্থ হতে পারে। সে জন্য বেরিবেরিকে অভাবজনিত রোগ হিসেবে ধরা হলো।

এর কয়েক বছর পর, আইকম্যান ও গ্রিঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে চালের ভেতরের পদার্থগুলো আলাদা করলেন। এ পানি পলিনিউরিটিসে আক্রান্ত কবুতরকে খাওয়ানোর পর তারা সুস্থ হয়ে উঠল। তাই পদার্থটির নাম অ্যান্টিবেরিবেরি রাখলেন তাঁরা। ১৯১২ সালে পোলিশ রসায়নবিদ ক্যাসিমির ফাঙ্ক দেখালেন, অ্যান্টিবেরিবেরি অন্য পদার্থের সঙ্গে বিক্রিয়া করে। এ বিক্রিয়ার ধরন অ্যামাইন (amine) গ্রুপের মতো। ফাঙ্ক বললেন, অ্যান্টিবেরিবেরি আসলে অ্যামাইন। তাঁর অনুমান, স্কার্ভি বা রিকেটসে যেসব পদার্থ খাবারে গ্রহণ করতে হয়, সেগুলোও অ্যামাইন। তাই পদার্থগুলোকে একসঙ্গে বোঝাতে ল্যাটিন শব্দ ভিটা (vita) ব্যবহার করলেন ফাঙ্ক, যার অর্থ ‘বেঁচে থাকার জন্য’। এর সঙ্গে অ্যামাইন যোগ করে দেহের এসব প্রয়োজনীয় পদার্থের নাম দিলেন ভিটামিনস (vitamines)। পরে দেখা গেল, এগুলোর বেশ কটি অ্যামাইন নয়। সে জন্য ১৯২০ সালে নামটি পরিবর্তিত হলো। নতুন আবিষ্কৃত পদার্থগুলোর সঙ্গে অ্যামাইনের কম মিল থাকায়vitamines শব্দ থেকে ইংরেজি ই (e) বর্ণটি বাদ দিয়ে রাখা হলো ভিটামিন (vitamin)। এই নামটিই এখন আমরা ব্যবহার করি।

বিজ্ঞানীরা প্রথম ভিটামিন হিসেবে অ্যান্টিবেরিবেরি নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছিলেন। ১৯১৩ সালে দুজন মার্কিন রসায়নবিদ এলমার ম্যাককলাম ও মার্গারেট ডেভিস অ্যান্টিবেরিবেরি উপাদানের নাম দিলেন ভিটামিন বি। এ ছাড়া নিজেদের আবিষ্কৃত চর্বিদ্রাব্য ভিটামিনের নাম দিয়েছিলেন ভিটামিন এ, যার অভাবে রাতকানা রোগ হয়। তখনো ভিটামিনের রাসায়নিক গঠন জানা যায়নি। তাই এদের রাসায়নিক নাম না দিয়ে ইংরেজি বর্ণমালা দিয়ে চিহ্নিত করা শুরু হয়। এরপর একে একে আরও ভিটামিন আবিষ্কৃত হয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, একসময় এ (a) থেকে শুরু করে বর্ণমালার পি (p) পর্যন্ত ভিটামিন আবিষ্কারের দাবি তুলেছিলেন অনেক বিজ্ঞানী। পরে অনেকগুলোই ভুল প্রমাণিত হয়। আসলে ভিটামিন এ, বি, সি, ডি এবং ই-এর পর সত্যিকারের ভিটামিন হচ্ছে ভিটামিন কে। সে আরেক গল্প। অন্য দিনের জন্য তোলা রইল সেই গল্প।

আইজাক আসিমভের হাউ উই ফাউন্ড অ্যাবাউট ভিটামিনস অবলম্বনে।