বেশি বেশি ভালো নয়

‘ক্ল্যাশ অব ক্ল্যানস’-এ অ্যাটাক দেওয়া শেষ হতে না হতেই যখন পূর্ব আকাশ ফরসা হতে শুরু করে, তখন মনে হতেই পারে—ইশ্, সারাটা দিনও যদি এভাবে রাতের মতো গেম খেলে কাটিয়ে ফেলা যেত!

কিংবা জরুরি চ্যাটিংয়ের ঠিক মাঝখানে (সাড়ে সাত ঘণ্টা পর) যখন মোবাইল ডেটা ফুরিয়ে যায়, তখনো মনে হওয়া বিচিত্র না—ধেৎ, এত তাড়াতাড়ি মেগাবাইট ফুরিয়ে গেলে চলে!

কিংবা বিজ্ঞাপনসহ টানা সাড়ে চার ঘণ্টা অবিরত টিভি দেখার পর যদি বিদ্যুৎ চলে যায়, তখনো যদি মনে হয়—এভাবে পাঁচ মিনিট পরপর লোডশেডিং হলে দেশটা চলবে কেমন করে?

এগুলো সবই অত্যন্ত যুক্তির কথা। কিন্তু এসব যৌক্তিক কথার বিরুদ্ধে আরেকটা যুক্তিযুক্ত কথা বলে গেছেন জর্জ বার্নার্ড শ। ব্রিটিশ বিখ্যাত এই নাট্যকারের মতে, ‘নরকের কার্যকর সংজ্ঞা হলো অফুরন্ত ছুটি’।

তার মানে এমনিতে ছুটি খুব আনন্দের। কিন্তু কাজকর্ম ছাড়া শুধু যদি ছুটিই থাকত তাহলে কি ভালো হতো খুব? স্কুল, কলেজ আছে বলেই তো ‘ছুটি’ এত আকাঙ্ক্ষিত! এখন প্রশ্ন উঠতেই পারে, কম্পিউটারে গেম খেলা, চ্যাট করা, মুভি দেখা, আড্ডা দেওয়া, ফোনে কথা বলা, মাসুদ রানা বা তিন গোয়েন্দা পড়া—এত কিছুর সঙ্গে বার্নার্ড শর ওই কথার সম্পর্ক কোথায়? এগুলোও তো কাজ। এমনকি ব্যকরণের সংজ্ঞামতে, এগুলো তো অবশ্যই কাজ!

দিনমান কম্পিউটারের সামনে পড়ে থাকা মোটেও কাজের কথা না

বিষয়টা নিয়ে তর্ক করতে গিয়ে দীর্ঘ দুই ঘণ্টার একটা বক্তৃতা শুনতে হয়েছিল এক সিনিয়রের কাছে। আসলে এগুলো নাকি বিনোদন। কাজ নাকি করে মানুষ বুঝেশুনে। আর মানুষ বিনোদন নেয় কাজের স্পৃহা বাড়ানোর জন্য, আনন্দ পেতে, জীবনকে সীমাহীন ফুর্তিতে ভরে দিতে। তাই যুক্তিসংগত পরিমিত বিনোদনই নাকি প্রকৃত ‘কাজ’। বাকি সব সময়ের অপচয়। শুনে ভ্রু কুঁচকে উঠতে পারে। কিন্তু বিষয়টা আসলে তা-ই। যে কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে সেগুলোর একটাও কিন্তু আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক প্রথা অনুযায়ী নিষিদ্ধ নয়। বাংলাদেশে এ নিয়ে আইনও জারি হয়নি। জল ঘোলা হয়ে ওঠে তখনই যখন আমরা টিভি দেখা, চ্যাট করা ইত্যাদি বিষয়কে নেশা বানিয়ে ফেলি। এবং কখন যে এটা নেশায় পরিণত হয় খেয়ালও করি না। কিন্তু বিষয়টা যে অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং এবার একটু ক্ষান্ত (মূলত পারিবারিক চাপে) দেওয়া উচিত—এটা কিন্তু একসময় তুমিও বুঝতে পারো। কিন্তু কীভাবে ক্ষান্ত দেবে বুঝতে পারো না।

