লেখক কীভাবে হওয়া যায়

চোখ কান খোলা রাখলে লেখা আইডিয়া পেতে পার যে কোন জায়গা থেকেছবি: কবির হোসেন

স্বকল্প নামের একটা বাসে ফার্মগেট থেকে মৌচাক যাচ্ছি। কিছু দূর যেতেই ভিড়ের বাসে এক তরুণ উঠে এল। গায়ে ময়লা শাল জড়ানো। অপরিপাটি চুল। চোখে করুণ চাহনি। মাঝখানের আইলে পা রেখে বাসযাত্রীদের উদ্দেশে উঁচু গলায় একটা বক্তব্য পেশ করতে শুরু করল তরুণ। তার বক্তব্য খুব পরিষ্কার: সে নিতান্ত গরিব এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। সামনেই তার পরীক্ষা। ফরম ফিলআপের জন্য দুই হাজার টাকা লাগবে। টাকাটা তার কাছে ছিল। কিন্তু তার মা হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় চিকিৎসার পেছনে খরচ হয়ে গেছে। এখন এভাবে বাসে বাসে মানুষের কাছে হাত পেতে পরীক্ষার টাকা জোগাড় করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ৭৩০ টাকা উঠে এসেছে। আর মাত্র ২৭০ টাকা দরকার। সেটা হলেই সে সোজা পরীক্ষার ফরম ফিলআপের জন্য ছুটবে।

ম্যাজিকের মতো কাজ হলো। দয়ার্দ্র যাত্রীদের কাছ থেকে ২৭০ টাকা উঠে এল মুহূর্তে। সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে তরুণ বাংলামোটরে নেমে গেল।

অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানি, এই তরুণ বাসের মধ্যে বানিয়ে বানিয়ে গল্প বলেছে। গল্পটা অভিনব বলে সেটা মুহূর্তে কাজে লেগেছে। ভেবে দেখলাম, এই গল্পের সাফল্যের কারণ, এতে কতগুলো সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে।

সমস্যা হলো, গল্পটি তরুণ বেশিবার বলতে পারবে না। বেশিবার বলা ঝুঁকিপূর্ণ। বাসযাত্রীদের কেউ যদি এ গল্প তার মুখে আগে শুনে থাকে, তাহলে সমূহ বিপদ। ফলে তাকে নতুন গল্প তৈরি করতে হবে। প্রতিনিয়ত।

যাদের আমরা প্রতারক বলি, ঠগ বলি, ধাপ্পাবাজ বলি, তাদের এ রকম বানিয়ে বানিয়ে গল্পকাহিনি তৈরি করতে হয়। গল্প তৈরিতে যে যত প্রতিভাধর, যে যত বিশ্বাসযোগ্য এবং ভালো কাহিনি তৈরি করতে পারে, পেশাগতভাবে সে তত সফল ঠগ।

আমাদের সমাজে আরেক ধরনের লোক আছেন, যাঁদের গল্পকাহিনি তৈরি করতে হয়। আমরা তাঁদের লেখক বলি এবং আমরা তাঁদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি।

বাসের প্রতারকদের সঙ্গে লেখকদের একটা বড় তফাত হলো, লেখকেরা আগে থেকেই ঘোষণা দিয়ে দেন, তাঁরা একটা বানানো কাহিনি বলছেন। সেটাকে যখন গল্প বা উপন্যাস নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হয়, তখন আসলে শুরুতেই বলে দেওয়া হয়, যা বলা হচ্ছে তা মিথ্যা। এটা বিশ্বাস করা যাবে না। মিথ্যা জেনেও লোকে সেগুলো টাকা দিয়ে কিনে পড়ে। শুধু যে পড়ে তা-ই নয়, লোকে সেই বানানো কাহিনির চরিত্রগুলোকে আপন করে নেয়, তাদের দুঃখে কাঁদে, তাদের সুখে হাসে। মাঝেমধ্যে বাস্তব চরিত্রগুলোর চেয়েও প্রভাবশালী হয়ে ওঠে এসব বানানো চরিত্র।

ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: স্পর্শ

১৯৯৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় একটা অদ্ভুত মিছিল বের হয়েছিল। বাকের ভাই নামের এক লোকের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল মিছিলকারীরা। বাকের ভাই লেখক হুমায়ূন আহমেদের টিভি নাটক কোথাও কেউ নেই-এর একটি চরিত্র। এক মিথ্যা খুনের দায়ে পাড়াতো মাস্তান বাকের ভাইয়ের ফাঁসির দণ্ড হয়েছে। দর্শকেরা তাকে বাঁচানোর চেষ্টায় রাস্তায় নেমে এসেছে।

