ব্ল্যাক হোল আসলে কী?

ব্ল্যাক হোল বা কৃষ্ণগহ্বর হলো মহাশূন্যের এমন কিছু জায়গা, যেখানে মহাকর্ষবল আশপাশের সবকিছু টেনে তার কেন্দ্রে নিয়ে যায়। এমনকি আলোও টেনে নেয়। এ জন্যই একে ‘ব্ল্যাক’ বা কৃষ্ণ (কালো) বলে চিহ্নিত করা হয়। কারণ, সেখানে আলো শুধু ঢোকে, বেরোয় না। ফলে চোখে দৃশ্যমান হয় না। সামান্য জায়গায় অনেক বেশি পদার্থ ঘনীভূত হয় বলে এর বিরাট আকর্ষণশক্তি থাকে। কোনো বড় তারা (নক্ষত্র) দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে পড়ে নিজের কেন্দ্রে জড়ো হয়ে ব্ল্যাক হোলের উদ্ভব ঘটে। এ সময় সুপারনোভার সৃষ্টি হয়। সুপারনোভা হলো মহাশূন্যে নক্ষত্রের বিস্ফোরণ। নক্ষত্রের কিছু অংশ মহাকাশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্ল্যাক হোল খুব ছোট। সূর্যের সমান বিশাল পদার্থে গঠিত ব্ল্যাক হোল মাত্র কয়েক মাইল চওড়া হতে পারে। প্রশ্ন ওঠে, ব্ল্যাক হোল থেকে কোনো আলো বাইরে আসতে না পারায় একে যদি দেখাই না যায়, তাহলে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোল দেখে কী করে? এদের দেখার অন্য উপায় আছে। আশপাশের নক্ষত্রমণ্ডলী ও মহাজাগতিক গ্যাসীয় পদার্থের ওপর এর প্রবল মহাকর্ষবলের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা ব্ল্যাক হোলের অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারেন। তবে অনেক বিজ্ঞানী বলেন, ব্ল্যাক হোলের অস্তিত্ব আছে কি না সন্দেহ। কারণ, না দেখা পর্যন্ত বিশ্বাস কী?