মোবাইল ফোন

সুপ্রভা কাল ক্লাসে আসবে কি না, তাহমিদের সঙ্গে রোববারের আড্ডার পরিকল্পনাটা ঠিক আছে তো?, সিলভির মাথাব্যথাটা সেরেছে কি না—এই জাতীয় ইস্যুগুলো তুমি জানতে পারো ফোনে। মোবাইল ফোনের নানা ধরনের অফার তোমার জীবনটাকেই অস্থির বানিয়ে ছেড়েছে। মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল বলেন, ‘ফ্রি বা অল্প কলরেটের সংস্কৃতি আমাদের কিশোরদের মানসিক রোগী করে তুলেছে।’ কী? সারা রাত ২৫ পয়সা মিনিটে কথা বলে প্রায়ই সকালের ক্লাস মিস হয়? শিক্ষকের ধমক আর বাবা-মার কচকচানি জীবন ধ্বংস করে ছেড়েছে? আরে বাবা, ফোনে ফোনে ‘ফিসফিস’ করে আর কত দিন! একটু হিসাব করে দেখো তো ফোনে বেশি কথা বললে বন্ধুর সঙ্গে বেশি ঝগড়া হয়, নাকি না বললে হয়? এ ছাড়া ফোনে কথা বললে তো দুজনেরই পয়সা খরচ হয়, নাকি? এক কাজ করো না কেন, আগে যেখানে সপ্তাহে ১৪ ঘণ্টা কথা বলতে, সেটা একটু কমিয়ে ৩ ঘণ্টায় নামিয়ে আনো। বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে বন্ধুর জন্য কিনে ফেলো ছোট্ট একটা উপহার। অথবা যে সময়টুকু কথা বলো তার কিছু অংশ ব্যয় করো কার্ড বা শোপিস বানাতে। দেখবে, সময় কেটে যাবে তার কথা ভাবতে ভাবতেই।

অতি সেলফোনপ্রীতি ছেড়ে বন্ধু বানাও রক্তমাংসের মানুষদের সঙ্গে

ফেসবুকিং

ফেসবুকের ভালো-মন্দ নিয়ে নানা তর্ক হতে পারে। কিন্তু ফেসবুকিং যে একটা নেশা, সেটা নিয়ে কারও দ্বিমত থাকার কথা নয়। বাসায় থাকলে কম্পিউটারের সামনে, বাইরে থাকলে মোবাইল ফোনে সারা দিন ঝুঁকে ঝুঁকে অন্যের স্ট্যাটাস, ছবিতে লাইক দেয়া, বসে বসে লাইক গোনা যে মোটেও কোনো কাজের কাজ নয়, সেটা আর বলতে হবে না, তোমরা নিজেরাই জানো। কিন্তু অনেকে শত চেষ্টা করেও বের হতে পারছ না এই নেশা থেকে। কিংবা চেষ্টাই করছে না। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের কারণে মানুষের স্মরণশক্তি ব্যাপক হারে হ্র্রাস পাচ্ছে। কারণ, আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশটুকু তথ্য ধারণ করার কাজ করে, তার একটা ধারণক্ষমতা আছে। কিন্তু ফেসবুক তোমাকে একের পর এক এত নানাধর্মী তথ্য দিতে থাকবে যে, এসব নিতে নিতে তোমার আর একপর্যায়ে হয়তো কোনো তথ্যই মাথায় থাকবে না। শুধুই ভুলে যেতে থাকবে। এটা সত্যি যে ফেসবুকের কারণে মানুষে মানুষে অনেক যোগাযোগ তৈরি হচ্ছে, একে অপরের সম্পর্কে জানতে পারছ। কিন্তু ফেসবুক আবার মনোপীড়ারও কারণ হয়ে উঠছে। সবাই সাধারণত তার সুখের মুহূর্ত বা অর্জনগুলো শেয়ার করে এখানে (দুঃখ-কষ্ট যে থাকে না, তা বলছি না কিন্তু)। সেটা দেখে তোমারও সে রকম হতে ইচ্ছে করে। কিন্তু তুমি যদি বসে বসে ফেসবুকিংই করো তাহলে তো অর্জনের ঝুলি শূন্যই থেকে যাবে। লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল এক সাক্ষাৎকারে ফেসবুক বন্ধ হয়ে গেলে ক্ষতির বদলে লাভ হওয়ার কথাই বলেছেন, ‘প্রতিদিন গড়ে তিন ঘণ্টা করে ফেসবুক ব্যবহার করলে তিন লাখ শিক্ষার্থী দিনে নয় লাখ ঘণ্টা অপচয় করে। এই সময়টা মেধা অর্জনের জন্য কাজে লাগাতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

একবার চিন্তা করো তো, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ যদি সারা দিন ফেসবুকিং করতেন তাহলে কি ফেসবুক আজকের এই অবস্থায় আসত? না। ফেসবুকের ইঞ্জিনিয়াররা ফেসবুকিং বাদ দিয়ে সারা দিন কাজ করে আর আমরা অন্য কাজ ফেলে রেখে ফেসবুকিং করি। জেনে রাখা ভালো, তুমি যতক্ষণ ডেটা খরচ করে ফেসবুকে থাকছ, যতবার রিফ্রেশ করছ ততবার কিছু পয়সা ঢুকে যাচ্ছে জাকারবার্গের পকেটে। দিন শেষে তোমার অর্জন থাকছে শূন্য।

অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারের কারণে কমে যেতে পারে স্মরণশক্তি

ফেসবুক থেকে তাই কিছু অনুপ্রেরণা নিয়ে নিজের কাজে মন দাও। তোমার কাজ দিয়ে তুমি বিখ্যাত হলে দেখবে ভক্তরাই তোমাকে নিয়ে পেজ বানাবে, কথা বলবে।

আরেকটা বিষয় জেনে না থাকলে জেনে নাও, তোমার বয়স অনন্ত ১৩ বছর না হলে কিন্তু ফেসবুক এখনই তোমার জন্য না। বয়স বাড়িয়ে সাইন আপ করা খুবই অন্যায় কাজ।

টেলিভিশন নাকি বোকা বাক্স

অনেকে টিভিকে বোকা বাক্স বলে। এর রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি আর মারামারি তো নিত্যদিনের ঘটনা। এই বোকা বাক্সকে নিয়ে কেন এত মারামারি হবে বলো তো? চোখের বারোটা তো বাজাচ্ছেই। সেই সঙ্গে সারা দিন টিভির সামনে বসে থাকা মানে টুকটাক মুখে একটা না একটা কিছু ঢোকানো। ফলে শরীরটা যে ফুলে ঢোল হচ্ছে সে খেয়াল আছে? নিশ্চয় যুক্তি দেখাবে—না, টিভি দেখলে জ্ঞানের ভাণ্ডার প্রসারিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি। অযথা তর্ক না করে তার চেয়ে বরং টিভির সামনে ধরনা দেওয়ার সময় একটা বালিশ রাখো সঙ্গে। মাথাটা বালিশে এলিয়ে দিয়ে এবার টিভি দেখো চোখ বুজে। মানে দেখতে দেখতে ঘণ্টা দেড়-দুই ঘুমিয়ে নাও। অনেক ফ্রেশ লাগবে।

টেলিভিশন খু্বই শিক্ষামূলক। যতবারই এটা কেউ অন করে আমি তখন নিজের রুমে গিয়ে বই পড়া শুরু করি।
গ্রুশো মার্ক্স

বাসায় যদি রেডিও থাকে, তবে রেডিও শুনতে আর আপত্তিটা কোথায়? এখন বেশ কয়েকটা রেডিও চ্যানেল রয়েছে, যেগুলো মজার মজার গান আর অনুষ্ঠানে ভরপুর থাকে। তাতে গানও শোনা হবে রুচিটাও পরিবর্তিত হবে। আর সাপ্তাহিক ভিত্তিতে টিভির কয়েকটা অনুষ্ঠানকে ভাগ করে ফেলো। যেগুলো তোমার দেখা চাই-ই চাই। সেগুলো ছাড়া টিভির সামনে যেয়ো না। সেগুলো ছাড়াও যদি তোমার ছটফটানি বেড়ে যায় তাহলে পাওয়ার কেব্ল খুলে বসে বসে টিভিটার দিকে তাকিয়ে থাকো! আর কিছু না হোক টিভির কাঠামোটা তো দেখা হচ্ছে।

চ্যাটিং

ফোনে কথা, সামনাসামনি কথা, তারপর আবার নেটে কথা। আমি ছাড়া কে কথা বলবে? সহজ উত্তর—রাজনীতিবিদেরা। আরে বাবা, সারা দিন যদি তুমি খালি কথাই বলে যাও তাহলে মগজটা খাটিয়ে চিন্তাভাবনা করবে কে? অন্তর্জালে এত মজার মজার জিনিস থাকতে শুধু চ্যাটিংয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় দেওয়ার দরকারটা কী? আপত্তিটা হলো ‘ঘণ্টা’ শব্দটাতে। মেরুদণ্ডে ব্যথা করে পাঁচ ঘণ্টা চ্যাট করে শেষে হয়তো দেখা গেল জুলিয়া নামের মেয়েটি আসলে শ্মশ্রুমণ্ডিত কোনো ছেলে! ভার্চুয়াল জগৎ থেকে বাস্তবে ফেরো। বাস্তবের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি মেশো, তাদের সঙ্গে গল্প করো। তবে পড়াশোনা বা কাজের ফাঁকে রিলাক্স করার জন্য চ্যাটে হাই-হ্যালো চালাতে বাধা নেই।

গুণীজনরা বলেছেন, যে কথা ১০ মিনিটেও ফোনে বা চ্যাট বক্সে বলে শেষ হয় না, তা আসলে সামনা সামনিই বলা উচিত

নিজের মেইল বক্সটা একটু ঘাঁটাঘাঁটি করো। বন্ধুদের জন্মদিন বা অন্যান্য দিন অনুযায়ী পাঠিয়ে দাও সুন্দর সুন্দর ই-কার্ড। বাংলা অথবা ইংরেজি দৈনিকগুলোতেও একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারো। তুমি কার্টুনের ফ্যান হলে ঢুকে পড়ো কোনো ফান সাইটে। এছাড়া খান একাডেমি, quora.com এই ধরনের নানা সাইটতো রয়েছেই।

শুধুই কি গল্পের বই?