পরদিনের পত্রিকাগুলোয় শহরজুড়ে এই বিক্ষোভ মিছিলের খবর প্রথম পাতায় বড় করে ছাপা হয়েছিল। ছবিসহ।

মজার ব্যাপার হলো, রাজধানীজুড়ে মানুষ যেদিন কাল্পনিক বাকের ভাইয়ের জন্য মিছিল করছে, ওই একই দিন ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে কেরামত নামের এক সন্ত্রাসীর ফাঁসির প্রস্তুতি চলছিল। কেরামত ছিলেন কল্যাণপুর মহল্লার মাস্তান। খুনের দায়ে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল। বাস্তব চরিত্র কেরামতের নিয়তি নিয়ে কারও মাথাব্যথা ছিল না। পরদিন খবরের কাগজে ভেতরের পাতায় ছোট করে তাঁর ফাঁসির খবর ছাপা হয়েছিল। সম্ভবত কেউ সেটা পড়েননি।

গল্পকাহিনির মিথ্যা চরিত্রগুলো কেন আমাদের কাছে বাস্তব চরিত্রের চেয়েও বাস্তব মনে হয়, এর ব্যাখ্যা পাওয়া কঠিন।

লেখকের কাজ হলো দুর্বোধ্য জিনিসকে সহজ গল্পের মতো করে বলা
ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: অরিয়ন

ফ্রান্সের কুখ্যাত কারাগার শ্যাতু দ’ইফ দেখতে গিয়েছিলেন দার্শনিক টাইপের লেখক উমবার্তো একো। সেখানকার জেলার কারাগারের মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে গর্বভরে বললেন, এই সেই কারাগার, যেখানে এডমন্ড দঁতে বন্দী ছিলেন। দঁতে কাউন্ট অব মন্টিক্রিস্টো নামের একটি বিখ্যাত উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। ওই কারাগারে ফ্রান্সের অনেক বড় বড় রাজনৈতিক নেতাও বন্দী থেকেছেন। তাঁদের কারও কথা জেলারের মাথায় এল না। এল দঁতের কথা।

মানুষ কল্পকাহিনি পড়তে, শুনতে, দেখতে পছন্দ করে। কারণ তারা বাস্তব জগৎটাকে বুঝতে চায়। কল্পকাহিনি ছাড়া বাস্তব জগৎটা তাদের কাছে বড় দুর্বোধ্য, বড় জগাখিচুড়িময় লাগে। কোনো থই পাওয়া যায় না।

গল্প শোনা মানুষের আদিম প্রবণতা। গল্প বলাও তার আদিম প্রবণতা। আমরা সবাই গল্প বলতে চাই। সবাই মনে মনে চাই লেখক হয়ে উঠতে। এটা আমাদের অন্তর্গত বাসনা।

লেখক হওয়ার কোনো কলাকৌশল কি আছে? গল্প লেখা কি শেখা যায়?

লেখক হতে হলে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই। শুধু বই পড়ার অভ্যাসই একসময় তোমাকে লেখক বানিয়ে তুলতে পারে
ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: স্পর্শ

বিশ্বের অধিকাংশ লেখক এই প্রশ্নের একটা সহজ জবাব দেন—গল্প তৈরির কলাকৌশল অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা একজন আরেকজনকে শেখাতে পারে না। নিজে নিজে শিখে নিতে হয়। এখন কীভাবে নিজে নিজে শিখে নেওয়া যাবে, সেইটা শেখানো যায় কি না, তা ভাবা যেতে পারে।

প্রথম কথা হলো, ভালো লেখক হতে গেলে সবার আগে ভালো পাঠক হতে হবে। নতুন এবং পুরোনো, জীবিত ও মৃত লেখকদের লেখা থেকে শুরু করে মুদি দোকানের ঠোঙা পর্যন্ত সবকিছু গোগ্রাসে পড়ে ফেলার নেশা থাকতে হবে। আমার প্রিয় মার্কিন লেখক জোনাথন লেথেম বলেছেন, একজন লেখককে হতে হবে তার সময়ের সবচেয়ে অগ্রসর পাঠক। আমি বলি, তাকে হতে হবে সবচেয়ে মনোযোগী পাঠক। পড়তে পড়তে লক্ষ করতে শিখতে হবে, ভালো লেখকেরা কী কী কৌশল অবলম্বন করছেন, তাঁরা কীভাবে কাহিনিটি সাজাচ্ছেন। সৈয়দ শামসুল হক দাবি করেছেন, ক্ল্যাসিক লেখকদের লেখা পড়ে তিনি টের পেয়ে যান, ওই লেখক কোন অধ্যায়ের পর কোন অধ্যায় লিখেছেন, কোথায় কলম থামিয়ে ওই দিনের মতো বিরতি নিয়েছেন।

