বয়স তার চার, ঘুরতে চায় আবার!

: বাবা, রাতের আকাশে এত তারা কি দুনিয়াজুড়েই থাকে?

: আচ্ছা, সব দেশেই কি এমন ঢেউ-খেলানো নদী আছে?

: রোদের মধ্য দিয়ে ঘুরতে চাই। এক মাথা থেকে আরেক মাথা!

চার বছর বয়সী ভ্লাদিমিরের মুখে এমন সব প্রশ্ন শুনে বাবা মিহাই বারবু বুঝতে পারলেন ছেলের আগ্রহটা খেলাধুলায় নয়; ঘোরাঘুরির প্রতি। গোটা পৃথিবী দেখার নেশা রয়েছে ভ্লাদিমিরের।

মিহাই আর ওয়ানা দম্পতির ছেলে এই ভ্লাদিমির। একদিন ছেলেকে কথা দিলেন দুজন, সময়-সুযোগ করে পুরো পৃথিবী ঘুরিয়ে দেখাবেন তাঁরা। আবদার মেটাতে কথার কথা নয়, একদম সত্যিই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুজন। আর সত্যিই তা-ই করে দেখালেন এই দম্পতি। ভ্লাদিমিরকে নিয়ে দুনিয়াটা ঘুরে দেখতে বের হয়েছিলেন তাঁরা। সঙ্গে ছিল তাঁদের প্রিয় ২০১৪ ইউরালরেনজার সাইডকার, যার নাম রেখেছেন ‘যাইর’। ২০১৫ সালের গ্রীষ্মে তাঁরা এই ভ্রমণ শুরু করেন। চার মাসব্যাপী এই ভ্রমণে তাঁরা ঘুরেছেন ইউরোপের ৪১টি দেশ। অর্থাৎ, ২৮ হাজার কিলোমিটার কিংবা আরেকটু হিসাব কষলে বলা যায়, ১৭ হাজার মাইল। ভাবা যায়?

এই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা, ছবির সঙ্গে বর্ণনা করেছেন মিহাই। রোমানিয়ান এই পরিবারের অভিজ্ঞতার গল্প শুনে হইচই পড়ে গেছে গোটা দুনিয়ায়। কিছু অভিজ্ঞতার অংশীদার তুমিও হয়ে নাও তবে।

১ / ১৬
এই হচ্ছে সেই ৪১ দেশ ঘোরার ম্যাপ। শুরুটা হয়েছিল ভ্লাদিমিরের মাতৃভূমি রোমানিয়া থেকে।
২ / ১৬
মিশন স্কটল্যান্ড! রোমানিয়া থেকে স্কটল্যান্ড দিয়েই শুরু হয়েছিল ঘোরাঘুরিটার।
৩ / ১৬
ঘুরছি কেন কেউ জানে না...!
৪ / ১৬
মরক্কোর বন্য বাঁদরও ভ্লাদিমিরের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করেছিল!
৫ / ১৬
ক্রোয়েশিয়ায় সাগরপাড়ে দুগালে হাত দিয়ে চিন্তায় মগ্ন ভ্লাদিমির।
৬ / ১৬
এটা কি ক্যামেরা? দেখি তো একটা ছবি তুলে কেমন খাসা ক্যামেরা! ইতালির সবচেয়ে কৌতূহলী বিড়ালের সঙ্গে ছবি।
৭ / ১৬
মাইকেল ফেলপসের চেয়ে কম ভালো সাঁতার জানে না ভ্লাদিমির! অস্ট্রিয়ার নদীতে সাঁতার কাটছিল সে মনের আনন্দে।
৮ / ১৬
নরওয়ের লফোটেন আইল্যান্ডের জন্য ভালোবাসা
৯ / ১৬
আকাশতারা ভরা তারার আলোয় ক্যাম্পিং, স্পেন
১০ / ১৬
শুভ সকাল ইংল্যান্ড!
১১ / ১৬
বনের মধ্যে ক্যাম্পিং। আর মায়ের হাতের সুস্বাদু খাওয়াদাওয়া!
১২ / ১৬
কোনো কথা নয়, এ রকম দৃশ্য দেখার সুযোগ বারবার আসে না!
১৩ / ১৬
মরক্কোতে এত ভিড়!
১৪ / ১৬
ফ্রান্স, পর্তুগাল, স্পেন....চলছে নানান দেশের পতাকার স্টিকার লাগানো। কয়টা দেশ ঘোরা হলো হিসাব রাখতে হবে না?
১৫ / ১৬
উটের পিঠে একটু সাবধানেই বসতে হয়...
১৬ / ১৬
ঠিক আছে, ঘোরাঘুরির শেষটা হবে গ্রিস দিয়ে। গ্রিসের রোদ্দুর থেকে ভিটামিন ডি নেওয়ার পাশাপাশি সেলফি।

বোরড পান্ডা অবলম্বনে