তোমাকে বই পড়তে মানা করব, এমন সাহস আমার নেই। বইয়ের পক্ষে জ্ঞানী-গুণীরা এত ইতিবাচক কথা বলে গেছেন যে এর বিপক্ষে কথা বলা অনেকটা অপরাধের পর্যায়েই পড়ে। কিন্তু তুমি একটু ভাবো তো, পড়ার বইয়ের মাঝখানে তিন গোয়েন্দা, মাসুদ রানা বা কমিকস লুকিয়ে পড়ার কথা কি কোনো বিখ্যাত লোক বলে গেছেন? ইতিহাস সে কথা বলে না। ভালো লাগার জিনিসটা যদি তোমাকে অন্য অনেক মজার জিনিস থেকে দূরে রাখে, তবে সেটা কি ভালো কিছু হলো? সারা দিন রাত যদি গল্পের বই নিয়ে বসে থাকো, তাহলে ঘরকুনো অপবাদ পাওয়া এই তুমি দুদিন পর যখন ভালো লাগার কোনো বন্ধুর সঙ্গে কথা বলতে যাবে তখন ভাষা খুঁজে পাবে না। বই তো পড়তে হবেই, তবে একেবারে নাওয়া-খাওয়া, স্থান-কাল ভুলে বই পড়লে অন্য কাজ ক্ষতিগ্রস্থই হবে। তুমি যদি মাসুদ রানার মতো দুর্দান্ত গোয়েন্দা হতে চাও তাহলে তোমাকে খালি মাসুদ রানা পড়লেই চলবে না, জানতে হবে চারপাশকে। গায়েও থাকতে হবে শক্তি। তাই খেলাধুলা করতে হবে। যেতে পারো জিমে বা বাসাতেই শুরু করতে পারো ব্যায়াম। মেলাতে পারো বিভিন্ন পাজল গেম। নিজের ‘গ্রে ম্যাটার’কে করে তোলো আরও শক্তিশালী।

হেডফোনে গান শোনা

কয়েক দিন পরপরই একটা খবর দেখা যায় পত্রিকার পাতায়, ‘ট্রেনের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিহত’। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, কানে হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে রেললাইন দিয়ে হাঁটা এই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, প্রতিবছর ২০০ জনের বেশি মানুষ এই দুর্ঘটনার শিকার। অথচ একটু সতর্ক হলেই কিন্তু এই ধরনের দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। গান শুনতে তো কোনো বাধা নেই, কিন্তু হেডফোন গুঁজে গান শুনতে শুনতে রাস্তায় চলার এই বাজে অভ্যাসটা আত্মহত্যারই শামিল। যারা সাইকেল চালাও তাদের অনেককেই দেখা যায় একই কাজ করতে। যত দ্রুত পারো এই অভ্যাসটা ত্যাগ করো।

হেডফোনে গান শুনতে শুনতে রাস্তা পার হওয়া আত্মহত্যারই শামিল

কম্পিউটার গেম

কম্পিউটার অনেকের কাছে শুধুই চলচ্চিত্র দেখা, আর গেম খেলার যন্ত্র। গেম খেলার পক্ষে হয়তোবা তুমি যুক্তি দেখাতে পারো। কিন্তু এটা তোমাকে মানতেই হবে যে অনেকক্ষণ গেম খেলার পর সেই যে চোখে ব্যথা আর মাথা ঝিমুনি, সেটা ভালো কিছু নয়। এখন সবাই ক্যারিয়ারিস্ট। গেম খেলার সময়টাতে শিখে ফেলো না ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর বা অন্য কোনো ডিজাইনিং সফটওয়্যার। আখেরে কাজে দেবে। সত্যি বলছি। অথবা শিখতে পারো কোনো প্রোগ্রামিং ভাষা।

সবকিছু একটু বেশি বেশি করা এবার বন্ধ করো। সকাল সকাল একটু ঘুরে আসো না পাশের পার্কটা থেকে। দেখবে, সকালের সূর্য তোমাকে দেখবে বলে অপেক্ষা করছে। ঘাসগুলো প্রগাঢ় সবুজ হয়েছে তোমারই জন্য। সব তোমার জন্য।

মডেল : সুপ্তি, ফারদিন, তৌসিফ, নিশাত, সোহাশ, লাকি ও তাসনিম | ছবি : কবির হোসেন