প্রতিদিনই কিছু না কিছু লেখো। সেটা ডায়েরি হোক বা গল্প, কবিতা যা-ই হোক
ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: অরিয়ন

লিখতে গিয়ে নতুন লেখকেরা সবার আগে যে সমস্যায় পড়েন সেটা হলো লেখার বিষয়বস্তু। কী নিয়ে লেখা হবে। কাহিনির প্লট কোথা থেকে আসবে। এটা অনেক ডাকসাইটে লেখকের বেলাতেও ঘটে। এর একটা সহজ সমাধান হলো প্যাসটিশ লেখা। প্যাসটিশ হলো বিখ্যাত কাহিনিগুলো থেকে ধার নিয়ে শাখা কাহিনি লেখা। যেমন ধরা যাক বাকের ভাইকে নিয়ে লেখা ওই টিভি সিরিজের কথা। কাহিনিতে দেখা যাচ্ছে, বদি নামের ঘনিষ্ঠ সহচরের মিথ্যা সাক্ষ্যের কারণেই বাকের ভাইয়ের ফাঁসি হয়। এখন ধরা যাক, কেউ এই বদি চরিত্রটি নিয়ে আরেকটি কাহিনি লিখল। লিখল বাকের ভাইয়ের ফাঁসির পর বদি চরিত্রটি বিবেকের দংশনে ভুগে শপথ নিয়েছে, সে বাকের ভাই হত্যার প্রতিশোধ নেবে। এটা হবে একটা প্যাসটিশ।

দুনিয়ায় এ রকম বহু প্যাসটিশ লেখা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে কাল্পনিক গোয়েন্দা শার্লক হোমসের প্যাসটিশ। আর্থার কোনান ডয়েলের জীবদ্দশাতেই লেখা শুরু হয়েছিল। এখনো লেখা চলছে। অনেক বিখ্যাত লেখক হোমসকে নিয়ে প্যাসটিশ লিখেছেন, লিখছেন।

দ্য প্রবলেম অব থর ব্রিজ নামে শার্লক হোমসের একটি গল্প আছে। সেখানে শার্লক হোমস সমাধান করতে পারেননি এমন তিন-চারটি সমস্যার কথা বলা হয়েছে। একটি সমস্যা এ রকম: ফিলমোর নামে এক লোক বাসা থেকে বেরিয়ে বাইরে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখতে পেয়ে আবার বাসার ভেতরে ছাতা আনতে ঢোকেন। কিন্তু বাসায় ঢুকে লোকটা আর বের হননি। তিনি দুনিয়া থেকেই গায়েব হয়ে গেছেন। কোথাও তাকে আর পাওয়া গেল না। লোকটা গেল কোথায়?

অনেক পরে এলেরি কুইন নামের একজোড়া লেখক (এক নামে দুই কাজিন লিখতেন) এই ফিলমোরের ঘটনাটি নিয়ে একটি গল্প লেখেন। তাঁরা ফিলমোরের অন্তর্ধান রহস্যের সমাধান দেন।

আমাদের ঢাকা শহরের অদ্ভুত গোয়েন্দা মিসির আলিও বেশ কিছু রহস্য ভেদ করতে পারেননি। সেগুলো নিয়ে হুমায়ূন আহমেদ একটি বই লিখেছেন মিসির আলির অমীমাংসিত রহস্য। প্যাসটিশ লিখে কেউ হাত মকশো করতে চাইলে এটা একটা খনি হতে পারে।

ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: সাবিত

ভৌতিক গল্পের বিখ্যাত লেখক এম আর জেমস তাঁর শেষ জীবনে একটি তালিকা লিখে দিয়ে গেছেন। তিনি যেসব গল্প লিখবেন বলে আইডিয়া করে রেখেছিলেন, কিন্তু লিখে যেতে পারেননি সেই সব আইডিয়ার তালিকা। অন্য লেখকেরা গল্পগুলো লিখে দেবেন এই ভরসায় তিনি তাঁর গল্প সংকলনের শেষে এই তালিকা জুড়ে দিয়ে মরে গেছেন। ভূতের গল্প লিখতে আগ্রহী নতুন লেখকেরা (যাঁরা প্লটের খরায় ভুগছেন) অনায়াসে এম আর জেমসের তালিকা থেকে ধার নিতে পারেন।

আমি নিজে প্রফেসর শঙ্কুর প্রতিবেশী অবিনাশ বাবুকে নিয়ে একটা গল্প লিখব লিখব করছি।

ভালো লেখক হতে গেলে সঙ্গে একটা নোটখাতা সব সময় রাখতে হয়। কোনো আইডিয়া মাথায় আসামাত্র সেটা লিখে রাখতে হয়। গল্পের আইডিয়া স্বপ্নের মতোই বড় পলায়নপর জিনিস। ভুলে যেতে বেশিক্ষণ লাগে না।

অনেকে লেখা শুরু করতে গিয়ে বড় ধরনের অনুপ্রেরণার অপেক্ষায় থাকেন। ভাবেন, একটা কোনো উপযুক্ত সময়ে তিনি যখন লিখতে বসবেন, সেটা হবে এক মাহেন্দ্রক্ষণ। তখন অলৌকিক শক্তির মতো একটা রহস্যময় তাড়না তাঁর মধ্যে ভর করবে এবং তিনি তরতর করে লিখে যেতে থাকবেন। সেই অনুপ্রেরণা কখনোই আসে না। লেখার উপযুক্ত, অনুকূল পরিবেশ বলে কিছু নেই। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সকালে দাড়ি কামাতে কামাতে অতিথি প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে লিখতে পারতেন। হুমায়ূন আহমেদ দাবি করেছেন, বাড়িভর্তি হই-হট্টগোল, টেলিভিশনের উচ্চ ভলিউম সত্ত্বেও তিনি তরতর করে লিখতে পারেন। নভোকভ নামের এক বিখ্যাত লেখক তাঁর ললিটা বইটা লিখেছেন কমোডের ওপর বসে।

লিখতে চাইলে যেকোনো মুহূর্ত থেকে লেখা শুরু করে দেওয়া যায়। লিখতে লিখতে কাহিনির ভেতর থেকেই অনুপ্রেরণা আসে।

ছবি: কবির হোসেন, ফটো ম্যানুপুলেশন: মনিরুল ইসলাম, মডেল: সাবিত

কিছুদিন আগে হলিউডের একটা সিনেমা দেখছিলাম। নাম স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন। সিনেমার নায়ক হ্যারল্ড ক্রিক একদিন হঠাৎ টের পেয়ে যায়, সে আসলে একটা উপন্যাসের চরিত্র। উপন্যাসটা এখনো লেখা হচ্ছে। কেউ একজন লিখছেন। হ্যারল্ডের প্রতিটি কর্মকাণ্ড—রাস্তা হাঁটা, কথা বলা, সকালবেলা রুটি খাওয়া, বেসিনে কুলি করা—সবকিছু কেউ লিখছেন। কেউ লিখছেন বলেই হ্যারল্ড সেগুলো করছে। হ্যারল্ড তখন তার নিজের লেখককে খুঁজে বের করার মিশনে নামে। সমস্যা হলো, এই মিশনে নামার ব্যাপারটিও তো আসলে ওই লেখক লিখছেন। ফলে হ্যারল্ডের পক্ষে কি কোনো দিন সম্ভব হবে তার সত্যিকার লেখকের কাছে পৌঁছানো?

খুবই অস্বস্তিকর চিন্তা। তবে খুব অসম্ভব বলা যাবে না। এটা চিন্তা করা কঠিন নয় যে দুনিয়ার সবাই কোনো না কোনো উপন্যাসের চরিত্র। কেউ না কেউ লিখছে।

তবে যদি উল্টো করে ভাবি? অর্থাৎ ভাবি, দুনিয়ার সব লোক একেকজন লেখক এবং তাঁরা নিরন্তর কাহিনি লিখছেন।

এটা বড় কঠিন চিন্তা। দুনিয়ার সব লোক লেখক হলে পাঠক হবেন কে?

পুনশ্চ: ১৯৯৩ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কেরামত বলে কারও ফাঁসি হয়নি। এটা আমার বানানো। ‘স্বকল্প’ বাসের ধাপ্পাবাজ তরুণের মতো এটা আমার ধাপ্পা।